শিরোনাম: |
হত্যা মামলার আসামি এখন চুনারুঘাট পৌরসভার নৌকার প্রার্থী
|
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: চতুর্থ দফায় ৫৬ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই নির্বাচনে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকাণ্ডের আসামি সাইফুল আলম রুবেল।
বুধবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত একজন খুনের আসামিকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এমন লোককে মনোনয়ন দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। তার মনোনয়ন পরিবর্তন করার দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চুনারুঘাট পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম (বকুল) বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র পদে যাকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে, সেই সাইফুল আলম রুবেল আমার বাবা বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যাকাণ্ডের আসামি। আমি পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক। অথচ মনোনয়ন বোর্ডকে তথ্য গোপন করে সে মনোনয়ন পেয়ে গেছে। এরআগে সে পরপর দুই বার পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের ১লা মার্চ ভোরবেলা ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য আমার বাবা মসজিদে যাবার পথে খুন হোন। উনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতাই নন, উনি ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও চুনারুঘাট উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর সভাপতি। তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, ভিডিও এবং প্রতিবাদ কর্মসূচির সংবাদ ও মামলার কাগজ আমি দলের সভানেত্রী বরাবর প্রেরণ করেছি। দলীয় সূত্রে জানা যায়, নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত সাইফুল আলম রুবেলের আপন চাচা ও চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহির গত ২০১৯ সালের ১০মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করেছিল এবং সাইফুল আলম রুবেল উক্ত নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিল। যে কারণে তাকে চুনারুঘাট উপজেলা যুবলীগ হতে বহিষ্কার করা হয়, যা এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। |