শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
Published : Thursday, 9 May, 2024 at 6:00 AM, Update: 09.05.2024 9:44:13 PM, Count : 611

বর্তমান প্রতিবেদক: রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিবাহী কমিটির (একনেক) এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকটি রাজধানীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। একনেক চেয়ারপারসন হিসেবে এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। 


সরকারপ্রধান বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বড় কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আসলে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নিজেরা নিজেদের দায় বুঝবে। অর্থ ব্যয়ে সাশ্রয়ী হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বাড়বে। নিজস্ব অর্থেই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেওয়া সম্ভব হবে।  

একনেকের বৈঠকে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি লাখ টাকা। এ অর্থের ৫২০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব। বাকি ৩৬০ কোটি টাকা উন্নয়ন সহযোগিদের ঋণ। অনুমোদিত প্রকল্পর মধ্যে আটটি নতুন এবং দুটি পুরনো প্রকল্পের সংশোধন। একনেকে উত্থাপিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সরকারের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ সচিব পদমর্যাদার অন্যান্য সদস্যগণ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 

শেয়ারবাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তি প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব  বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করবে। কোন প্রতিষ্ঠান কিভাবে শেয়ারবাজারে আসতে পারে, তা খতিয়ে দেখবে মন্ত্রণালয়। 

একনেকে অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার নাম ব্যাবহারের বিষয়ে আপত্তি জানান। দেয়ালে ম্যুরাল ব্যবহারের বিষয়ে আপত্তি তোলেন তিনি। এ সময় কর্মকর্তারা বলেন, এ মুহুর্তে নাম পরিবর্তন করতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নিজের নামকরণের বিষয়টি মেনে নেন। তবে আগামীতে আর কোনো প্রকল্পে নিজের নাম ব্যবহারেরর অনুমতি দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট নির্মাণ প্রকল্পের নামকরণে ‘চায়না এইড প্রজেক্ট’ নাম ঠিক করার নির্দেশ দেন তিনি। 

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রণালয় বাস্তবধর্মী কাজ করে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, একনেক সভায় দুটি প্রকল্পে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। একটি হলো- চট্টগ্রামে বার্ন ইউনিট, অন্যটি খুলনা মেডিকেল কলেজ। এ দুটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে। তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কাজ আগামীতে আরও সহজ হবে। ফলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আগামীতে আরও বেগবান হবে।  

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে—ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব স্ট্যাটাটিকস সার্ভিস বেজড অন প্ল্যাটফর্ম প্রকল্প।  ১৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা। ‘চায়না এইড প্রজেক্ট অব বার্ন ইউনিট অব চিটাগাং মেডিকেল কলেজ হসপিটাল ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২৮৫ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। 

অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বরিশাল জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনবিলিটি ইন দ্যা টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টর প্রকল্প। ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। ঢাকা জেলায় বিদ্যমান সার্কিট হাউজ ভবনের স্থলে নতুন অত্যাধুনিক সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণ প্রকল্প। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নতুন গাজীপুর ব্যাটালিয়নের অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্প। আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): ডিডিএম অংশ তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft