শিরোনাম: |
নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে রাজধানী
|
বর্তমান প্রতিবেদক: ঈদের আগের নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ-সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। বেশিসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। সরকারি ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়ে কেউ কেউ আগেভাগেই ঢাকা ছাড়ছেন। অনেকে আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে অফিসে হাজিরা হয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন।
গত ঈদুল ফিতরের মতো এবারের ঈদযাত্রাও অনেকটা স্বস্তিদায়ক। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে কিছুটা যানজট, ধীরগতি থাকলেও দূরের যাত্রায় দুর্ভোগ নেই। তবে রাজধানীর মহাখালী, গাবতলি, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর ও গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক সড়কগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি। কিছু স্থানে ধীরগতিতে গাড়ি চললেও নেই আগের মতো চিরচেনা যানজট। এই হাইওয়ে ধরে উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রা নির্ঝঞ্জাট হবে বলে আশা করছে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক থেকে জেলার সবগুলো রুটও স্বাভাবিক থাকায় এবার যানজট ও দুর্ভোগের আশঙ্কা অনেকটাই কম। দুইদিন ধরে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকলেও গাড়ির গতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের কড্ডার মোড়, নলকা এলাকায় যানবাহনের কিছুটা চাপ দেখা যায়। তবে কোনো যানজট বা ধীরগতি চোখে পড়েনি। সাকেক্স-২ প্রকল্পের আওতায় এসব রুট চারলেনে উন্নীত করার কাজ শেষ দিকে। এ কারণে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলাচল করছে। বগুড়া রিজিওনের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আশা করছি এবারের ঈদযাত্রা নির্ঝঞ্জাট হবে। আমরা আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে মহাসড়ক মনিটর করা হবে। এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩ হাজার ৮৩৪টি যানবাহন চলাচল করেছে। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৫০ টাকা। |