শিরোনাম: |
মন্দিরে হামলা
জবানবন্দিতে বিএনপি নেতাসহ ১৫ জনের নাম: পুলিশ
|
নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে হিন্দুদের মন্দির, পূজামণ্ডপ, দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ফয়সাল ইমাম ওরফে কমল (৩৯) নামে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক যুগ্ম আহ্বায়ক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, ফয়সাল জবানবন্দিতে ওই ঘটনায় জড়িত হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বরকত উল্লাহ বুলুসহ ১৫ জনের নাম বলেছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফয়সাল রাতে ১৬৪ ধারায় নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাঈদীন নাঁহী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এসপি জানান, রোববার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্যাপুর গ্রামের বাড়ি থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন। উসকানিমূলক নানা পোস্ট দেন। এরই ধারাবাহিকতায় চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অন্যতম ‘উসকানিদাতা ও ইন্ধনদাতা’ হিসেবে তাকে চিহ্নিত করে বেগমগঞ্জ থানা। পরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। এর আগে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে ঘটনায় জড়িতদের নাম জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কয়েকটি মন্দির ও মণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর। এই ঘটনায় মোট ২৬টি মামলা হয়। এসব মামলায় প্রায় ২০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে ফয়সালসহ বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে রোববার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। |