শিরোনাম: |
সংসদে অর্থ বিল পাস
|
বর্তমান প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে কয়েকটি সংশোধনীসহ অর্থ বিল-২০২৪ পাস হয়েছে। বিলটি পাসের আগে বিলের উপর সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থ বিল পাসের প্রস্তাব উত্থাপণ করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলের বিরোধীতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সদস্যরা। তারা সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। অর্থবিলের উপর জনমত যাচাই করে তা বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও হামিদুল হক খন্দকার এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথ। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলের উপর সরকার দলীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ও আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী সংশোধনী আনেন এবং তা গৃহীত হয়। বিলের উপর জনমত বাছাইয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির সংসদ হামিদুল হক খন্দকার বলেন, ‘বিলে সরকারের দ্বিমূখী অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। একদিকে বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। অন্যদিকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রদান। যেখানে বৈধ আয়ের জন্য ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। সেখানে অবৈধ আয়ের জন্য ১৫শতাংশ কর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ এই সুযোগ নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করেছেন। সরকারকে এই অনৈতকি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহর করতে হবে।’ তামাকজাত পণ্যের উপর সারচার্জ বাড়ানোর দাবি জানান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। অথচ এখনো তামাকের কারণে দেশে প্রতিনিদিন ৪৪১ জন মারা যায়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সারচার্জ বাড়াতে হবে। তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার্থে বরিশাল-ভোলা-নোয়াখালী সেতু নির্মাণের দাবি জানান।’ সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকসুদের হার বাজারভিত্তিক ও নীতি সুদহার প্রবর্তন করা হয়েছে। ডলারের দাম স্বাভাবিক রাখতে ক্রলিংপেগ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা হবে।’ তিনি বলেন, ‘এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সব সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত ১১টি পদক্ষেপ পূরণে বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ হলে ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। দারিদ্র্য শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে। খাদ্য নিরাপত্তায় টিসিবির মাধ্যমে কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা, ওএমস কার্যক্রম চালু রাখা ও সামাজিক সুরক্ষার আওতায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।’ |