শিরোনাম: |
সুখে রাখার চেয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি গুরুত্বপূর্ণ
|
বর্তমান ডেস্ক: আজ প্রমিস ডে। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি তথা প্রেমের সপ্তাহের পঞ্চম দিন উদযাপন করা হয় প্রমিস ডে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিপক্ক বা 'পোড় খাওয়া' প্রেমিক-প্রেমিকা বা যুগলদের কাছে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিশ্রুতি। তাই নিজেদের সম্পর্ককে আরো মজবুত করতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর কিছুই হতে পারে না! কেননা প্রেম মানেইতো প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকার, বিশ্বাস। এই প্রতিশ্রতিগুলোই সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে।
প্রমিস করতে হবে নিজেকেও আবার অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ভালোবাসার অনেক প্রতিশ্রুতি অন্যকে দিলেও আমরা নিজেরাই সেটা ভুলে যাই। তখন জীবন হয়ে উঠে বিষাদময়। তাই জীবনে আনন্দ পেতে হলে সবচেয়ে প্রয়োজন নিজেকেই কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া, সেই প্রতিশ্রুতি মেনে চলা। তাহলেই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। বিশ্বাস বাড়বে অন্যের প্রতিও। সেক্ষেত্রে সম্পর্কও সুন্দর হবে। আজ প্রমিস ডে-তে তাই নিজেকেও কিছু প্রমিস করতে বলছেন তারা। প্রিয়জনকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন- তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসবো। বিপদের মুখে তোমায় ফেলে চলে যাব না। সুখে-দুঃখে চিরকাল তোমার পাশে থাকবো। যে কোনো মূল্যে তোমাকে সুখ, হাসি, আনন্দে রাখবো। সব সময় আমি তোমার প্রতি সৎ এবং বিশ্বস্ত থাকবো। আমাদের সম্পর্কের মাঝে কোনো মিথ্যে, ছলচাতুরিকে আশ্রয় দেবো না। তোমাকে কখনো কষ্ট দেবো না। দেবো না কোনো মানসিক আঘাতও। মনে রাখতে হবে, এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না, যা পালন করা অসম্ভব। সুখে রাখার প্রতিশ্রুতির চেয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খুব স্বাভাবিকভাবেই কাছের মানুষটি আমৃত্যু একটি প্রতিশ্রুতি চায়, তা হলো যে কোনো পরিস্থিতিতে আপনার সহায়তা। নির্দিষ্ট এই দিনটিতে আপনি এই প্রতিশ্রুতিটি করতে পারেন। প্রমিস ডে কী শুধু প্রেমিকা-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ? আধুনিক যুগে প্রমিস ডে শুধু প্রেমিকা-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। অনেকে বন্ধুদের মধ্যেও এই দিবসটি উদযাপন করে থাকেন। অনেকে আবার মজা করে বলছেন, রাজনীতিবিদদের এই দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা উচিত। কারণ রাজনীতিবিদরা যেখানে নদী নেই, সেখানেও সেতু গড়ার মিথ্যা, আজগুবি প্রতিশ্রুতি করে বসেন! অনেকে আবার বলছেন, শুধু রাজনীতিবিদই কেন! বিচারক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সব শ্রেণী-পেশার মানুষই দিবসটির গুরুত্ব অনুধাবন করে সে অনুযায়ী কাজ করলে সমাজ তথা রাষ্ট্র আরো উন্নত হবে। |