রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭ পৌষ ১৪৩১
প্রতিবন্ধীরাও হতে পারে প্রেরণার উৎস
Published : Monday, 2 April, 2018 at 6:00 AM, Count : 1494

রায়হান আহমেদ তপাদার : প্রতিবন্ধী হচ্ছে, দেহের কোনো অংশ বা তন্ত্র আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে, স্থায়ী বা চিরস্থায়ীভাবে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলা। বয়স, লিঙ্গ, জাতি, সংস্কৃতি বা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী আর দশজন যে কাজগুলো করতে পারে ইমপেয়ারমেন্টের কারণে সে কাজগুলো প্রাত্যহিক জীবনে করতে না পারার অবস্থাটাই হল ডিসএবালিটি বা প্রতিবন্ধিতা। ইমপেয়ারমেন্ট হল দেহের কোনো অংশ বা তন্ত্র যদি আংশিক বা সম্পূণভাবে, ক্ষণস্থায়ী বা চিরস্থায়ীভাবে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায় সে অবস্থাটিকেই বোঝায়?
প্রতিবন্ধী বলতে আমরা আরও বুঝি কোনো কারণে ঘটে যাওয়া দীর্ঘমেয়াদি অথবা জন্ম থেকে কোনো ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিগত, স্বাভাবিক বিকাশগত বা ইন্দ্রিয়গত ক্ষতিগ্রস্ততা এবং ওই ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিগত ও পরিবেশগত বাধা সৃষ্টি। প্রতিবন্ধীদেরও যে আর দশজন মানুষের মতো বিশেষ কোনো প্রতিভা আছে বা থাকে তা আমরা অনেকেই জানি না। সমাজ বা আমরা তাদের আলাদা চোখে দেখি বলে তারা তাদের প্রতিভা প্রকাশ কিংবা দেখানোর কোনো সুযোগ পায় না। আমরা রাস্তাঘাটে কোনো প্রতিবন্ধীকে দেখলে তাদের দিকে এমনভাবে তাকাই বা তাদের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলি যেন তারা কোনো মানুষ না। তাদের দিকে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে তাকিয়ে থাকি আর মনে মনে অবহেলা পোষণ করি।
আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৬ লাখ প্রতিবন্ধী রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য পাড়া-প্রতিবেশী, সামাজিক সংস্থার সহযোগিতা অনেক অনেক বেশি প্রয়োজন। তাহলে তারাও তাদের প্রতিভা বিকশিত করতে পারবে। আর এখন সারা দেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নানারকম প্রতিবন্ধী স্কুল গড়ে উঠেছে। এসব স্কুল তাদের লুপ্ত প্রতিভা প্রকাশ করতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। বেসরকারি স্কুলগুলোর পাশাপাশি সরকারিভাবে স্কুল রয়েছে। আর এসব স্কুল থেকে তারা শুধু এ দেশেই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে খেলাধুলা করে জয় করে নিয়ে এসেছেন স্বর্ণপদক। যার জন্য সারা বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। কিন্তু সাধারণ লোকজন এ নিয়ে কথা বলে, শিক্ষিতরা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে, বুদ্ধিমানরা ধ্যান-ধারণা বিনিময় করে, আলোকিতরা হিরন্ময় মৌনতায় ডুবে যায়।
অবশ্যই জ্ঞানী-গুণীরা বলে থাকেন হতাশা ব্যর্থতার শেষ আছে। কিন্তু সাফল্যের শেষ নেই। বিজ্ঞানী এডিসন সাফল্য সম্পর্কে বলেন, মেধা ১ শতাংশ এবং পরিশ্রম ৯৯ শতাংশ। এই সাফল্য বা সফলতা শুধু স্বাভাবিক মহামানব বা মনীষীরাই নয়, অস্বাভাবিক শারীরিক গঠন বা প্রতিবন্ধীরাও এর থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
প্রতিবন্ধী হয়েও নিজ নিজ প্রতিভার বিকাশ ঘটান বর্তমান শতাব্দীর শারীরিক প্রতিবন্ধী শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। স্টিফেন হকিং বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীই নন, তিনি ছিলেন এক বিস্ময়কর প্রতিভা। মাত্র ২১ বছর বয়সে হকিং দুরারোগ্য মটর নিউরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে চিকিত্সকেরা মাত্র দুই বছর বাঁচবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মানুষটি জগেক অবাক করে দিয়ে বেঁচে ছিলেন ৭৬ বছর এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সব শারীরিক অক্ষমতা জয় করে বিজ্ঞান সাধনা অব্যাহত রেখেছেন এবং মানবজাতিকে উপহার দিয়েছেন বিজ্ঞানের নতুন সব তত্ত্ব।
পৃথিবীর প্রথম এবং দ্বিতীয় মহাকাব্য লিখেছিলেন জন্মান্ধ মহাকবি হোমার। জন্মান্ধ ফরাসি সাহিত্যিক রোদাকি, খঞ্জ লর্ড বায়রন, আধুনিক আরবী কবিতার জনক অন্ধ বাশ্?শার বিন বোরদ, আধুনিক আরবি সাহিত্যের অন্যতম জনক অন্ধ ড. তাহা হোসাইন, আরবী ভাষার মহান কবি এবং যুক্তিবাদী দার্শনিক অন্ধ কবি আবুল আলা আল মা্থআরবি, শারীরিক সমস্যাগ্রস্ত হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন, মহান সুরস্রষ্টা বধির বিটোভেন, বিখ্যাত আমেরিকান অন্ধ গায়ক রে চার্লস প্রমুখ স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। ৪৪ বছর বয়সে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যান জন মিল্টন, এর ১৬ বছর পর লিখেছিলেন প্যারাডাইস লস্ট। ফরাসি নাগরিক লুইস ব্রেইল অত্যন্ত মেধাবী, প্রতিভাবান এবং অধ্যবসায়ী ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব। ৩ বছর বয়সে পিতার কারখানায় খেলাধুলার সময় সুঁইজাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে চামড়ায় গর্ত করার সময় সংঘটিত এক মারাত্মক দুর্ঘটনায় তার চোখ দুটি চিরতরে নষ্ট হয়ে যায় এবং তিনি অন্ধ হয়ে যান। অন্ধ হয়ে গেলেও বন্ধ হয়ে যায়নি তার মেধার স্ফূরণ। চক্ষুহীন জীবনকে চক্ষুময় জীবনের মত উপভোগের উপায় খুঁজে বের করার প্রাণান্তকর চেষ্টায় নিবেদিত হয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি অন্ধদের লেখা ও পড়ার জন্য কাগজের উপর মাত্র ৬টি ডট দিয়ে যাদুকরি একটি অতি সহজ ভাষা ও পদ্ধতি  আবিষ্কার করে পুরো পৃথিবীকে হতবাক করে দেন।
কিন্তু সেই তখন থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর অন্ধ লোকেরা ৬টি ডটের অনবদ্য যাদু দিয়ে নিজেকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলে তাদের জীবনযাত্রার মান সম্পূর্ণ বদলে দেন। পূর্বে টাইপ মেশিনে দিয়ে ব্রেইল অক্ষর লেখা হত, বর্তমানে কম্পিউটারের সাহায্যে ব্রেইল ভাষা লেখা হয়। পৃথিবীবাসী শুধু মাত্র একটি পদ্ধতি আবিষ্কারের কারণে ব্রেইলের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে। তার আবিষ্কৃত ভাষার জন্য পৃথিবীবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে তার জন্মদিন অর্থাত্ ৪ জানুয়ারিকে বিশ্ব ব্রেইল দিবস হিসেবে পালন করছে। তার আবিষ্কারের সাফল্যের প্রতি আজ বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের নতুন প্রজন্মের উত্সাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য একজন প্রতিবন্ধী কিন্তু-আলোকিত এবং কিংবদন্তির জীবনের সোনালী উজ্জ্বল চুম্বক অংশ না লিখে পারছি না।
ঊনিশ শতকে এই বাসযোগ্য গ্রহে আশ্চর্য ও রহস্যময় অনবদ্য, অসাধারণ এক নারী হেলেন কেলার। নিজের দহনের আলোতে লাখ লাখ প্রদীপ জ্বালিয়ে পৃথিবী কাঁপানো মহত্বের মুকুট নিয়ে দেশে দেশে বাকশ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের স্মৃতিতে চির ভাস্বর করে রাখার জন্য কাজ করেছেন। প্রখ্যাত সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন বলেছেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্র নেপোলিয়ন এবং হেলেন কেলার। প্রথমজন গায়ের জোরে পৃথিবী জয় করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিফল হয়েছিলেন, দ্বিতীয় জন মনের জোরে পৃথিবী জয় করতে চেয়েছিলেন এবং তিনি সফল হয়েছিলেন।
উত্তর আমেরিকার আলবামা রাজ্যে টাসকাম্বিয়া নামে ছোট শহরে আর্থার কেলার ও ক্যাথরিন কেলার দম্পতির ঘরে তিনি ১৮৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাত্র ১৯ মাস বয়সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কিন্তু ভাগ্যের নির্দয়, নির্মম, নিষ্ঠুর পরিহাস, ধীরে ধীরে কথা বলা, শোনা এবং দেখার শক্তি চিরতরে হারিয়ে যায়। টেলিফোন আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল পরীক্ষা করে দেখেন যে, আর কোনোদিন তিনি চিরসবুজ ধরণী দেখতে, তার প্রিয়তমা মাকে মা বলে ডাকতে এবং প্রাণ প্রিয় বাবার কথা শুনতে পাবেন না। ৮ বছর বয়সে হাতে আঙ্গুল দিয়ে দাগ কেটে লেখা, ব্রেইল পদ্ধতিতে শব্দ ও বাক্য উচ্চারণ অর্থাত্ লেখাপড়া পুনরায় শুরু করলেন। এই সাফল্যে সবাই অবাক হয়ে যায়। শিক্ষকের মুখের কম্পন, ঠোঁট ও জিহ্বার নড়াচড়া হাত দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করতেন। ১৪ বছর বয়সে আমেরিকার নিউইয়র্কের রাইট হুমার্সন স্কুলে ভর্তি হন। ১৯০৪ সালে তিনি র্যাডক্লিক কলেজ থেকে ই.অ ডিগ্রি লাভ করেন। যার নাম না লিখলে হেলেনের জীবন অসম্পূর্ণ থাকবে তিনি হলেন তার শিক্ষিকা অ্যান স্যালিভান। তাদের দু’জনের জীবন একসূত্রে গাঁথা হয়ে এক অবিভাজ্য আত্মায় পরিণত হয়েছিল। হেলেন নিজেই লিখেছেন তিনি যে,বিশ্বের মানুষের সামনে দাঁড়াতে পেরেছেন তার সবটুকু কৃতিত্ব তার পারকিন্স ইনস্টিটিউশন এর ভুবনজয়ী শিক্ষিকার জন্য। ছাত্রীর হাতের উপরে নির্দিষ্ট আঙ্গুল সঞ্চালন করে তাকে শিক্ষা দেন এক অদ্ভুত পদ্ধতিতে। হেলেন প্রশ্ন জেনে টাইপ মেশিনে টাইপ করে বা হাতের আঙ্গুলের ইশারায় উত্তর দিতেন। হেলেন ৩৬ ও ৪২ বছর বয়সে দুজনের সঙ্গে পরিচিত হলেও পারিবারিক জীবনে প্রবেশ করেননি। তাদের প্রস্তাবের উত্তরে বলতেন, আমাদের জীবন হবে ঘনকুয়াশার মধ্যে নদীতে চলা দুটো নৌকার মত। তাছাড়া তিনি ইংরেজি, ল্যাটিন, ফরাসি, জার্মান ও গ্রিক ভাষা জানতেন এবং অনেক বই লিখেছেন, বই পড়েছেন অনেক জ্ঞানী লোকের চেয়েও বেশি।
তাছাড়া তিনি নিজে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, সঙ্গীত উপভোগ করতেন বাদ্যযন্ত্রের ওপর হাত রেখে। হাতের ছোঁয়া দিয়ে শ্রবণের কাজ করতেন, মানুষের সঙ্গে করমর্দন করলে বলে দিতে পারতেন আগের পরিচিত কি না? সাঁতার কাটা, নৌকা চালানো, দাবা খেলা, তাস খেলা এবং ঘরে বসে নকশি কাঁথা সেলাই করতে পারতেন। কম্পনের অনুভূতি থেকে বলে দিতে পারতেন ছুতোর মিস্ত্রি করাত দিয়ে কাঁটছে, না রাঁদা চালাচ্ছে, না হাতুড়ি পেটাচ্ছে। ফুলের পাপড়ি স্পর্শ করে ফুলের রং বলে দিতে পারতেন। তিনি নারী ও কালো মানুষের অধিকারে সর্বদা সচেতন ছিলেন। তিনি রাজনীতি করেছেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পর্বে যোগদান করতেন। তিনি আমাদের মত সুস্থ স্বাভাবিক মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলতেন আমি অন্ধ-তোমরা যারা দেখতে পাও, তাদেরকে আমি একটা কথা বলে যেতে চাই- চোখ দুটোকে তোমরা এমনভাবে ব্যবহার করো যেন আগামীকালই তুমি অন্ধ হয়ে যাবে- আর দেখবে না। তোমার অপর সব ইন্দ্রিয়ের বেলায়ও এমন করে ভাবতে শেখো। সুরের আওয়াজ, পাখির গান, বাদ্যকারের বাজনা এমনভাবেই শুনবে যেন কালই তুমি বধির হয়ে যাবে। প্রতিটি জিনিস এমনভাবে ছুঁয়ে দেখবে, যেন তোমার স্পর্শ শক্তি অবলুপ্ত হবে আগামীকালই। এমনভাবে নেবে ফুলের ঘ্রাণ আর খাদ্যের স্বাদ যেন আগামীকাল আর তোমার গন্ধ কিংবা স্বাদের অনুভূতি অবশিষ্ট থাকবে না। পৃথিবীর কয়েকটি দেশ তাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি, নাইট উপাধি দিয়েছে। তাছাড়া ১৯৫৯সালে জাতিসংঘ তাকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন। তিনি মনে করতেন, সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা বুদ্ধির জড়তা আর উপভোগ হলো বাধা জয় করার আনন্দ।এই মহিয়সী অন্ধ-বধির ও মূক প্রতিবন্ধী নারী ১৯৬৮ সালে এই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন।
আসলে প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো তাদের প্রতি সহানুভূতির অভাব। তারাও যে মানুষ এ বোধ আমাদের অনেকের মধ্যে থাকে না। যে পরিবারে একজন প্রতিবন্ধী সদস্য আছে আমাদের শিক্ষিত জাতির উচিত সেই পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আর আমাদের পাশাপাশি তার পরিবারের প্রত্যেকের উচিত তাদের বিশেষভাবে আদর, ভালো বাসা, যত্ন করা এবং তাদের খেয়াল রাখা। আর একজন প্রতিবন্ধীর প্রতি যদি তার পরিবার যথেষ্ট খেয়াল রাখে তাহলে তারা তাদের প্রতিভার বিষয়টি বুঝতে পারবে। আমরা অনেকে তাদের ঘৃণাও করি। আমরা কখনো কি একটু মন দিয়ে ভেবে দেখেছি যে প্রতিবন্ধীদের যিনি তৈরি বা সৃষ্টি করেছেন তিনিই কিন্তু আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আমরা কি কখনো ভেবেছি যে আমাদের অবস্থা যদি প্রতিবন্ধীদের মতো হতো তাহলে কী হতো? আমরা কি পারি না তাদের দিকে বিস্ময় দৃষ্টিতে না তাকিয়ে ভালোবাসার অনুভূতি নিয়ে পাশে দাঁড়াতে? আসুন আমরা সবাই মিলে সমাজে পূর্ণ ও কার্যকর অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াই। তাহলেই তারা তাদের প্রতিভা দিয়ে দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ হয়ে উঠতে পারবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয়। প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেলে তারাও দেশের সম্পদে পরিণত হবে। এ জন্য প্রয়োজন তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগটা তৈরি করে দেয়া।
লেখক ও কলামিস্ট



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft