শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
অলৌকিকত্বের খোঁজে সন
Published : Monday, 5 December, 2022 at 6:00 AM, Count : 322

বর্তমান ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা তারকা তিনি। তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত দেশটির বিশ্বকাপ স্বপ্ন। যদিও শুরুর দুই ম্যাচে ফেলতে পারেননি তেমন ছাপ। তৃতীয় ম্যাচে এসে দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান।

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দলের ত্রাতা হয়ে আসেন সন হিউং-মিন। শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পর্তুগালের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়াকে জিততেই হতো। কিন্তু শুরুতেই গোল হজম করে সেই স্বপ্ন দমকা হাওয়ায় উড়ে যেতে বসেছিল। তবে প্রথমার্ধে সমতায় ফিরিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখে এশিয়ার দেশটি। দ্বিতীয়ার্ধে সেই আশা পেল পূর্ণতা। ম্যাচের ৯১ মিনিটে সনের জাদু পাল্টে দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার ভাগ্য। নিভতে থাকা আশায় আলোকিত এক প্রদীপ হয়ে আবির্ভূত হন সন। নিজেদের অর্ধ থেকে ক্ষিপ্রগতিতে প্রায় ৭০ গজ দৌড়ে এলেন একাই, পর্তুগালের তিন ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে আলতো টোকায় ডি-বক্সে এক পাস বাড়ালেন। আর ওই পাসেই গোল করেন হি চ্যান। তাতে পর্তুগালের মতো শক্তিশালী দলকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোতে পা রাখে দক্ষিণ কোরিয়া।

কিন্তু কোরিয়ার এই অবিশ্বাস্য জয়ে থাকারই কথা ছিল না সনের। বিশ্বকাপের আগে আঘাত পান বাঁ চোখে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় বিশ্বকাপ স্বপ্ন তাই নিভতেই বসেছিল সনের। তবে সফল অস্ত্রোপচারের পর শঙ্কার মেঘ দূর করে কোরিয়ার স্বপ্নযাত্রার সঙ্গী হয়ে যান। যদিও বিশ্বমঞ্চের প্রতি ম্যাচেই তাঁকে খেলতে হচ্ছে সুরক্ষা মাস্ক পরে। মাস্কের আড়ালে যেন ছিল তাঁর দুচোখ ভরা স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে কোরিয়ার প্রতিপক্ষ আজ ব্রাজিল। ওদিকে চোট কাটিয়ে এই ম্যাচে ফিরছেন সেলেসাওদের সেরা তারকা নেইমারও।

ব্রাজিল বাধা টপকে যেতে হলে অসম্ভব কিছু একটা করে দেখাতে হবে দক্ষিণ কোরিয়াকে। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আবারও ‘অলৌকিক’ ঘটনার জন্ম দিয়ে নতুন কোনো গল্প লিখতে চান সন নিজেও, ‘আশা করছি, আমরা আরো একটি অলৌকিক ঘটনা রচনা করতে পারব। এখন পর্যন্ত আমরা দারুণ কিছু অর্জন করেছি, কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আমরা শেষ ষোলোতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে শুরু করেছিলাম এবং সেটা করতে পেরেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য তা ছাড়িয়ে যাওয়া। ’

বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সেরা সাফল্য এসেছিল ২০০২ সালে। ঘরের মাঠে হওয়া ওই আসরে চতুর্থ হয়েছিল তারা। এর পরের চার আসরের তিনবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। তাই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে হলে রূপকথার কোনো গল্পই লিখতে হবে কোরীয়দের। অনবদ্য সেই গল্প লিখতে পারবেন তো সন?



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft