শিরোনাম: |
বেশিরভাগ কেন্দ্রে ব্যালট যাবে সকালে
|
বর্তমান প্রতিবেদক : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ এলাকায় ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে দুর্গম পার্বত্য এলাকা, হাওর ও চরাঞ্চলসহ জেলা-উপজেলা-মহানগর থেকে বেশি দূরে অবস্থিত কেন্দ্রে সকালে ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না, সে বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করবেন। এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছে ইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, দূরত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যন্ত, দুর্গম এলাকা ছাড়া ভোটকেন্দ্রে সকালেই ব্যালট পেপার পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ৩১ ডিসেম্বরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন কমিশন থেকে নিতে রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর দুর্গম এলাকায় স্থানীয় রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী সুবিধাজনক সময়ে পাঠানো হবে।’ এর আগে গত ১৬ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ভোটের তিন-চার দিন আগেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু করবেন তারা। ব্যালট পেপার জেলা পর্যায়ে চলে যাবে নির্বাচনের তিন-চার দিন আগে। ভোটকেন্দ্রে কখন পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ওই সময় কমিশন যে পরিপত্র জারি করবে তখন বিষয়টি উল্লেখ থাকবে। ইতোমধ্যে ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্র জারি করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ব্যালট পেপার ভোটগ্রহণের দিন সকালে নিরাপত্তার সাথে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য যাচাই-বাছাই ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। এদিকে জাপানের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ বিষয়ে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও। প্রথম বারের মতো ভোটের দিন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাওয়া প্রসঙ্গেতিনি বলেন, ‘এটা অনেকের দাবি ছিল। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাওয়ায় নির্বাচনের স্বচ্ছতা বাড়াবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সকালে ব্যালট যাওয়ার ফলে ফেয়ারনেস নিয়ে সংশয় থাকলে কিছুটা হ্রাসপ্রাপ্ত হবে বলে আশা করি।’ সিইসি বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যতদূর সম্ভব ভোটগ্রহণ শুরুর আগে সকালে ব্যালট পাঠানো হবে। এটা নিয়ে আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করেছি, তবে কিছু কিছু এলাকা সকালে সম্ভব হবে না। যেগুলো দূর্গম-দূরবর্তী, হাওর-বাওড় এলাকা অথবা যেখানে জলপথে যেতে হয় সেখানে পাঠানো সম্ভব হবে না। এছাড়া দ্বীপাঞ্চলেও সম্ভব হবে না। এই জন্য একটা পরিপত্র জারি করেছি ব্যালট পেপার ভোটগ্রহণের আগে সকালে যাবে প্রসঙ্গে। রিমোট এলাকা হলে হেলিকপ্টপার ব্যবহার করা হবে।’ রিমোট এলাকায় সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব হবে না প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা আমাদের কাছে অনুমোদন গ্রহণ করবেন, যেগুলো সম্ভব হবে না অর্থাৎ রিমোট এলাকা। আমাদের বিচার বিবেচনা করেই তাদের প্রস্তাব অনুমোদন করে দেবো। তাছাড়া যতদূর সম্ভব ব্যালট পেপারগুলো ভোটের দিন সকালে যাবে।’ স্বচ্ছ বক্স ও সকালে ব্যালট বুঝিয়ে নিতে পোলিং এজেন্টদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যালট বক্সগুলো দুই থেকে চার দিন আগেই যাবে। ব্যালট বক্স স্বচ্ছ কিনা দেখে নিতে হবে। পোলিং এজেন্ট উপস্থিত থাকতেই হবে। ব্যালট দেখে পোলিং এজেন্টেদের সই করতে হবে। ব্যালট পেপার খালি ছিল ও সকালে ব্যালট গেছে, এটা সবাইকে দেখে নিতে হবে।’ |