শিরোনাম: |
বিএনপি জামায়াতের অবরোধ’
নাশকতা ঠেকাতে রাত জেগে নেতা-কর্মী নিয়ে রাজশাহীর রাস্তায় দারা
|
রাজশাহী ব্যুরো: বিএনপি জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন থেকেই রাজশাহীতে রাস্তায় ছিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ সদস্য কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা।হরতাল ও অবরোধের প্রতিবাদে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাজশাহীর বিভিন্ন গুরুত্বপূণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছেন তিনি।শুধু তাই নয়!নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে গেছেন,পুঠিয়া দুর্গাপুরের একদম প্রত্যান্ত গ্রাম গুলোতেও। সরেজমিনে দেখা যায়,গত ৩০ অক্টোবর রাজশাহীর পুঠিয়া বাজারে নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তি সমাবেশ করেন তিনি।১ নভেম্বর সকালে পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা বাজারে শান্তি সমাবেশ করেন।একই দিনে বিকেল ৩ টায় পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নে সেনভাগ বাজারে শান্তি সমাবেশ করা হয়।২ নভেম্বর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নে,বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলায় নেতাকর্মীদের নিয়ে দুর্গাপুর বাজারে শান্তি সমাবেশ করেন তিনি।৫ নভেম্বর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে শান্তি সমাবেশ করেন তিনি।এর আগে অক্টোবর ও নভেম্বর রাজশাহীর দুর্গাপুর ও পুঠিয়ার বিভিন্ন রাস্তায় নেতাকর্মীদের নিয়ে নাশকতা ঠেকাতে অবস্থান নেন তিনি।প্রশাসনের সহযোগিতায় দিন রাত এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তিনি রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে যেন কোন দুর্বৃত্ত কোন যানবহনের ক্ষতি না করতে পারে সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই মাঠে রয়েছেন।এ কারণে এখন পযন্ত এই এলাকায় মহাসড়ক হলেও জামায়াত-বিএনপি কেউ তাদের আন্দোলন জোরদার করতে পারেনি।তবে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ক্ষোভ আব্দুল ওয়াদুদ দারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কিন্তু তিনি এই আসনে এখন ক্ষমতায় না থেকেও যেটা করছেন সেটা বর্তমান সাংসদের করার কথা।কিন্তু এই দুঃসময়ে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।তার অনুসারীরাও মাঠে নেমে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করছেন না।হরতাল ও অবরোধের নাশকতা ঠেকাতে বর্তমান সাংসদ সদস্য গত দুইমাস থেকে মাঠে দেখা যায়নি।দলের সুবিধা নিয়ে হাইব্রিটদের তিনি চলছেন। এমনটা বলেছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম ফারুক/রবিউল ইসলাম রবিসহ তৃণমূলের নেতারা।
প্রতিদিন রাজশাহীর এই আসনটিতে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করেছেন আব্দুল ওয়াদুদ দারা।এ সময় নেতাকর্মীরা অবস্থান নিচ্ছেন। সেখানে জড়ো হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।এছাড়াও ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ,কৃষক লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবরোধবিরোধী কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। বানেশ্বর,শিববপুর,বেলপুকুর,বিড়ালদহ,তারাপুর,পুঠিয়া,ঝলমলিয়া,সেনভাগসহ রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের এলাকা ঘুরে দেখে যায়,গুরুত্বপূর্ণ প্রায় প্রতিটি সড়কের মোড়ে আব্দুল ওয়াদুদ দারার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ৩০ থেকে ৫০ জন নেতা-কর্মী আছেন।ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বলছেন,বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য থেকে জানমালের নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রের নির্দেশে তারা রাজপথে সতর্ক পাহারায় রয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, সাধারণ মানুষের রাস্তায় চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নেতাকর্মী নিয়ে দিন-রাত আমরা মাঠে আছি।বিএনপি ও জামায়াতকে আমরা কোন জ্বালাও-পোড়াওয়ের আর কোনো সুযোগ দেবো না।সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।যত দিন বিএনপির অবরোধ-হরতাল থাকবে,তারা এভাবেই সতর্ক অবস্থানে আমরা থাকবো।তারা যতই জ্বালাও-পোড়াওয়ের চেষ্টা করবে,তাদের কঠিনভাবে প্রতিহত করা হবে।এই অবরোধ জনগণ প্রত্যাখান করেছে।দেশের উন্নয়ন ও মানুষ ভালো আছে বিএনপি জামায়াত তা চায় না। |