শিরোনাম: |
বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে আইইএর পূর্বাভাস
২০২৫ সালের মধ্যে কয়লাকে ছাড়িয়ে যাবে নবায়নযোগ্য শক্তি
বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে: ওয়ার্ল্ড এনার্জি আউটলুক
|
বর্তমান ডেস্ক : পরিবেশগত দূষণরোধ ও কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে এরই মধ্যে ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলো কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনছে। এমনকি বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম কাঁচামাল হিসেবে কয়লার ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনতে জার্মানিসহ অনেক দেশ কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। এর পরিবর্তে এসব দেশ এখন ঝুঁকছে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে। ফলে আগামীতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার আধিপত্য যে কমে আসবে সেটি সহজেই অনুমেয়। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) পূর্বাভাসও বলছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে কয়লাকে ছাড়িয়ে যাবে নবায়নযোগ্য শক্তি। জ্বালানিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাটির গতকাল প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এনার্জি আউটলুক’ প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে যেভাবে সোলারের উৎপাদন বাড়ছে, তাতে আগামী দশকে নবায়নযোগ্য শক্তির সরবরাহ অনেকাংশে বাড়বে। এমনকি বর্তমান অবস্থার তুলনায় এ সময়ে বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।
সংস্থাটির পূর্বাভাস বলছে, বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সোলার ফটোভোলটাইক (পিভি) ও বায়ুশক্তির ব্যবহারের সম্মিলিত হিস্যা ২০৩০ সালের মধ্যে বেড়ে ৩০ শতাংশে দাঁড়াতে পারে, যেখানে গত বছর হিস্যা ছিল মাত্র ৮ শতাংশ। এর মধ্যে পিভির উৎপাদন সক্ষমতা বছরে গড়ে ১২ শতাংশ বাড়বে। বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সোলার বা নবায়নযোগ্য শক্তি যে আধিপত্য বিস্তার করবে সেটি উঠে এসেছে আইইএর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেও। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল এ বিষয়ে বলেন, বৈশ্বিক বিদ্যুতের বাজারে সোলার এখন ক্রমশ আধিপত্যশীল হয়ে উঠছে। আজকের এ নীতিনির্ধারণের ফলে আইইএ মনে করছে, ২০২২ সালের পর থেকে সোলারের ব্যবহার প্রতি বছর নতুন নতুন রেকর্ড করতে সক্ষম হবে। আইইএ বলছে, উন্নত প্রযুক্তি ও ম্যাকানিজমের কারণে সোলার পিভি প্রকল্পের খরচ কমে আসছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও খরচ কমে আসবে। কারণ সোলার পিভি এখন কয়লা বা গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় আরো বেশি সস্তা। |