শিরোনাম: |
মিউনিখে শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতিই আমরা দেখলাম: ওবায়দুল কাদের
|
বর্তমান প্রতিবেদক : মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ এবং তার বক্তব্যে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা মুখর ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তারপরও আজ এই সংকটে সিকিউরিটির মতো সেনসেটিভ ইস্যুতে নিমন্ত্রণ পাওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। এখানে শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতিই আমরা দেখলাম।
সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। দেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও সার্বভৌমত্বে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে বলে বিএনপি নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনও বিবেকবান রাজনীতিক এ কথা বলতে পারেন না। এটা হচ্ছে পাগলের অসংলগ্ন প্রলাপ। বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যাচার চিরজীবনই। তাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য বিষয়। এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার- বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দলের এখন আর কিছু নেই। জনগণ নেই, তাদের কর্মীরাও নেই। এখন কিছু না কিছু তো জনগণ ও কর্মীদের সামনে বলতে হবে। এ জন্য কথামালার চাতুরি তারা করছে। তিনি বলেন, কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতির দিকে। বাজার ওঠানামা চিরদিনই আছে। বিশ্ব পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। সরকার এখানে কোনও উদাসীনতা দেখায়নি। সক্রিয় আছে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশ সদা জাগ্রত। মিয়ানমারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে এর ফলে সীমান্তে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকতে পারে। কাজেই এই বিষয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে। গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ভাঙ্গা হচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা সংসদে বিরোধী দল গঠন করেছে এর বাইরে জাতীয় পার্টির নামে কোন একটা ভাগ সৃষ্টি করা হলে সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। এতে জাতীয় সংসদে থাকা জাতীয় পার্টির কেউ নেই। কাজেই এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কিংবা উদ্বেগের কিছু নেই। ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বায়ু দূষণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইটের ভাটা বন্ধ করা একটা বড় কাজ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ। |