শিরোনাম: |
খুলনা-সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করবে ৪ এনজিও
দুর্যোগ কবলিত এলাকায় প্রতিবন্ধীবান্ধব বোট দিয়ে হুইলচেয়ারে প্রতিবন্ধীরা চলাচল করতে পারবে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
|
বর্তমান প্রতিবেদক: প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো.
এনামুর রহমান বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আমাদের সঙ্গে বসলেই প্রতিবন্ধী
মানুষের অধিকার রক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি আমাদের প্রতিবন্ধীবান্ধব বোট
তৈরির একটি নকশা দেন। ওই নকশা দিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে ৬০টি বোট তৈরি করেছি।
দুর্যোগ কবলিত এলাকাসমূহে এসব মাল্টিপারপাস অ্যাক্সেসিবল রেসকিউ বোট
পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকটা বোটেই র্যাম্প আছে। র্যাম্প দিয়ে প্রতিবন্ধীরা
হুইলচেয়ার দিয়ে চলাচল করতে পারবে।
আয়োজকরা আরও জানান, অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, নবলোক পরিষদ, ডিজএ্যাবল্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশন ও কারিতাস বাংলাদেশ-এর যৌথ আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় ‘এস্টাবলিশিং ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট কমিউনিটিজ ইন সাতক্ষীরা’ এবং খুলনা জেলার দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ধীন। দুই প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে ‘সিবিএম গ্লোবাল ডিজএবিলিটি ইনক্লুশন’। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়
সিবিএম-এর গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে ‘গাইবান্ধা মডেল’ এবং ‘ইনক্লুসিভ
ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন হ্যান্ডস অন টুল অ্যাপ’ অন্যতম। আগামী দিনে সিবিএম
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনদের সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়ে আরও বিস্তর পরিসরে
কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় দুর্যোগ কবলিত এলাকাসমূহে মাল্টিপারপাস অ্যাক্সেসিবল রেসকিউ বোট তৈরির মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আইন, নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নে আমাদের আরো উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি সভায় আলোচিত বিষয়সমূহের একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে জমা দিতে বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এনজিওগুলোর প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝূঁকি হ্রাস বিষয়ক আরও বেশি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে এবং তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে একটি মডেল। সরকার নতুন শেল্টার সেন্টারগুলো প্রতিবন্ধীবান্ধব করে গড়ে তুলছে। কিন্তু পুরোনো সেন্টারগুলো প্রতিবন্ধীবান্ধব করতে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দিলরুবা আক্তার বলেন, প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝূঁকি হ্রাসের কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য এনজিওগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং সরকারের ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গ্রহণের জন্য তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। সিবিএম গ্লোবাল ডিজএবিলিটি ইনক্লুশন বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মুশফিকুল ওয়ারা তার বক্তব্যে বলেন, সিবিএম গ্লোবালি অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে। আমাদের প্রোগ্রামগুলো সাধারণত দরিদ্র এলাকাগুলোয় করে থাকি। আমরা চাই সকল প্রতিন্ধী মানুষ একজন সাধারণ মানুষের মত সমার সুযোগ সুবিধা পাবে। সভাপতির বক্তব্যে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারপারসন মহুয়া পাল বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সকল কমিটিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সহযোগিতা করা উচিত। অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশননের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা বলেন, দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, যা হ্রাস করতে প্রকল্প দুটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। নবলোক পরিষদের রিয়াদুল করিম এবং কারিতাস বাংলাদেশ-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সরোজ পি. কোরাইয়া প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। সিবিএম-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাজিন হোসাইন প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝূঁকি হ্রাস এবং উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে অলোচনা করেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ডিজএ্যাবল্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক নাসরিন জাহান, কারিতাস বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক সেবাষ্টিয়ান রোজারিও এবং নবলোক পরিষদ -এর নির্বাহী পরিচালক কাজী রাজীব ইকবাল। |