শিরোনাম: |
মন্দা কাটাতে নির্ভর করা যেতে পারে পুরোনো সফল সিনেমায়
|
বর্তমান ডেস্ক: দেশের সিনেমা শিল্পের মন্দা যেনো কোনোভাবেই কাটছে না। পুরোনো জৌলুষ ফিরিয়ে আনতে চিত্রকর্মীরা সরব হলেও তা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিবছর কমছে সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা, কমছে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যাও। যে কটা বন্ধ হওয়া বাকী, সেসব হল মালিকরাও রয়েছেন ব্যবসায়িক হতাশায়। সেক্ষেত্রে ব্যবসা সচল করতে প্রদর্শকরা চাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশগুলোর সিনেমা চালাতে। কিন্তু তাতে রয়েছে নানা রকম বাঁধা-বিপত্তি।
শিল্পী মহল বলছেন, এতে দেশিও সংস্কৃতি ও সিনেমা শিল্প ধ্বংস হতে পারে। তবে অনেকের মতে, চলমান মন্দা কাটাতে ভরসা করা যেতে পারে দেশের পুরনো দিনের সফল ও জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর উপর। সে বিষয়ে যথার্থ উদ্যোগও প্রয়োজন। এরমধ্যেই পুরনো দিনের সিনেমায় নির্ভর করতে দেখা গেছে দেশের একটি প্রেক্ষাগৃহকে। তারা ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে পুণঃমুক্তি দিয়েছে ১৯৯৪ সালের সাড়া জাগনো সিনেমা সালমান-শাবনূর জুটি অভিনীত ‘তুমি আমার’। জহিরুল হক ও তমিজউদ্দিন রিজভী পরিচালিত এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১০ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বরিশালের অভিরুচি সিনেমাহলে সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে অভিরুচি হলের ম্যানেজার বলেন, আগে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ভালো মানের একাধিক সিনেমা মুক্তি পেতো। ধীরে ধীরে যেমন সিনেমার সংখ্যা কমেছে, তেমনি কমেছে মান। এখনকার বেশিরভাগ সিনেমাই মানহীন, চাহিদাহীন নায়ক-নায়িকা নিয়ে তৈরি হয়। তাদের চেয়ে এখনো সালমান শাহ, শাবনূর, মৌসুমীদের দর্শক বেশি। তাই আমরা দর্শকদের অনুরোধেই সালমান শাহের সিনেমা চালাচ্ছি। নতুন করে ‘তুমি আমার’ মুক্তি পাওয়ার কথা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন ছবিটির কাহিনিকার ও সংলাপ রচয়িতা আব্দুল্লাহ জহির বাবু। এ ছবির মাধ্যমেই চলচ্চিত্রে কাহিনিকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার। ফেসবুক পোস্টে জহির বাবু লেখেন, আমার বাবা মরহুম জহিরুল হক পরিচালিত এবং আমার লেখা কাহিনি ও সংলাপে প্রথম ছায়াছবি ‘তুমি আমার’ ১০ ফেব্রুয়ারি বরিশাল অভিরুচি সিনেমা হলে পুনরায় মুক্তি পেয়েছে। বাবার ইন্তেকালের পর মরহুম তমিজউদ্দিন রিজভী আঙ্কেল এর অবশিষ্ট পরিচালনার কাজ শেষ করেছিলেন। সে সময় আদৃতা কথাচিত্রের ব্যানারে মুক্তি পায় ছবিটি। |