শিরোনাম: |
অভ্যুত্থান: মিয়ানমারের জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে নির্বাহী আদেশে অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
সামরিক জান্তা যেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারের ১০০ কোটি ডলারের সরকারি তহবিলে হাত দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাইডেন এবারই প্রথম নিষেধাজ্ঞার কোনো নির্বাহী আদেশে অনুমোদন দিলেন। এমন এক সময়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যখন নেপিডোতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুরুতর আহত এক নারীর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের খবরেও আন্তর্জাতিক মহল গভীর উদ্বিগ্ন। মেয়া থিউ থিউ খাইং নামের ওই নারী মঙ্গলবার নেপিডোতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। বিক্ষোভকারীদের সরাতে সেদিন পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছিল; ছুড়েছিল রাবার বুলেট ও তাজা গুলি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো খাইংয়ের ক্ষতের সঙ্গে তাজা গুলির ক্ষতের সামঞ্জস্য আছে বলে জানিয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে গত সপ্তাহে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিয়ানমারের লাখো মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা এবং রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির অনেক শহরে বুধবার পর্যন্ত টানা ৫দিন অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদ হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশের বলপ্রয়োগের ফলে বেশ কয়েকজন আহত হলেও এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা ছাড়ার পাশাপাশি আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বার্মার মানুষ তাদের কথা শোনাতে পেরেছে, বিশ্ব দেখছে, প্রয়োজন হলে মিয়ানমারের ওপর আরও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন বাইডেন। মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার প্রশাসন কয়েকদিনের মধ্যেই প্রথম দফায় মিয়ানমারে কাদের কাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে, তা ঠিক করবে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা এখনি যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় আছে। |