শিরোনাম: |
প্রভাবশালী দেশের সংসদে বাংলাদেশকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে : প্রেসসচিব
|
বর্তমান প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর সংসদে বাংলাদেশকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বিপ্লব পরবর্তী সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার খবর যাচাই করতে স্বাধীন সংবাদপত্র ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য উদঘাটনের কাজ যদি সরকার করে, তবে তাদের প্রতিবেদনগুলো সন্দেহের চোখে দেখা আশঙ্কা খুবই বেশি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সুশীল সমাজের নেতারা ধর্মীয় ঘটনাবলীর সময় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ কেউ এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানো বা দেশটিতে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’ বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতাকে 'পদ্ধতিগতভাবে অতিরঞ্জিত' করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, তারা আশা করেন ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থি সংবাদপত্রগুলো পরিষদের ধর্মীয় সহিংসতার অভিযোগগুলো নিয়ে নিজস্ব তদন্ত করবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও একই ধরনের তদন্ত করবে। হিউম্যান রাইট ওয়াচ ২০১৩ সালে হেফাজত কর্মীদের গণহত্যার বিষয়ে একটি চমৎকার তদন্ত করেছিল দাবি করে তিনি বলেন, আশা করি একই ধরনের তদন্ত করবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা হয় বলেও স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিচারে আমরা এখনও আদর্শ দেশ নই। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের খবর পাওয়া যায়।’ আলম বলেন, কথিত ধর্ম অবমাননাকর ফেসবুক পোস্টের কারণে নিয়মিত সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। তিনি বলেন, নেত্র নিউজের রিপোর্টে দেখা গেছে, সংখ্যালঘু পরিষদ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষজনিত সহিংসতায় নয়জন সনাতন ধর্মাবলম্বী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল। তাদের মধ্যে প্রায় সবাই রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত ও অন্যান্য কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রেসসচিব বলেন, ঐক্য পরিষদও এ বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে একই ধরনের একটি 'বিতর্কিত প্রতিবেদন' তৈরি করেছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি একজন ব্রিটিশ এমপি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে কথা বলেছেন। মনে হয় তিনি কাউন্সিলের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি বার বিপ্লবোত্তর হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, শক্তিশালী ও সম্পদশালী হিন্দু আমেরিকান গোষ্ঠী, ভারতীয় জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং শীর্ষ ভারতীয় মন্তব্যকারীরা এই রিপোর্ট উল্লেখ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা বর্ণনা করতে ব্যবহার করছেন। বিশেষজ্ঞরা আমাকে বলেছেন, ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘুবিরোধী সহিংসতা নিয়ে ভুল তথ্যের বৃহত্তম উৎস।’ |