শিরোনাম: |
মাস্ক না পরলে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নয়: প্রধানমন্ত্রী
মুজিববর্ষ নিয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন ॥ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হচ্ছে ॥ জাতিসংঘ অধিবেশনে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ
|
বর্তমান প্রতিবেদক: মাস্ক না পরলে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিান থেকে কোনো সেবা মিলবে না। এমন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। শীতে করোনা বাড়তে পারে, সে জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা অলরেডি চারদিকে ম্যাসিভ ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেয়া হয়েছে। চারদিকে যতগুলো আমাদের ইনস্টিটিউশন আছে, সোশ্যাল বা অর্গানাইজেশনাল বা ফরমাল প্রতিান- আমরা তষ্ঠাদের নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। এক নম্বর হলো- নো মাস্ক নো সার্ভিস (মাস্ক না পরলে সেবা পাবেন না)। তারপর হলো সব জায়গায়, সব প্রতিান, হাট-বাজার বা শপিংমল বা শিক্ষাপ্রতিান এবং সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমরা এটা কম্পোলসারি (বাধ্যতামূলক) করে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টারের মতো থাকবে- মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না, মাস্ক ছাড়া ব্যবহারও করতে পারবে না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে- দিনে দুইবার নামাজের পর প্রচার করার জন্য যে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আলেমা-ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি ওনারাও এটা শুরু করেছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কীভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইন্সপেকশন করা হবে। তাহলে মাস্ক ছাড়া কেউ এলে তষ্ঠাকে সেবা দেয়া হবে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ঢুকতেই দেয়া হবে না, আমরা বলে দিয়েছি। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও। বিভিন্ন প্রডিউসার তষ্ঠাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও তষ্ঠাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সেটা চালু করছেন ইনশাআল্লাহ। করোনার সময় অন্য রোগীদের সেবা পেতে সমস্যা হয়েছে, আবার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে- এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন আল্লাহর রহমতে ওই প্রবলেমটা হবে না। এখন একটা ট্রিটমেন্ট প্রোটকল চলে আসছে। ওই প্যানিকটা (আতঙ্ক) চলে গেছে। ইনিশিয়ালি (শুরুতে) তো বোঝা যাচ্ছিল না জিনিসটা কী? ডাক্তার-স্টাফরাও এখন আর অত ভয় পাচ্ছে না। আমি দু-একটি হাসপাতষ্ঠালে গিয়ে দেখেছি। হাসপাতালগুলোতে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা- এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্দেশনা আছে, কোভিড ও নন-কোভিড দুটোকে আলাদা করে চিকিৎসা করা। ঢাকা মেডিকেলেই দেখেন কোভিড আলাদা হয়ে গেছে, এটা আলাদা হয়ে গেছে। কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। গণপরিবহনে মানুষ মাস্ক পরছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা এটা দেখব। আজ এটা আলোচনা হলো। সড়ক সচিব, নৌপরিবহন সচিব ও রেল সচিবের সঙ্গে আমরা কাল-পরশু বসব ইনশাআল্লাহ। বসে ওটা একটা ওয়ার্ক আউট করা যাবে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয় বৈঠকে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে এখন ৯৩টি কেন্দ্রে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে, এরমধ্যে ৫০টি বেসরকারি। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক এবং চার হাজার নার্স নিয়োগ দেয়ায় কোভিড-১৯ হ্যান্ডেল করার ক্ষেত্রে খুবই বড় অবলম্বন হিসেবে কাজ করেছে। এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন প্রতিান আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫৪ জন টেকনিশিয়ান ও সহকারীকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া পাঁচ হাজার ১০০ চিকিৎসক এবং এক হাজার ৭০০ নার্সকে আইইডিসিআরের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ম্যানেজমেন্ট ও ইনফেকশন প্রিভেনশন কন্ট্রোল বিষয়ে ওরিয়েনটেশন দেয়া হয়েছিল। যার ফলে তারা মাঠপর্যায়ে করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি পুরো কাজ মনিটর করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনার আলোকে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রোটকল অনুসারে এ যাবত গৃহীত কার্যক্রমের পাশাপাশি সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন সংগ্রহে উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোথা থেকে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পেতে পারি, সে বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জারি আছে, আশা করি প্রথম দিকেই আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওটা নিয়ে কাজ করছে। সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়েই অ্যাফোর্ডগুলো নেয়ার জন্য বলেছে। চীনের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়ে রেখেছি, বিষয়টি আটকে নেই, তষ্ঠাদের ফান্ডিংয়ের সর্টেজ আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করছে তারা, বাংলাদেশের কাছে সম্ভবত কিছু ফান্ডিংয়ের অ্যাপ্রোচ করবে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে আনোয়ারুল বলেন, সেটা ভালোভাবেই আগাচ্ছে। বৈঠকে পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মায় যেহেতু ৩৪ নম্বর স্প্যান বসে গেছে সে জন্য পদ্মার আর যে সাতটি স্প্যান সবগুলোই অলমোস্ট রেডি। ৪১ নম্বর স্প্যানের নাটবল্টু লাগানো হচ্ছে। আশা করি আগামী দুই-আড়াই মাসের মধ্যে হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসানোর প্ল্যান না হলে হয়তো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হয়ে যাবে। কারণ ওদের ওই ক্রেনটি ছেড়ে দিতে হবে। কারণ এই ক্রেন পৃথিবীতে খুব বেশি নেই। ওরাও অন্য জায়গায় কাজ করছে। সেখানে না পাঠালে দেরি হবে। এখন সবকিছু আল্লাহর রহমতে কমফোর্টে আছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডর অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হচ্ছে: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডর বিধান রেখে জারি করা অধ্যাদেশ আইনে পরিণত হচ্ছে। এজন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধিত) আইন, ২০০০ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরের দিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০ জারি করেন। দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবির মধ্যে সরকার এই পদক্ষেপ নেয়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় তখন আইন সংশোধনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়। আগামী ৮ নভেম্বর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তাই অধ্যাদেশটি আইনের পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হলো। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অধ্যাদেশটিই আজ (গতকাল রোববার) আইনের খসড়া হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ বিভাগের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত ভেটিং করে দেয়া হয়েছে। সংসদ অধিবেশন না থাকা অবস্থায় যদি কোনো অর্ডিন্যান্স হয় তাহলে পরবর্তী সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনই সেটি উপস্থাপন করতে হয়। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ হিসেবে যেটা আনা হয়েছিল সেটাই আজ (গতকাল রোববার) আইনের খসড়া হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপধারায় বলা হয়, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তা হলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডও দণ্ডনীয় হবেন। সংশোধিত আইন অনুযায়ী ৯(১) উপধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড শব্দগুলোর পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। আইনের ৯(৪)(ক) উপধারায় ছিল- যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে ও দণ্ডনীয় হইবেন। এখানেও সংশোধন করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এর পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড করা হয়েছে। ৯(৫) উপধারায় ছিল- যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন কোনো নারী ধর্ষিতা হন, তাহা হইলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তাহারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অনূন্য পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূন্য দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দণ্ডনীয় হইবেন। এখানে দায়ী শব্দ পরিবর্তন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত করা হয়েছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ধর্ষণ ছাড়া সাধারণ জখমের ক্ষেত্রে অপরাধ আপসযোগ্য হবে। এ ছাড়া আগের আইনে ১৯৭৪ সালের শিশু আইনের রেফারেন্স ছিল। এখন সেখানে হবে শিশু আইন, ২০১৩। আগের আইনের ৩২(১) বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিকেল পরীক্ষা সরকারি হাসপাতষ্ঠালে কিংবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোনো বেসরকারি হাসপাতষ্ঠালে সম্পন্ন করা যাইবে। এতে আরও বলা হয়, কোনো হাসপাতষ্ঠালে এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য উপস্থিত করা হইলে, ওই হাসপাতষ্ঠালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহার মেডিকেল পরীক্ষা অতিদ্রুত সম্পন্ন করিবে এবং ওই মেডিকেল পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদান করিবে এবং এইরূপ অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি স্থানীয় থানাকে অবহিত করিবে। ৩২ ধারায় সংশোধন এনে বলা হয়েছে, অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিকেল পরীক্ষার পরিবর্তে অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। অপরাধের শিকার ব্যক্তির পরিবর্তে করা হয়েছে অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া। অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনও) পরীক্ষা শিরোনামে ৩২(ক) নামে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে সংশোধিত আইনে। এই ধারায় বলা হয়েছে- এই আইনের অধীন সংঘঠিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধের শিকার ব্যক্তি মেডিকেল পরীক্ষা (ধারা-৩২ এর অধীন) ছাড়াও ওই ব্যক্তির সম্মতি থাকুক বা না থাকুক ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনও) আইন, ২০১৪ এর বিধান অনুযায়ী ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনও) পরীক্ষা করতে হবে। জাতিসংঘ অধিবেশনে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা তুলে ধরেছে বাংলাদেশ: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর হতে ২ অক্টোবর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। রোহিঙ্গা সমস্যাটা এবার আলোচিত হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং একটি শান্তিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব গঠনে বাংলাদেশের অবদান বর্ণনা করেন এবং বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাধিকার বিষয়গুলো বিশেষ করে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি তুলে ধরেন, যা উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব প্রতিার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পরিষদে সম্মিলিত ঘোষণা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং বিশ্বের নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়ে যে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন তা খুবই প্রশংসিত হয়েছে। এবারের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রাথমিক পর্যায় থেকে ইন্টারন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস রেসপন্স প্ল্যান ফর কোভিড-১৯ প্রণয়ন করেছিল। বর্তমানে ৯৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৫০টি বেসরকারি। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক এবং চার হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা করোনা হ্যান্ডেল করার ক্ষেত্রে বড় অবলম্বন হিসেবে কাজ করেছে। এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন প্রতিান আউট সোর্সিংয়ের মধ্যে দুই হাজার ৬৫৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় পাঁচ হাজার ১০০ ডাক্তার এবং এক হাজার ৭০০ নার্সকে আইইডিসিআরের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ম্যানেজমেন্ট ও ইনফেকশন প্রিভেনশনাল কন্ট্রোল বিষয়ে ওরিয়েন্টশন দেওয়া হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে তারা করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে। মুজিববর্ষ নিয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ-২০২০ উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদেয় ভাষণের সংশোধিত খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানান, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর ভাষণটি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির যাবে। এটি গত ২২ মার্চ দেওয়ার কথা ছিল। কোভিড-১৯ এর কারণে তখন এটি স্থগিত হয়ে যায়। এটাকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটু মডিফাই করা হয়েছে। ভাষণে প্রধানত বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনৈতিক দর্শন এবং তার কর্মের দিক আলোকপাত করা হয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ এর সময় সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং কীভাবে এই ভাইরাস মোকাবেলা করা হয়েছে সে বিষয়গুলোও উল্লেখ করা হয়েছে। মহামারীর মধ্যে সরকার ও রাষ্ট্র যে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেরেছে, অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে সেই বিষয়গুলোও রাষ্ট্রপতির ভাষণে রয়েছে রয়েছে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর মেয়াদে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। রোববারে মন্ত্রিসভা বৈঠকে পদ্মা সেতু নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মায় যেহেতু ৩৪ নম্বর স্প্যান বসে গেছে সেজন্য পদ্মার আর যে সাতটি স্প্যান সবগুলোই অলমোস্ট রেডি। ৪১ নম্বর স্প্যানের নাটবল্টু লাগানো হচ্ছে। আশা করি আগামী দুই-আড়াই মাসের মধ্যে হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসানোর প্ল্যান না হলে হয়তো জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হয়ে যাবে। কারণ ওদের ওই ক্রেনটি ছেড়ে দিতে হবে। কারণ এই ক্রেন পৃথিবীতে খুব বেশি নেই। ওরাও অন্য জায়গায় কাজ করছে। সেখানে না পাঠালে দেরি হবে। এখন সবকিছু আল্লাহর রহমতে কমফোর্টে আছে। |