শিরোনাম: |
ভুলবশত ৩ জিম্মিকে হত্যা করল ইসরায়েলি সেনারা
|
ভুলবশত হামাসের হাতে আটক তিন জন জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নিহতরা হলেন ইয়োতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) এবং অ্যালোন শামরিজ (২৬)। বৃহস্পতিবার গাজার উত্তরাংশে শেজাইয়া এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘাতের সময় স্থলবাহিনীর সেনাদের গুলিতে এই তিনজন নিহত হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলেরর প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। কী কারণে এই ভুল ঘটল, তা বের করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আইডিএফ আরও বলেছে, ‘নিহতদের পরিবারের প্রতি আইডিএফের পক্ষ থেকে গভীর শোক জানানো হচ্ছে। আমাদের এই অভিযানের লক্ষ্য সব জিম্মিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা।’ গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশপাশি ইসরায়েল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন; এবং রয়েছেন শিশু, নারী, তরুণ-তরুণী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা— সব বয়সী মানুষ। দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গত ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাস। প্রথমে চার দিনের বিরতি ঘোষণা করলেও পরে এই বিরতির মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ানো হয়। ৭ দিনের এই অস্থায়ী বিরতির সময় নিজের হাতে আটক ২ শতাধিক জিম্মির মধ্যে থেকে ১১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস; আর এই সময়সীমায় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে। শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিসেব অনুযায়ী হামাসের কব্জায় ১৩২ জন জিম্মি থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে তাদের মধ্যে জীবিত রয়েছেন ১১২ জন, এবং বাকি ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে গোয়েন্দা সূত্রে। বিবিসি |