শিরোনাম: |
৫২-তে পৌঁছেও সবার চেয়ে আলাদা
|
বর্তমান ডেস্ক: ৪ নভেম্বর ছিল অভিনেত্রী টাবুর জন্মদিন। ৫২-তে পা দিয়েছেন তিনি। তার সমসাময়িকরা সকলেই এখন অভিনয় করা কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি যেন নিজেকে প্রতিনিয়ত ভাঙছেন, গড়ছেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেই। তবে তার ছবি বাছাই যেন সকলের চেয়ে আলাদা করেছিল তাকে। ‘চাঁদনি বার’ থেকে ‘হায়দার’ সব ছবিতেই নিজের জাত চিনিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ক্যারিয়ারে সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনোই সেভাবে মুখ খোলেননি টাবু। এখনও কেন অবিবাহিত রয়ে গেছেন? বিভিন্ন সময় ফিরে ফিরে এসেছে সেই প্রশ্ন, তবে কখনোই এর সদুত্তর দেননি টাবু। অভিনেত্রীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় নানা গুঞ্জন শোনা গেছে। কখনো অজয় দেবগন, আবার কখনো নার্গাজুন। একবার টাবুর নাম জড়িয়েছিল প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে। বলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যায়, টাবু ও প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সম্পর্কের কথা। দিব্যা ভারতী মারা যাওয়ার পর টাবুর সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়ান বলিপাড়ার এই প্রযোজক। কিন্তু খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি সেই সম্পর্ক। তার ঠিক পরেই যে অভিনেতার সঙ্গে টাবুর সম্পর্কে খবর সবচেয়ে বেশি চর্চিত, তিনি হলেন নার্গাজুন। তার সঙ্গে টাবুর সম্পর্ক নিয়ে বেশ উত্তাল ছিল দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি। শোনা যায়, প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একে অপরের সঙ্গে ছিলেন তারা। তবে একটা দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর টাবু বুঝতে পারেন, নার্গাজুন তার স্ত্রীকে ছেড়ে নতুন কোনো স্থায়ী সম্পর্কে জড়াবেন না। তাতেই তাদের সম্পর্কের মৃত্যু হয়। টাবু এক সাক্ষাত্কারে রসিকতা করে বলেন, ‘আমি অজয়ের জন্য সিঙ্গেল। ওর জন্য আমি সিঙ্গেল থেকে গেলাম, আমার সঙ্গে যে পুরুষকেই কথা বলতে দেখা যেত, তাকে মারার হুমকি দিয়ে রাখত অজয়।’ উল্লেখ্য, টাবু এবং অজয় কলেজের সময় থেকে একে অন্যের ভালো বন্ধু। তারা একসঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিজাত পরিবারের মেয়ে টাবু নায়িকা হয়েও ব্যাতিক্রমী। শিশুশিল্পী হিসেবে মাত্র ১০ বছর বয়সে বড়পর্দায় আবির্ভাব। প্রথম বড় সুযোগ দেব আনন্দের হাত ধরে। ‘বাজার’ ছবিতে ছোট চরিত্রে দেখা গিয়েছিল টাবুকে। ১৪ বছর বয়সে দেব আনন্দের বোনের ভূমিকায় ‘হাম নওজওয়ান’ ছবিতে অভিনয়। পূর্ণ নায়িকা হিসেবে আবির্ভাব ‘কুলি নম্বর ওয়ান’ নামের তেলুগু ছবিতে, দক্ষিণের তারকা ভেঙ্কটেশের বিপরীতে। বলিউডে ‘বিজয়পথ’ ছবিই প্রথম সাফল্য এনে দেয় টাবুকে। |