শিরোনাম: |
আসন্ন নির্বাচনের নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত!
সুবাতাস বইছে রাজশাহীর আওয়ামী লীগে, হাইব্রিডদের দলে আসার সুযোগ নেই: সাবেক এমপি কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা
|
সবুজ ইসলাম, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা। মূলত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বেগমান করতে এবং মাঠ পর্যায়ের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া পরীক্ষিত সৈনিক হিসেবে আ’লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে আছেন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে নিজ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন ও জনগণের মনে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে অল্প সময়ে জায়গা করে নিয়েছেন। সেই সু-বাদে পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আ’লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে রাজশাহীর জেলা আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। যার মধ্যদিয়ে আজ সিটি নির্বাচনে রাজশাহী আ’লীগের রাজনৈতিক প্রেক্ষ্যাপট বেগমান ও দৃশ্যায়িত হয়ে উঠেছে। জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়া সাংগঠনিক কার্যক্রমের পরিধীক্ষেত্রের রসালো সু-বাতাসে আজ অনেকেই দলীয় প্রধানের কাছে যোগ্য নেতা হবার আশীর্বাদ পুষ্ঠ হয়েছেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জেলা আ’লীগে নানান গুঞ্চন এবং মতবিরোধ দেখা গেলেও মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্মসূচী থেকে শুরু করে চলমান ও ক্রমবর্ধমান জনবান্ধব আ’লীগ নেতা-কর্মীদের নৌকার সমর্থনে পিছিয়ে নেই। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে পুঠিয়া-দুর্গাপুরের মানুষ সুখের কান্ডারী ও মানবতার সমাধান হিসেবে তৃতীয়বার সংসদ সদস্য ও এলাকার উন্নয়নে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়; যা নিয়ে প্রতিনিয়ত নানান গুঞ্চন চলছে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে উত্তরের রাজনৈতিক অঙ্গনে। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপট, আসন্ন সিটি করর্পোরেশন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জেলা আ’লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতির পরিকল্পনা নিয়ে উত্তরাঞ্চলের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া লড়াকু সৈনিক রাজশাহী জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা একান্তভাবে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বলেছেন, রাজশাহী সিটি করর্পোরেশনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকার মনোয়ন দিয়েছেন এএইচ খায়রুজ্জামান লিটনকে। তাই জেলা আ’লীগ সবসময় নৌকার পক্ষে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আসন্ন রাজশাহী সিটি করর্পোরশন নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যে জেলা আ’লীগ থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরীর পাড়া-মহল্লায় প্রতিনিয়ত বর্ধিত সভা চলমার রয়েছে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় ও আলোচনা করা হচ্ছে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও পাড়া-মহল্লার ক্লাবগুলোতে দলীয় সমর্থনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে সাংগঠনিক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এতে আসন্ন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে আ’লীগের নৌকার প্রতীক বিজয় হবেই বলে- আশা ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া পরিক্ষিত সৈনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আসন্ন সিটি নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করতে আমাদের নেতা-কর্মীরা বদ্ধ পরিকর। ‘আমরা মচকে গেলেও ভেঙ্গে পড়বো না- নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবেই।’ তিনি বলেন, সরকারীভাবে এখনো নৌকার নির্বাচনী প্রচারণা করার তারিখ দেয়া হয়নি। নির্বাচনী প্রচারণার তারিখ ঘোষণা হলে রাজশাহী জেলা আ’লীগের নেতা-কর্মীরা মহানগরে বসবাস করে তারা নিয়মিত নৌকার প্রচারণা চালিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিটি করর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকার প্রচারণা করার জন্য ওয়ার্ড কমেটি গঠন করা হয়েছে। আসন্ন সিটি নির্বাচন ঘিরে রাজশাহী জেলা আ’লীগে গ্রুপিং কিংবা রাজনৈতিক অসংগতি দেখছেন কি না এমন প্রশ্নে সাবেক এমপি কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীন বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এখানে মতবিরোধ থাকবে। কিন্তু আমরা যারা আ’লীগ করি তাদের একটাই আদর্শ; আর তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের রুপকার ও বাঙ্গালীর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। আর বর্তমান রাজনীতিতে আমরা যারা আ’লীগ পরিবারের সন্তান তারা একমাত্র নির্দেশ মানি; তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন ও জননেত্রী টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁর নির্দেশের কোন ব্যপ্তয় হয়নি বা এখনো হবে না। তিনি আরও বলেন, আসন্ন সিটি নির্বাচন থেকে শুরু করে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের কোন গ্রুপিং বা অসংগতির সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার মনোয়ন দিবেন তার পক্ষেই কাজ করতে হবে- এটা দিনের আলোর মতো পরিস্কার। জেলা আওয়ামী লীগের কেউ যদি নৌকার বিরোধীতা করে; তাহলে কি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি না এ প্রসঙ্গে সাবেক এমপি দারা বলেন, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নৌকার বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আ’লীগে কিছু হাইব্রিড নেতা আসছে; যারা বিগত দিনে কখনোই আ’লীগ করেনি তাদের প্রসঙ্গ নিয়ে রাজশাহী জেলার সেক্রেটারী কাজী দারা বলেন, বর্তমান সময়ে আওয়ামী-লীগে হাইব্রিড নেতা এটা সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। যারা দলের ত্যাগী এবং প্রবীণ নেতা তারা এইসব তথাকথিত হাইব্রিডদের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। দলের দুঃসময়ে এগুলো হাইব্রিড নেতাদের আর খুজেঁ পাওয়া যায় না। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসছে; এখন সবচেয়ে বেশি হাইব্রিড নেতাদের দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু আমি সকলের কাছে বলতে চাই- জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে হাইব্রিডদের দলে আসার কোন সুযোগ নেই। হাইব্রিড নিমূর্লে আমরা জেলা আ’লীগ একযোগে বদ্ধপরিকরভাবে কাজ করছি। সামনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হবেন কি না এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্তাভাজন যোগ্য নেতা উত্তরাঞ্চলের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া সৈনিক আ’লীগ পরিবারের সন্তান সাবেক দুইবারের সংসদ কাজী দারা বলেন, আমি বংশ পরমপরায় আওয়ামী লীগ করি। সারাজীবন পরিক্ষিতভাবে আ’লীগ ও নৌকার জন্য কাজ করে যাচ্ছি; ইতোমধ্যে নেত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় আমাকে রাজশাহী জেলার সাংগঠনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব অরপন করা হয়েছে। যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরন্ত শেখ হাসিনা আমার প্রতি আস্থা রেখে নৌকার মনোয়ন দেন; তাহলে সংসদ নিবার্চন করবো। |