শিরোনাম: |
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার শুনানি আজ
|
ফিলিস্তিনের গাজায় ‘গণহত্যার অপরাধে’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার শুনানি আজ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে শুরু হচ্ছে মামলার গণশুনানি। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার শুনানি আজ ও আগমীকাল শুক্রবার চলবে। ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে নৃশংস হামলা বন্ধের দাবিতে গত ডিসেম্বরের শেষে আইসিজেতে মামলাটি দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে, যেখানে ১০ হাজারের বেশি শিশু। এই মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করেছে, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ইলন লেভি মামলার বিরুদ্ধে লড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা অভিযোগ অযৌক্তিক। বুধবার রাজধানী জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে লেভি বলেন, ‘হামাসের জঙ্গিদের রক্ষা করতে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার যে অযৌক্তিক অভিযোগ প্রিটোরিয়া এনেছে, তা মোকাবিলা করতে বৃহস্পতিবার আদালতে ইসরায়েলের প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার করা এই মামলায় সমর্থন দিচ্ছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ৫৭ সদস্যের এই সংস্থায় সৌদি আরব, ইরান, পাকিস্তান, মরক্কোর মতো দেশ গত ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকাকে সমর্থন জানিয়েছে। ২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সমর্থনের কথা জানানো হয়। এ ছাড়া তুরস্ক, জর্ডান, বলিভিয়া, মালদ্বীপ, নামিবিয়া ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও সমর্থন জানানো হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে সমর্থন জানানো হয়েছে। সর্বশেষ এই মামলায় সমর্থন জানিয়েছে ব্রাজিল। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক বৈঠককালে দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা সমর্থন জানান। অন্যদিকে এ মামলার বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত (ইসরায়েলের) এমন কোনো কর্মকাণ্ড দেখিনি, যাকে গণহত্যা বলা যেতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য দায়ী প্রমাণ করতে পুরো মামলাটির কার্যক্রম কয়েক বছর চলতে পারে, তবে এই সপ্তাহের শুনানিটি হচ্ছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জরুরি একটি পদক্ষেপ। |