শিরোনাম: |
ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
|
বর্তমান প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সুষ্ঠু বিকাশে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ যে মেধা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন, তা এ দেশের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। এসময় রাষ্ট্রপতি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পৃথক শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের বিকাশে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এদিকে অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। এক শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা আধুনিকায়নে তার অবদান অনস্বীকার্য। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এর মৃত্যুতে দেশ এক প্রতিভাধর সন্তানকে হারালো। পৃথক শোক বার্তায় ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুও। বুধবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৩ সালে ব্যাংকিং পেশায় যুক্ত হন। |