শিরোনাম: |
বিএনপি শুধু ধ্বংস ও লুটপাট করতে জানে জনগণের সেবা করতে জানে না : প্রধানমন্ত্রী
|
বর্তমান প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তারা কেবল ধ্বংস করতে জানে, দুর্নীতি ও লুণ্ঠন করতে জানে কিন্তু জনগণের সেবা করতে জানে না। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) ধ্বংস করতে জানে, কিছু তৈরি করতে জানে না, মানুষের সেবা করতে জানে না, তারা শুধু দুর্নীতি ও লুটপাট করতে জানে এবং সেই সাথে স্বার্থ পূরণ করতে জানে।’প্রধানমন্ত্রী আজ আখাউড়া-লাকসাম ডাবল ট্র্যাক প্রকল্পের অধীনে নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল-গেজ ডাবল রেললাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কুমিল্লার লাকসামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেবে না, তবে কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের পুনরাবৃত্তি হলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। ২০১৩-২০১৫ সময়কালে বিএনপি জামায়াত চক্রের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতি করতে বাধা দেব না এবং করছিও না। কিন্তু, তারা আবার রেলে আগুন দিলে বা জনগণের কোনো ক্ষতি করলে রেহাই পাবে না।’ তিনি বলেন, সর্বত্র ক্যামেরা থাকবে এবং কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড করলে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে। সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে রক্ষা পেতে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, আমরা তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে চাই। নবনির্মিত ৭২-কিমি ডুয়েল-গেজ ডাবল ট্র্যাকের সাথে পুরো ৩২১-কিমি ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরটি একটি ডাবল লাইনে পরিণত হয়েছে, যার পরিচালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ভ্রমণের সময় ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সাশ্রয় হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং রেলওয়ে সচিব ড. হুমায়ুন কবির স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি সন্ত্রাস ছাড়া কিছুই বোঝে না।’ বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের অপকর্ম ও নিষ্ঠুরতার কথা ও উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১২৬টি নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ, ২২৩টি স্টেশন ভবন পুনর্র্নিমাণ, ৭৩২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ এবং ৭৭৪টি রেলসেতু পুনর্র্নিমাণ বা পুনর্র্নিমাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তাঁর সরকার ২০০৯ সাল থেকে ১১১টি লোকোমোটিভ, ৫৮৮টি যাত্রীবাহী গাড়ি ও ৫১৬টি ওয়াগন (পণ্য বহনের জন্য) সংগ্রহ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রুটে ১৪৩টি নতুন ট্রেন চালু করেছি।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকার আঞ্চলিক ও স্থানীয় রেল যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক বাড়াতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন আরো ৪৬টি ব্রড-গেজ লোকোমোটিভ, নতুন আরো ৪৬০টি ব্রড-গেজ যাত্রীবাহী কামরা, ১৫০টি নতুন মিটার-গেজ যাত্রীবাহী বগি, নতুন ১২৫টি আধুনিক লাগেজ ভ্যান ও ১ হাজার ৩১০টি নতুন ওয়াগন সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’ |