শিরোনাম: |
ডেরিভেটিবসের লেনদেন সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে: সিএসই এমডি
|
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি) এবং চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি(সিএসই)-এর মধ্যকার দুইদিনব্যাপী নলেজ শেয়ারিং কর্মশালা শুরু হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিএসই-এর চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম। বিএসইসি থেকে আরও ছিলেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম এবং পরিচালক মোঃ আবুল হাসান এবং ডেরিভেটিবস ও রেজিস্ট্রেশন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ। এ সময় সিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা, মোহাম্মেদ মাহাদি হাসান, সিএফএ, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এস্টাবলিশমেন্ট টিমের সদস্যগণ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার,এফসিএ,এফসিএমএ বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজকের এই কর্মশালা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কারন আমাদের দেশে ডেরিভেটিবসের লেনদেন শুরু হলে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে, কেননা সারা পৃথিবীতে ডেরিভেটিবসের লেনদেন ব্যাপকভাবে সমাদৃত । এই কর্মশালার মাধ্যমে সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পাদন করার জন্য করনীয় পদক্ষেপগুলো দ্রুত ত্বরান্বিত হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিএসইসি এবং সিএসই উভয় টিমের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি সফল প্রকল্প প্রানবন্তভাবে নির্দিষ্ট সময়ে ‘গো লাইভ’ করা সম্ভবপর হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি-এর কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, যে কোনো কাজ সুন্দর ও সফলভাবে সম্পাদনের জন্য আমাদের অবশ্যই করনীয় বিষয়গুলোর উপর আরও গুরুত্ব প্রদান করা খুবই জরুরী । প্রতিটি পদক্ষেপকে ভালভাবে বিশ্লেষণ করে, পরবর্তী করনীয়/লক্ষ্য স্থাপন করে আমাদেরকে কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করার মনসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে বিএসইসির পক্ষ থেকে যা যা করনীয় সে ব্যাপারে সহযোগিতা দিতে কমিশন সদা প্রস্তুত এবং সেই সাথে সিএসইর সংশ্লিষ্ট টিমকে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও এর সাথে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিবর্গ, স্টেক হোল্ডারসমূহ, এসোসিয়েশন এবং সকল প্রয়োজনীয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে সম্পৃক্ত কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিতে হবে। আলোচনা পর্বে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পরবর্তী করনীয় বিষয়গুলো সঠিকভাবে দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প সম্পাদন করাই হবে আমাদের বিবেচ্য বিষয়। বিএসইসির পরিচালক মোঃ আবুল হাসান বলেন, আমরা উভয় পক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি সফল কমোডিটি ডেরিভেটিবস এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করতে পরবো। অনুষ্ঠানে সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এস্টাবলিশমেন্ট টিমের কনভেনার, মোঃ গোলাম ফারুক কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রকল্পের বর্তমান অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি বিবরন উপস্থিতিদের অবগত করেন। তাঁর বক্তব্যে ২০২৪ এর শেষ দিকে কমোডিটি ডেরিভেটিবস এক্সচেঞ্জ ‘গো লাইভ’ হওয়ার সম্ভাবনার কথা আশা ব্যক্ত করেন। এর পর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ টিম এর অন্যান্য সদস্যগন তাদের কাজের বর্তমান অগ্রগতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানটিতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রকল্পের কনসালটেন্ট মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া(এমসিএক্স)-এর হেড অব রিসার্চ, দেবজ্যোতি দে, অনলাইন এর মাধ্যমে সংযুক্ত হন। তিনি এবং সিএসইর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এস্টাবলিশমেন্ট টিম এর মেম্বার সেক্রেটারি ফয়সাল হুদা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ইকোসিস্টেম, ট্রেডিং মেকানিজম, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ-এর সেটেলমেন্ট কার্যপ্রণালী এবং এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা এইসব যাবতীয় বিষয়াবলী সম্পর্কে টেকনিক্যাল উপস্থাপনা প্রদান করেন এবং উপস্থিতিদের অবহিত করেন। |