শিরোনাম: |
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক ওয়ানডে জয় টাইগারদের
|
বর্তমান ডেস্ক: চার পেসারের আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মত ওয়ানডে ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের মুখে পড়েছিলো বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এই জয়ে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সক্ষম হলো টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারলো শান্ত-লিটনরা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আগের ১৮ ম্যাচেই হেরেছিলো বাংলাদেশ। হারের বৃত্ত ভেঙ্গে ১৯তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের নজির গড়লো টাইগাররা। সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫তম ওয়ানডেতে ১১তম জয় বাংলাদেশের।
চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট উপহার দেন পেসার তানজিম। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৮ রান করা রাচিন রবীন্দ্র। শুরুতেই উইকেট হারানোর পর সাবধানে খেলতে শুরু করেন আরেক ওপেনার উইল ইয়ং ও তিন নম্বরে নামা হেনরি নিকোলস। এই জুটিকে ২০ বলের বেশি একত্রে এগোতে দেননি তানজিম। পুল করতে গিয়ে মিড অনে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে তানজিমের দ্বিতীয় শিকার হন ১ রান করা হেনরি নিকোলস। ২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ইয়ং ও অধিনায়ক টম লাথাম। বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে ১৫তম ওভারে দলের রান ৫০ পার করেন তারা। ইয়ংকে শিকার করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের ১৪তম বোলার হিসেবে ৫০তম উইকেট পূর্ণ করেন শরিফুল। ইয়ংয়ের পর নতুন ব্যাটার মার্ক চাপম্যানকে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেননি শরিফুল। দারুন এক ডেলিভারিতে ২ রান করা চাপম্যানকে বোল্ড করেন তিনি। শরিফুল শো’তে ৬৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় স্পেলে ৩ ওভারে ৬ রানে ৩ উইকেট নেন শরিফুল। এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও শরিফুলকে সরিয়ে, প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ৯ রানে দুই উইকেট নেওয়া তানজিমকে আক্রমনে ফিরিয়ে আনেন শান্ত। ২৩তম ওভারে ফিরেই প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলকে ৪ রানে বিদায় করেন তানজিম। শরিফুল-তানজিমের আগুন বোলিংয়ে ৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে খাদের মধ্যে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দু’পেসারই সমান ৩টি করে উইকেট নেন। শরিফুল-তানজিদের সাথে উইকেট শিকারে মেতে উঠেন সৌম্য। প্রথম ৩ ওভারে উইকেট না পেলেও, পরের তিন ওভারে ৩ উইকেট শিকার করেন সৌম্য। জশ ক্লার্কসনকে ১৬ রানে বোল্ড, ব্যক্তিগত ৪ রানে এডাম মিলনের উইকেট উপড়ে ফেলা এবং আদিত্য অশোককে ১০ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সৌম্য। স্কোর কার্ড : (টস-বাংলাদেশ) নিউজিল্যান্ড ইনিংস : ইয়ং ক মিরাজ এন্ড ব শরিফুল ২৬ রবীন্দ্র ক মুশফিকুর ব তানজিম ৮ নিকোলস ক শান্ত ব তানজিম ১ লাথাম ব শরিফুল ২১ ব্লান্ডেল ক মিরাজ ব তানজিম ৪ চ্যাপম্যান ব শরিফুল ২ ক্লার্কসন ব সৌম্য ১৬ মিলনে ব সৌম্য ৪ অশোক ক মুশফিক ব সৌম্য ১০ ডাফি অপরাজিত ১ ও’রউক ব মুস্তাফিজ ১ অতিরিক্ত (বা-১, ও-৩) ৪ মোট (অলআউট, ৩১.৪ ওভার) ৯৮ উইকেট পতন : ১-১৬ (রবীন্দ্র), ২-২২ (নিকোলস), ৩-৫৮ (লাথাম), ৪-৬১ (ইয়ং), ৫-৬৩ (চ্যাপম্যান), ৬-৭০ (ব্লান্ডেল), ৭-৮৫ (ক্লার্কসন), ৮-৮৬ (মিলনে), ৯-৯৭ (অশোক), ১০-৯৮ (ও’রউক)। বাংলাদেশ বোলিং : শরিফুল : ৭-০-২২-৩, তানজিম : ৭-২-১৪-৩, মুস্তাফিজ : ৭.৪-০-৩৬-১ (ও-২), সৌম্য : ৬-১-১৮-৩ (ও-১), মিরাজ : ১-০-৩-০, রিশাদ : ৩-০-৪-০। বাংলাদেশ ইনিংস : সৌম্য আহত অবসর ৪ আনামুল ক ব্লান্ডেল ব ও’রউক ৩৭ শান্ত অপরাাজিত ৫১ লিটন অপরাজিত ১ অতিরিক্ত (নো-২, ও-৪) ৬ মোট (১ উইকেট, ১৫.১) ৯৯ উইকেট পতন : ০-১৫ (সৌম্য, আহত অবসর), ২-৮৪ (আনামুল)। নিউজিল্যান্ড বোলিং : মিলনে : ৪-০-১৮-০, ডাফি : ৫-০-২৭-০ (ও-২) (নো-২), ক্লার্কসন: ২-০-১৯-০, ও’রউক : ৪-০-৩৩-১ (ও-২), অশোক : ০.১-০-২-০। ফল : বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : তানজিম হাসান সাকিব (বাংলাদেশ)। সিরিজ সেরা : উইল ইয়ং (নিউজিল্যান্ড)। সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলো নিউজিল্যান্ড। |