শিরোনাম: |
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
|
বর্তমান প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বৃহস্পতিবার সকালে তেজগাঁওর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। চলতি মাসে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগের পূর্বে রাষ্ট্রদূত হাস সিরিজ বৈঠক করছেন। মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক তারই ধারাবাহিকতার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পিটার হাস বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে নিরাপত্তা এসকর্ট কেন আচমকা প্রত্যাহার হলো সে বিষয়ে জানতে চান। বৈঠকে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত স্বতন্ত্র ভিসানীতি নিয়ে আলোচনা হয়। মার্কিন দূতের বিদায়ের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে ভিসানীতি করেছে, তা নিয়ে রাষ্ট্রদূত আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে এসেছিলেন। আমি বলেছি একটি সুন্দর নির্বাচন হবে। কোনো ষড়যন্ত্র না, কোনো রকমের মাসলম্যানের অভ্যুত্থান না, কিংবা বন্দুকের নল না, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই একটি নির্বাচন হোক, আমরাও সেটি চাই। আলোচনায় রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার বিষয়টি এসেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে কেন তার সড়ক নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হলো সেই প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। আমরা বলেছি, সিস্টেমে পরিবর্তনের কারণে এটা হয়েছে। তবে কূটনৈতিক পাড়ায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি হবে না।’ ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি ঘোষণা করেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো ব্যক্তিকে ভিসা প্রদানে যখন-তখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। |