শিরোনাম: |
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি
|
বর্তমান প্রতিবেদক: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতলে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এ কথা জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতলে ভর্তির পর করা তিনি অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন। রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডাম কেবিনে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিসাধীন আছেন। আজ উনার অবস্থা গতকালের মতই আছে। তবে যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তারপর কিছুটা উন্নতি উনার হচ্ছে।’ খালেদা জিয়াকে কয়দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে, এমন প্রশ্নে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এটা মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে, উনার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। কাজেই এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।’ খালেদা জিয়া এখন ঠিক কী ধরনের অসুস্থাতায় ভুগছেন জানতে চাইলে এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রোগীর অসুস্থতা সম্পর্কে মিডিয়ায় বলা ঠিক না। খালি এইটুকু জানানো যেতে পারে যে, উনার কিছু শারীরিক অসুস্থতা, উনার হার্টের জটিলতা, উনার লিভারের জটিলতা, উনার কিডনির জটিলতা, এগুলো ছিলো, আছে, আপনার জানেন। সেগুলোর কোনো কোনোটা একটু বৃদ্ধি পেয়েছিল, সেজন্য চেকআপ ও চিকিৎসার জন্য উনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের অন্য চিকিৎসকরা হলেন; অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুর উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিন, অধ্যাপক শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জিয়াউল হক এবং অধ্যাপক সাদেকুল ইসলাম। এছাড়া লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানসহ অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডে পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান জাহিদ হোসেন। হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছেন তার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। লন্ডন থেকে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানও সবসময় খোঁজখবর রাখছেন বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ। এর আগে সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। |