শিরোনাম: |
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
|
বর্তমান প্রতিবেদক: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড় ও সমতলে সমান উন্নয়ন হচ্ছে। পাহাড় এখন আর পিছিয়ে পড়া কোনো জনপদ নয়। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে দেশের অর্থনীতির ভীত আরও সুদৃঢ় হয়েছে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের নারীরা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ধারক ও বাহক। পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশ সুরক্ষা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। নারীরা হলো পর্বত সম্পদের সুরক্ষাকারী ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবক। মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, নারীরা হলো পর্বত সম্পদের সুরক্ষাকারী ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবক। পাহাড়ের জুম চাষে নারীদের ভূমিকা অনেক। পাহাড়ি ঝরণা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পানির চাহিদা মেটায় পাহাড়ি নারীরা। পর্বতের নারীরা কৃষক, পর্বতের নারীরা ব্যবসায়ী, পর্বতের নারীরা কারিগর, উদ্যোক্তা এবং সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত হচ্ছে। পার্বত্য নারীরা ক্ষুধা, অপুষ্টি এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিগত সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে সংঘটিত প্রতিটি দুর্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। সরকারী-বেসরকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পার্বত্য অঞ্চলের জান-মালের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করেছে। আমি মনে করি, এটি একটি সমন্বিত উদ্যোগ। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সময়োচিত উদ্যোগের ফলে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছিল। ঐতিহাসিক এ শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দুই যুগের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটে। এর পর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে সরকারী-বেসরকারী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়নমূলক কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পার্বত্য অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। |