শিরোনাম: |
লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ১৪ আসামির যাবজ্জীবন
|
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ডাকাতির সময় কলেজছাত্র দীপ্ত পালকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৪ আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নজমুল হুদা তালুকদার এ রায় দেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আবুল কালাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা গ্রামের মাঈন উদ্দিন মানু, রামগঞ্জের লামচর গ্রামের মো. রশিদ, কামরুল ইসলাম রাজু, কালুপুর গ্রামের মো. হোসেন, রসুলপুর গ্রামের সালেহ আহমেদ সুজন, মাঝিরগাঁও গ্রামের সাইফুল ইসলাম সুমন, করপাড়া গ্রামের কামাল, মঞ্জুর আলম, গাজীপুর গ্রামের মহসিন, বদরপুর গ্রামের কামাল হোসেন, পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মিলন হোসেন, মো. ফারুক, সদরের চর লামচী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের সাহেদুর রহমান কিরণ ও উত্তর বাঞ্চানগর গ্রামের অহিদুর রহমান। তাদের মধ্যে কামরুল ইসলাম রাজু, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম সুমন, অহিদুর রহমান ও কামাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মামলার আসামি সুজন মারা গেছেন। অপর ৮ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, সদর উপজেলার মধ্য হামছাদী গ্রামে ২০১১ সালের ২ জুলাই রাতে পুলিশ পরিচয়ে মুখোশধারী ২০-২৫ জনের একদল ডাকাত ব্যবসায়ী কার্তিক পালের বসতঘরে ঢুকে। এসময় অস্ত্রেরমুখে পরিবারে সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটে নেওয়া হয়। এতে বাধা দিলে ব্যবসায়ীর ছেলে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র দীপ্ত পাল ও তার মেঝো ভাই সঞ্জয় পাল কাঞ্চনকে মারধর করে ডাকাতরা। তাদের চিৎকারের একপর্যায়ে ডাকাতরা দুইজনকে গুলি করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে দীপ্তকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অপর গুলিবিদ্ধ কাঞ্চনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কার্তিক পাল বাদী হয়ে পরদিন অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লিটন দেওয়ান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় পুলিশসহ ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এদিকে মামলার রায় শোনার পর আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাদী কার্তিক পাল। এসময় তিনি আসামিদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ন্যায়বিচার পেতে আমি উচ্চ আদালতে যাবো। |