বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলা ভাষা হোক আমাদের হূদয়ের ভাষা
Published : Sunday, 11 February, 2018 at 6:00 AM, Count : 1450

মীর আবদুল আলীম : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী একুশে বইমেলার উদ্বোধন করে নিজ দেশের ভাষা ও কৃষ্টি, শিল্প-সাহিত্য এবং সংস্কৃতিকে মর্যাদা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা নিজেদের সংস্কৃতি, নিজেদের ভাষা, নিজেদের শিল্প-সাহিত্যকে যদি মর্যাদাশীল করতে না পারি তাহলে বিশ্বের দরবারে উন্নত জাতি হিসেবে মর্যাদা আশা করতে পারি না। মায়ের ভাষাকে হূদয়ে লালন না করা, তার উত্কর্ষ সাধন না করা, দেশের প্রতি অসম্মান করার সামিল। বাংলা ভাষা মর্যাদা হারাচ্ছে। তাইতো প্রধানমন্ত্রীর ভাষার মর্যাদা রক্ষার আহ্বান আমাদের আশা জাগায়। সবার আগে মাতৃ ভাষার মর্যাদা দিতে হবে। আমরা পারছি না আমাদের মাতৃ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। দেশে মাতৃ ভাষার ব্যবহার কমছে। ভাষা বিকৃত হচ্ছে। আমাদের দেশাত্ম বোধ কি কমে যাচ্ছে? তা না হলে মাতৃভাষার প্রতি দরদ কমছে কেন? রফিক, বরকত, জব্বার  জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে যে ভাষা রক্ষা করলো সে ভাষা নিয়ে আমরা হেলাফেলা করতে পারি না। আমরা আমাদের মায়ের ভাষার অবহেলা কেন করছি? কেন?
ফেব্রুয়ারি এলেই বাংলা ভাষা নিয়ে মেতে উঠি আমরা। সারাদেশে মাসটা ঘিরে মায়ের ভাষার জন্য হৈচৈ হয়; সভা সেমিনারে ভাষা রক্ষা, এর উত্কর্ষ সাধনসহ বাংলা ভাষার বেশ চর্চা চলে। আবার মার্চেই চলে ভিন দেশি ভাষার দাপট। মায়ের ভাষাকে বাঁচানোর তাগিদ আসে বছরে এই একটি মাসেই। বর্তমানে ২১ ফেব্রুয়ারি বা ভাষা আন্দোলন স্কুলের পাঠ্যবইয়েই যেন সীমাবদ্ধ। একুশের ভোরেই কেবল মানুষের গন্তব্য হয় শহীদ মিনারে। এরপর একুশের চেতনা যেন ফিকে হয়ে আসতে থাকে। 
আমরা ছোট বেলায় যে অনুভূতি নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করতাম, আমাদের শিশুদের সেভাবে পালন করতে দেখি না। আগে ২১তে র্যালি বাধ্যতামূলক ছিল। ভোরে খালি পায়ে হেঁটে চলা আর সঙ্গে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।’ এ গানেই শিউরে উঠত গোটা শরীর। চোখে গড়িয়ে জল আসত। এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের মতো ২১ ফেব্রুয়ারি পালন হয় না। আমাদের মাতৃ ভাষায় দরদে যেন টান পড়েছে। অথচ এ ভাষা রক্ষায় কত রক্তই না ঝরেছে। 
ফেব্রুয়ারি শুরু হলে, ভাষার জন্য অনেকের মুখে খই ফোটে। মাসটা জুড়ে বাংলার জন্য অনেকের দরদ উেল পড়তে দেখি। তাদের মুখে এতো পদ্য, এতো গদ্য, ছড়া কবিতা আর বাংলা গানের ফোয়ারা ছোটে; আর তারাই পরে কিনা ভিন দেশি বনে যায়। কারও সঙ্গে দেখা হলে ‘হাই, হ্যালো, হাউ আর ইউ?’; ডিনারে দেখা হলে, ‘নাইস টু মিট ইউ!’ ওকে, ফাইন। আর কত কি। দেশে বাংলা ভাষার অবমাননা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। রেডিও, টেলিভিষণে পর্যন্ত বাংলা ভাষার বিকৃতি করা হচ্ছে। সাইন বোর্ড, ব্যানার, পোস্টারেও ভুল বানানের ছড়াছড়ি সর্বত্র লক্ষ্য করি। যুগের পর যুগ নানাভাবে এ বিষয়ে কথা উঠলেও বাংলার সম্মান দেখাতে পারছি না আমরা। 
বাংলা ভাষা নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। ভাষার মর্যাদা রক্ষায় আমাদের আদালতের স্মরণাপন্ন পর্যন্ত হতে হয়। এ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশেরও তোয়াক্কা করা হয় না। রাজধানীর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই নামকরণ করা হয়েছে বিদেশি ভাষায়। কোথাও আবার বিদেশি শব্দ লেখা হয়েছে বাংলায়। আবার কোথাও অহেতুক বাংলা শব্দকে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে। আবার কোথাও-বা বাংলা-ইংরেজির মিশেল আর ভুল বানানের ছড়াছড়ি। ঢাকার প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক লেখা হয়েছে ইংরেজিতে। উত্তরা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত শত শত বিপণি বিতান আর দোকানের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রায় সবই ইংরেজিতে লেখা সাইন বোর্ড। শহরজুড়ে মোবাইল ফোন কোম্পানির ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে ইংরেজি ভাষা। হাউজিং কোম্পানির বিলবোর্ডেরও দশা একই। খাবারের দোকানে বিরিয়ানি না লিখে লেখা হয়েছে ‘বিরানী’, কোথাও লেখা হয়েছে ভর্তার পরিবর্তে ‘ভরতা’ এরকম অসংখ্য ভুল। নবাবি আমলে বাংলা ভাষার অনেক ভাঙা গড়া হয়েছিল। ঢুকে পড়েছিল ‘কুর্শি’, ‘দরজা’, ‘পেয়ালা’, ‘শরবত’ ইত্যাদি অনেক আরবি, ফার্সি শব্দ। এবার কি বানের জলের মত ঢুকে পড়বে হিন্দি, ইংরেজির, ‘জানেমন’, ‘চিপকলি’, ‘মজাক’, ‘নউটাঙ্কি’, ‘ড্রামাবাজি’র মতো শব্দ? স্বদেশে, পরদেশে, প্রবাসে বাঙালিদের মুহূর্তে বদলে যাওয়া মতিগতির সঙ্গে পালটে ফেলা টিভি চ্যানেলের এর মতো ‘মেড ইজি’ করতে কি বাংলা ভাষা এবার দোর খুলে দেবে অভিধানের? হবে নাকি, নতুন ভাষার নতুন কথার, নতুন নতুন মানে? সংস্কৃতের অপভ্রংশ মাগধী-প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উত্পত্তি হয় ১০০০-১২০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই এই ভাষা এতটাই উন্নত এবং সমৃদ্ধ যে সাংস্কৃতিক বৈষম্যের ঊর্ধ্বে গিয়ে একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অগণিত মানুষকে এক সূত্রে বাঁধতে পেরেছিল। গড়ে তুলেছিল বাংলা সংস্কৃতি ও জাতি। কিন্তু মাতৃদুগ্ধসম এমনই এক ভাষাকে যখন বর্জন করার আদেশ এলো তখন সন্তানদের বুকে খুব স্বাভাবিকভাবেই বেজে উঠেছিল বিদ্রোহের দামামা, যা আগুন হয়ে জ্বলে উঠেছিল ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে। কিন্তু মায়ের সে ভাষা এখন কালো মেঘে ছায়াচ্ছন্ন। 
বাংলা ভাষা প্রয়োগে কোথায় যেন এক ধরনের অবহেলা। কোথায় যেন এক ধরনের হীনম্মন্যতা। কেন এমন করা হয়? এসব প্রশ্নের যেন কোনো জবাব নেই। গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় সপরিবারে দুপুরের খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অমনি গান বেজে উঠল, ‘জানেমন, জানেমন’। চমকে উঠলাম। শুধু রেস্তোরাঁতে নয়, বাসায়, রাস্তায় গাড়িতে পার্কে প্রায় সব জায়গাতেই হিন্দি কিংবা অন্য ভাষার গানের জয়জয়কার। ভাবি বাংলা ভাষা কি কেবলই ফাঁকা আওয়াজ? তোতার বুলি? মুখস্থ বিদ্যা? ‘তাহলে বাংলা শিখে কি হবে আর?’ কালে কালেতো বেশ বুঝলাম। বেশিরভাগ বাঙালিই বাংলার চৌহদ্দি পেরোলেই বাংলা ভাষাটাকে পুরনো ঘরে ফেলে আসা আসবাবের ঝুলধরা তাকের কোণে ঝং ধরা টিনের বাক্সে বন্দি করে আসে। সঙ্গে আনে ‘আমি বাঙালি’ নামক তকমা, যদিও তা হাতির দাঁতের মতো শুধুই বাহারি। বলতেই হয় সারাদেশে আজ বাংলা ভাষার অবমাননা চলছে। অথচ সারা পৃথিবীতে বাংলা এখন ষষ্ঠ ভাষা হিসাবে স্থান পেয়েছে। হাজারও ভাষার মাঝে পৃথিবীতে আমরা যদি আমাদের ভাষার এই গৌরবজনক অবস্থানকে গুরুত্ব না দিই তবে তার চেয়ে মর্মবিদারক আর কিছু আছে কি? উনিশ শতকে বাঙালি কৃতী চিকিত্সকরা বাংলা ভাষায় বই লিখেছেন। বিচারকরা বাংলা ভাষায় বিচারের রায় লিখেছেন আর এখন চিকিত্সকরা প্রেসক্রিপশনটিও বাংলা ভাষায় লেখেন না, আদালতে নাকি বাংলা ভাষা ব্যবহারটা যুত্সই না! 
গত তিন দশকে কত কিছুই তো আমাদের সামনে পাল্টালো। আমারা অনেকেই সেই রেকর্ড প্লেয়ার আর রেডিওর মায়া ত্যাগ করে ধরেছি টিভি। ছোটবেলার সেই মুড়ির টিন খ্যাত পাবলিকবাস এখন বিলাসবহুল হয়েছে। ভ্রমণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শীতল হাওয়া। গুলিস্তানের মতো ক্ষত-বিক্ষত সড়কের নিচে এখন পাতাল সড়ক আর মার্কেট গড়ে উঠেছে। ক’বছর বাদেই হয়তো পাতালে চলবে আধুনা রেলগাড়ি। এত কিছুর পরেও কি করে বলি যে বাঙালি বদলায়নি? কে বলে যে বাঙালি পরিবর্তন চায় না? দলে দলে শহর, গ্রাম উজাড় করে এই যে আমরা দেশে, বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছি, কেন? মাত্র বছর কুড়ি আগেও যে ঠোকাঠুকি, চুলোচুলি, ঝগড়াঝাঁটির এক্কান্নবর্তী সংসার ছিল, তা আজ ‘ছোট পরিবার, সুখী পরিবার’ হয়েছে, কেন? বড় দো-মহলা বাড়ির বিলাসিতা ছেড়ে আজ সবার কাম্য ‘টু বেডরুম, ডাইনিং, কিচেন’ কেন? পুরনো, প্রাসাদোপম বাড়ি, বাজার ভেঙে চাই অত্যাধুনিক ‘মল’, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। চওড়া রাস্তার বুকে গজিয়ে তুলি উড়ালপুল কেন? এসব কি পরিবর্তন নয়? বাঙালি ভেতরে আমূল পরিবর্তন এসেছে ভাষা প্রয়োগেও। কিন্তু এ পরিবর্তন কি আমরা চেয়েছিলাম? আমরা কি চেয়েছিলাম মায়ের ভাষাটাকে বিকৃত করে দিতে; বদলে নিতে? 
বাংলা ভাষা নিয়ে তর্ক বহুদিনের পুরনো। বাংলা ভাষাকে সংস্কৃতের দুহিতা জেনে অনেকে গৌরব বোধ করেন। অনেকের আবার এ ধরনের জন্মগত সম্পর্ক মেনে নিতে রয়েছে প্রবল আপত্তি। এ তর্ক নতুন করে শুরু করার আগে আসুন আমরা আলোচনা করে ঠিক করি, ‘বাংলা ভাষা’ বা ‘সংস্কৃত ভাষা’ বলতে আমরা কি বুঝব? ‘বাংলা ভাষা’র দুটি সংজ্ঞা দেয়া সম্ভব। বাংলাদেশ রাষ্ট্র, ভারতের বিহার, আসাম ও বার্মার আরাকান অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে সর্বজনবোধ্য যে মান উপভাষাটি আছে যাকে সাধারণভাবে ‘মান চলিত বাংলা’ বলা হয়। সেটাকে ‘বাংলা’ বলা যেতে পারে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে প্রচলিত বিশেষ কিছু ইন্দো-আর্য উপভাষার (যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, মেদিনীপুর, বীরভূম অঞ্চলে প্রচলিত উপভাষা) সমষ্টিকেও ‘বাংলা ভাষা’ বলা যেতে পারে। ইংরেজি, ফরাসি ইত্যাদি সব ভাষার ক্ষেত্রেই এই ব্যাপারটা আছে। তবে ঐতিহাসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে ইংরেজি বা ফরাসির মতো ভাষার ক্ষেত্রে একাধিক মান ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে (যেমন, যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রে আলাদা আলাদা মান ইংরেজি রয়েছে, ফ্রান্স আর কানাডার কুইবেকে রয়েছে আলাদা আলাদা মান ফরাসি)। সুতরাং ‘ইংরেজি’ বা ‘ফরাসি’ বলতে বোঝাবে সেই মান ভাষাগুলোর যে কোন একটিকে, বা একসঙ্গে ইংরেজি বা ফরাসির সবগুলো উপভাষাকে। মোটকথা, বর্তমান পৃথিবীতে ‘ভাষা’ কথাটির অন্ততপক্ষে দুটি আলাদা অর্থ রয়েছে: ১. সর্বজনবোধ্য মান উপভাষা, এবং ২. সবগুলো উপভাষার সমষ্টি। সুতরাং ১. ‘বাংলা’ বলতে সর্বজনবোধ্য মান বাংলাকে বোঝাতে পারে আবার ২. সবগুলো আঞ্চলিক বাংলা সমষ্টিকেও ‘বাংলা’ বলা যেতে পারে। কিন্তু তার বালাই রাখছে কোথায় বাঙালি?
আজ বাঙালি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা শীর্ষস্থানও লাভ করেছে এবং করছে। কিন্তু যে ভাষার নামে তাদের পরিচয় সেই ভাষা তাদের রোজকার জীবনে কোনো স্থানে রয়েছে? বিশ্বের দরবারে সে কতটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে? ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগ বা তাদের স্বপ্ন আজ কতটা সফল? একুশের চেতনা আজ আমাদের মন কতটা ধরে রাখতে পেরেছে? এই প্রশ্নগুলো আজও সামনে এসে পড়ে! আধুনিক প্রজন্ম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আজ ইংরেজি ছাড়া কথা বলে না, তাদের পড়াশোনার মাধ্যমও ইংরেজি হলে নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে। হ্যাঁ, আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি শিখতে হবে। তাই বলে নিজের মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে অবহেলা করে নয়। ভাষার মাস ফেব্রুয়াারিতে এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা- বাংলা ভাষার চেতনা উজ্জ্বল করে তুলতে হবে। সবার উদ্দেশে আহ্বান, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের প্রতি ‘তোমরা বাংলা ভাষাকে জায়গা করে দাও প্রতিটি বাঙালির হূদয়ে।’ রাজনীতিকদেরও বাংলা ভাষার ব্যাপারে আরও অনেক বেশি সচেতন হবে; আমাদের অবশ্যই বর্তমান অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাকে এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের হূদয়ে জায়গা করে দিতে হবে। আর এটাই হোক ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে আমাদের বিশেষ প্রতিজ্ঞা।
লেখক : কলামিস্ট 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft