শিরোনাম: |
পদ্মা ব্যাংক ম্যানেজারসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা
|
গ্রাহকের নামে অনুমোদিত ঋণের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দি ফার্মার্স ব্যাংক লি. (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লি.), গুলশান দক্ষিণ অ্যাভিনিউ শাখার ম্যানেজার ও ক্রেডিট ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৬ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- দি ফার্মার্স ব্যাংক লি. (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লি.), গুলশান দক্ষিণ অ্যাভিনিউ শাখার সাবেক ম্যানেজার জর্জ কর্ণেলিয়াস গমেজ ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. রাসেল মিয়া। আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহক বাদশা মিয়ার অনুকূলে অনুমোদিতকৃত সিসি হাইপো এসএমই ঋণের ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রাহকের অজান্তেই গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে বিভিন্ন ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফার কৌশলে আত্মসাৎ করেছে। এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রাহক বাদশা মিয়া মেসার্স শাহী ট্রেডার্সের নামে ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর দি ফার্মার্স ব্যাংকের গুলশান সাউথ অ্যাভিনিউ শাখায় হিসাব লেনদেন শুরু করেন। তিনি ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা কম্পোজিট ঋণের জন্য আবেদন করেন। শাখার ঋণ মঞ্জুরির কোনো ক্ষমতা ছিল না। ঋণের জন্য গ্রাহকের আবেদনের পর ভিজিট রিপোর্টিং, কল রিপোর্টিং, স্টক রির্পোট, সার্ভেয়ার রিপোর্টিং, সিআইবি রিপোর্টিং, ক্রেডিট রিস্ক গ্রেডিং ইত্যাদি করে ঋণ প্রস্তাবটি শাখা ম্যানেজার প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করেন। ২০১৭ সালে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা কম্পোজিট ঋণসীমা অনুমোদন করা হয়। যার মধ্যে গ্রাহক অনুমোদিত ঋণের ৬৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন এবং এ টাকা উত্তোলনের সময় ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার জর্জ কর্ণেলিয়াস গমেজের কথামতো গ্রাহক বাদশা মিয়া তার কাছে রক্ষিত চেক বইয়ের ৬০টি ফাঁকা চেকের পাতাসহ ফাঁকা পে-অর্ডার ও রশিদে সরল বিশ্বাসে স্বাক্ষর করে দেন এবং এ চেক, পে-অর্ডার ও রশিদগুলো ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার জর্জ কর্ণেলিয়াস গমেজের কাছে রেখে দেন। যা ব্যবহার করে এসএমই ঋণের বাকি ৯৫ লাখ টাকা কৌশলে উত্তোলন করে জর্জ কর্ণেলিয়াস গমেজ ও রাসেল মিয়া আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদক প্রমাণ পায়। পরবর্তীতে আসামিরা অপরাধ স্বীকার করে চেকের মাধ্যমে কয়েক দফায় গ্রাহককে ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত প্রদান করলে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ৪(৩) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। |