সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ স্থগিত, এ বছর হচ্ছে না
Published : Sunday, 27 November, 2022 at 6:00 AM, Update: 27.11.2022 5:07:57 PM, Count : 430

বর্তমান প্রতিবেদক : কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে কেন্দ্র করে পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ এ বছর হচ্ছে না। রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উঠলে প্রস্তাব দুইটি চলতি বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিকার বৈঠক শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, বিভাগ দুইটি করলে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা করে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে দরকার। সেই সঙ্গে প্রতিটি বিভাগে অন্তত ২৮টি করে নতুন দপ্তর খুলতে হবে। সেসব দপ্তরে জনবলসহ আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় জড়িত। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার উন্নয়ন কাজের অর্থ বরাদ্দে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই নতুন বিভাগের কাজ আগামী অর্থবছর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

বৈঠকের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, এ দুইটি বিভাগ করা নিয়ে অন্যান্য জেলা, নামকরণসহ অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। তাই সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার আপাতত এ সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে আজ বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রের পূর্বের তথ্যমতে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর চাপ কমানো এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে প্রায় এক দশক আগে থেকেই নতুন বিভাগ গঠনের আলোচনা হচ্ছে। ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা- ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা বিভাগ। এ ছাড়া কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর- এই ছয়টি জেলা মিলে মেঘনা বিভাগ। দেশে বর্তমানে ৮টি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। এর সবক'টিই সংশ্লিষ্ট বড় শহরের নাম অনুসারে নামকরণ হয়েছে। এবারই প্রথম স্থানীয় শহরের নামের বাইরে বিভাগের নামকরণ হতে যাচ্ছে। এ দুটি বিভাগ অনুমোদন পেলে মোট বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে। বিভাগ হচ্ছে মাঠ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক ইউনিট। এর পরই রয়েছে জেলা ও উপজেলার অবস্থান।

কুমিল্লা ও ফরিদপুরের স্থানীয় রাজনীতিকরা তাদের শহরের নামেই বিভাগ চেয়েছিলেন। নিজেদের শহরের নামে বিভাগ পেতে নোয়াখালীর বাসিন্দারাও ব্যাপক চেষ্টা-তদবির করেছেন। বিশেষ করে কুমিল্লার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালো দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২১ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে নদীর নামে বিভাগের নামকরণ বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেছিলেন। স্থানীয় নেতারা একাধিকবার কুমিল্লা নামে বিভাগ দাবি করলেও সরকারপ্রধান সেটা নাকচ করে দেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কুমিল্লার নামের সঙ্গে খন্দকার মোশতাকের নাম জড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, বিভাগের ব্যাপারে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুটি বিভাগ বানাব আমাদের দুটি নদীর নামে। একটি পদ্মা, একটি মেঘনা। ওই সময় যুক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ফরিদপুর বিভাগ করব; কিন্তু 'ফরিদপুর' নাম দিচ্ছি না, সেটার নাম হবে পদ্মা। কারণ, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা। এই স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। নাম ভিন্ন হলেও মেঘনা বিভাগের প্রশাসনিক সদরদপ্তর হবে কুমিল্লা ও পদ্মা বিভাগের প্রশাসনিক সদরদপ্তর হবে ফরিদপুর।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft