শিরোনাম: |
আনারসের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক, আছে অপকারিতাও
|
বর্তমান ডেস্ক: গ্রীষ্মকালীন ফল আনারস। এই রসালো ফলে অনেক পুষ্টি রয়েছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আনারসের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যা আমাদের অনেকেরই অজানা। আনারসের যত উপকারিতা-
* ত্বকের যত্নে আনারস বেশ কার্যকরী। তৈলাক্ত ত্বক ও ব্রণ দূর করে থাকে আনারস। তাই ত্বকের যত্নে খেতে পারেন আনারস। এছাড়াও ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং ত্বককে কুঁচকানোর হাত থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে আনারস। * ব্রোমেলেন এনজাইমগুলো ব্যথা এবং ফোলা প্রতিরোধে সাহায্য করে আনারস। আর্থারাইটি নির্মূলে এটি উপকারী। আনারসে থাকা অ্যান্টি-ফ্ল্যামেটরি শরীরে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। * জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী আনারস। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি যা দেহে শক্তি জোগায়। * ত্বকের অসুখ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যে কোনো অসুখের প্রতিরোধ করে আনারস। কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।যা এসমস্ত রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। * কৃমিজনিত সমস্যা দূর করে থাকে আনারস। এর জন্য খেতে পারেন আনারসের রস। এতে করে কৃমির সমস্যা দূর হবে। * হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে আনারস। * ভাইরাসজনিত ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে আনারস। * দেহের কোষের ওপর ফ্রি-রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যানসার এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস। * আনারস বহু শতাব্দী ধরে ঔষধি উদ্দেশ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আনারসের অপকারিতা/পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া- আনারস খেলে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। ফলে তাদের শরীরে চুলকানি, ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এতে থাকা চিনি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আনারস অ্যাসিটিক ফল। তাই খালি পেটে খেলে পেটব্যথা হতে পারে। |