শিরোনাম: |
ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে
|
বর্তমান প্রতিবেদক: ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ও স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে শুধুমাত্র ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মহাসড়কে অটোরিকশা চলবে না। ২২টি মহাসড়কে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। এর আগে বুধবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না। এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এমন ঘোষণা আসার পরেই অভিযান শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ওই দিন বিকেল থেকে শনিবার পর্যন্ত ২ হাজার ২৪১টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ২৩৯টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ১১৩টি ইজিবাইক জব্দ করার পর ডাম্পিং করা হয়। চালকদের ভাষ্য, এতে রুটি-রুজির ওপরে আঘাত এসেছে। এর প্রতিবাদে রোববার রাস্তায় নামেন অটোরিকশাচালকরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। এ সময় মিরপুর ও পল্লবীর কালশীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বিকেলে কালশীর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ চালকরা। এর আগে সকালে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষাভ করে তারা। এ সময় ১০-১২টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দীর্ঘ সময় সেখানে যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটে দুর্ভোগে পড়েন অনেকে। থেমে থেমে দিনভর মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বন্ধ করে প্রতিবাদ করে অটোরিকশাচালকরা। তাদের বিক্ষোভের কারণে রাত পর্যন্ত যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। বিক্ষোভকারী চালকদের দাবি, কোনো শর্ত ছাড়া অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালাতে দিতে হবে। তা না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। খিলগাঁওয়ে বিক্ষোভকারী কাশেম মিয়া বলেন, এসব রিকশার মালিক তো আমরা নই, বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি এসবের মালিক। ভাড়া নিয়ে দিন চুক্তিতে চালাই। সরকার এসব বন্ধ করে দিলে আমরা পরিবার নিয়ে কোথায় যাব? বন্ধ করার আগে বিকল্প পথ খুঁজতে আমাদের সময় দিতে হবে। বিআরটিএ জানায়, ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলারের কারণে ঢাকা নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করে ঢাকায় ফিটনেসবিহীন অটোরিকশা বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। |