বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১৪ কার্তিক ১৪৩১
জলবায়ু পরিবর্তন: সুপেয় পানি ও বাস্তুচ্যুতির শঙ্কা
Published : Saturday, 31 March, 2018 at 6:00 AM, Count : 1374

নিতাই চন্দ্র রায় : সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ থেকে প্রকাশিত‘ গ্রাউন্ড ওয়েল; প্রিপেয়ারিং ফর ইন্টারনাল ক্লাইমেট মাইগ্রেশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চলতি শতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশের ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ বাস্তুভিটা ছাড়তে বাধ্য হতে পারে। এতে বাস্তুভিটা হারানো মানুষেরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের ধান উত্পাদনকারী এলাকায় হাজির হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর এমনিতেই বাড়তি জনসংখ্যার চাপে জর্জরিত। কয়েক বছর ধরে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে শহর দুটিতে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ে। নতুন করে উপকূলের মানুষ সেখানে এসে হাজির হলে ওই শহর দুটি বসবাসের জন্য আরও বেশি অনুপযোগী হয়ে পড়বে। সৃষ্টি হবে নতুন করে বিপর্যয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ নদীমাতৃক বাংলাদেশের পিছু ছাড়ছে না। গত বছর একের পর এক দুর্যোগের মধ্য দিয়েই কেটেছে কোটি কোটি মানুষের জীবন। সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বেড়ে উপকূলের বড় অংশ ডুবে যেতে পারে এবং বাস্তুচ্যুত হতে পারে উপকূলের বড় একটি অংশের মানুষ। এমন পূর্বাভাসই দিয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেলের (আইপিসিসি) বিজ্ঞানীরা। এতে দেশের উপকূলের ১২ হাজার ১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা ডুবে যেতে পারে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মতে, ‘দেশের উপকূলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ বাড়ছে। নদীগুলোতে লবণক্ততাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর হাওরে আগাম বন্যায় ফসলহানি, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ধস ও সর্বকালের বড় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। এতে চালের দাম বেড়ে, রফতানি থেকে আমদানি নির্ভর হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হবে তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।’ দেরিতে হলেও সরকার বেড়িবাঁধগুলো মেরামত শুরু করেছে। এই বাঁধগুলো মেরামতের কাজ ক্ষয়ক্ষতির মাপকাঠিতেই সময়মতো সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ এখনো কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। তবে শিল্পায়ন ও নগরায়ণের কারণে গ্রামের মানুষ স্বাভাবিকভাবেই নগরমুখী হচ্ছে। দেশের গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেখানে ১ দশমিক ১ শতাংশ, সেখানে শহরে ওই বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের ওপর। শহরগুলো সক্ষমতার চেয়ে বেশি জনসংখ্যার চাপে আছে। এর সঙ্গে জলবায়ু বাস্তুচ্যুত মানুষগুলো যোগ হলে তা বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার বিপদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উপকূল কতটা প্রস্তুত- এ ব্যাপারে পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলোর উচ্চতা বাড়ানো ও মেরামতের কাজ শুরু করেছি। আশা করি, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের তেমন ক্ষতি করতে পারবে না।’
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশের উপকূলে ৭ হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ১৩৯টি পোল্ডার বা বেড়িবাঁধ রয়েছে। ষাটের দশকে নির্মিত ওই বাঁধগুলোর বেশিরভাগই ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। এছাড়া চিংড়িচাষিরা বাঁধ কেটে ঘেরে লবণপানির পথ করে দিচ্ছে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ভেঙে যায়। অনেক স্থানে এখনো সেগুলো মেরামত করা হয়নি। আর বাঁধগুলোর স্থায়িত্বকালও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৯ কোটি ৬০ লাখ। ওই জনসংখ্যার বড় অংশ শহরে বসবাস করবে। বড় শহরগুলোর ৩৬ শতাংশ মানুষ অস্থায়ী বসতি করে থাকে। উন্নত জীবনের আশায় দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন। ২০১৭ সালের প্রথম তিন মাসে ইউরোপে শ্রমিক পাঠানোর দিক দিয়ে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে ছিল। অভিবাসীদের বেশিরভাগ হচ্ছে পুরুষ। ফলে তাদের পরিবারের নারী ও শিশুরা বসতভিটায় থাকছেন এবং ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের আক্রমণ ও লবণপানির বিপদ মোকাবিলা করছেন। এ ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. সালেমুল হক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিপদগুলো আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, তা সামলাতেই আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই শতাব্দীর শেষে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির যে বড় বিপদ আসছে, তা সামলানোর প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদ দিয়ে অন্য ১০টি মাঝারি শহরকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষম করে প্রস্তুত করতে হবে। নয়তো বড় ধরনের বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
বর্তমানে দেশের নগরগুলোতে প্রায় ৫ কোটি লোক বসবাস করছেন। ২০২০ সাড়ে ৮ কোটি লোক নগরে বসবাস করবে এবং ২০৫০ সালে শতভাগ অর্থাত্ প্রায় ২০ কোটি লোক নগরে বসবাস করবে। তখন প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা বিরাজ করবে এবং বাংলাদেশে গ্রাম বলে আর কিছু থাকবে না। এই ২০ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিদ্যমান খাদ্যাভাস ও প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে না। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের ভাতের পরিবর্তে বেশি করে শাক-সবজি, মাছ-মাংস ও ডিম খেতে হবে। আলুর ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রতিটি নগরে গ্রামীণ কৃষির পাশাপাশি বসতবাড়ির ছাদ, বারান্দা এবং আফিস-আদালত, কল-কারখানা, স্কুল-কলেজের পতিত জমিতে শাক-সবজি, ফলমূল এবং বাসাবাড়ির ছোট ছোট চৌবাচ্চায় আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ব্যবস্থা করতে হবে। নগর এবং তার আশপাশে হাঁস-মুরগি ও গো-খামার গড়ে তুলতে হবে। নগরের বর্জ্য থেকে বিদ্যুত্ ও জৈব সার উত্পাদন করে সেগুলো নগরীয় কৃষি কাজে ব্যবহার করতে হবে। নগরীয় কৃষির মাধ্যমে উত্পাদিত ফলমূল ও শাক-সবজি হবে রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ। ছাদে বাগান তৈরির ফলে নগরগুলোতে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে। বায়ু ও শব্দ দূষণের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে নগরবাসী।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে লবণাক্ততা বেড়ে নষ্ট হচ্ছে সুপেয় পানির আধার। এ কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে- এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আর ভূগর্ভস্থ পানির অপরিকল্পিত উত্তোলনে এ সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। আমরা কি জানি? এক কেজি ধান উত্পাদনে সাড়ে তিন হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়। প্রতি লিটার পানির দাম ১০ টাকা হলেও প্রতি কেজি ধান উত্পাদনের জন্য পানি খরচ হয় ৩৫ হাজার টাকার। আর সেই এক কেজি ধানের দাম হলো মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। পানি যদি আমাদের কিনে ব্যবহার করতে হতো তাহলে ৩৫ হাজার টাকার পানি খরচ করে কোনো কৃষকই ৩০ টাকা মূল্যের এক কেজি ধান উত্পাদন করতেন না। এছাড়া গৃহস্থালি, কল-কারখানা কৃষিকাজে অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে ফলে পানির স্তর দিন দিন নিচে চলে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও গভীর নলকূপ ব্যবহার করেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই সেচনির্ভর বোরো ধানের পরিবর্তে বৃষ্টিনির্ভর আউশ ধান উত্পাদনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য প্রাকৃতিক জলাশয়গুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে। প্রতিটি বাড়ির ছাদে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে তা ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প কারখানার বর্জ্য পানি পরিশোধন করে পুনরায় ব্যবহারের কথাও ভাবতে হবে। আন্তর্জাতিক নদী তিস্তা, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের ন্যায্য পানির হিস্যা আদায়ের ব্যাপারে কূটনৈতিক তত্পরতা আরও জোরদার করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুয়ায়ী, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীতে প্রবলভাবে বাড়ছে পানির চাহিদা। উন্নত জীবনযাপনের প্রয়োজনেও মানুষের দৈনিক মাথাপিছু পানির চাহিদা বেড়েই চলছে। কিন্তু নানামুখী অপচয় ও হস্তক্ষেপের কারণে অনেক স্থানে সুপেয় পানির উত্স সংকুচিত, দূষিত ও ধ্বংস হচ্ছে। এসব কারণে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এ সংকট সর্বাধিক। ওই এলাকায় গড় হিসেবে ২৫২ জনের জন্য একটি নলকূপ থাকলেও অনেক উপজেলায় নলকূপের কোনো অস্তিত্বই নেই। সেখানে পানির জন্য পুকুর বা অন্য জলাশয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। ওইসব এলাকায় সিডর আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক জলাশয় নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সুপেয় পানির সংকটও তীব্রতর হয়েছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুয়ায়ী, নিরাপদ উত্স থেকে পানি সংগ্রহের সুযোগ নেই এমন ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩ কেটি মানুষ নিরাপদ পানি সুবিধার বাইরে রয়েছে। যার বেশিরভাগই বাস করে উপকূলীয় ও পার্বত্য অঞ্চলে। বিভিন্ন সংস্থার একাধিক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আইলাদুর্গত এলাকার ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বর্তমানে বিশুদ্ধ পানি বঞ্চিত।
গবেষণা প্রতিবেদনে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খাবার পানির সংকটের জন্য লবণাক্ততাকে দায়ী করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে , জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীগুলোতে মিষ্টি পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে। আর অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষে পুকুর ও অন্যান্য জলাধার লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ ট্রাস্টের কো-অর্ডিনেটর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকটের অন্যতম সুপেয় পানির অভাব। উপকূলীয় এলাকায় এই সংকট সর্বাধিক। সেখানে সুপেয় পানির আধার কম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে আধারগুলো নষ্ট হচ্ছে। ফলে সংকট প্রতিনিয়ত ঘণীভূত হচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে সিডর, আইলা, নার্গিস, বিজলীসহ পাঁচটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। এতে মিষ্টি পানির আধার নষ্ট হয়ে নতুন সংকট তৈরি হচ্ছে। উপকূলের মানুষকে খাবার পানির জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। খাবার পানি জোগার করতে গ্রামের মহিলাদের ২ থেকে ৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। দিনের একটি বড় সময় এর পেছনে ব্যয় করেন তারা। এই সংকট মোকাবিলায় বায়োসিন্ড ফিল্টার, পুকুরপাড়ে বালির ফিল্টার ও রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং প্লান্ট এবং জলাধার সংস্কার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকেও এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে জানান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তার মতে উপকূলীয় এলাকায় বিভিন্ন উত্স থেকে সামান্য পরিমাণ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা, সমন্বয়হীনতা ও মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে। ফলে এই খাতে বরাদ্দ দেয়া সত্ত্বেও তার সুফল পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। এই সংকট সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশি পদক্ষেপ জরুরি।
লেখক: কৃষিবিদ



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft