শিরোনাম: |
অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের প্রাসঙ্গিকতা
|
মোতাহার হোসেন : প্রযুক্তির বদৌলতে পুরো বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। এই বিবেচনায় পুরো পৃথিবীটাই হচ্ছে একটা গ্লোবাল ভিলেজ। পুরো পৃথিবীর মানুষ একই সঙ্গে গ্লোবাল ভিলেজের সদস্য। তাই ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ মানুষের দৈনন্দিন সব কাজেই একজন অন্য জনের উপর যেমন নির্ভরশীল তেমনি এক দেশে অন্য দেশের উপর একই সঙ্গে সমগ্র বিশ্বেরর উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উত্কর্ষতা, উন্নয়ন, অগ্রগতিতে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন সর্বোপরি জীবনমানের উন্নয়নে অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তির আদান প্রদান, পারস্পরিক ভাব বিনিময়, সুসম্পর্ক রাখা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য। এ রকম একটি দিবস পালিত হলো বাংলাদেশে। গত ২৬ জানুয়ারি ছিল আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস। বিশ্বব্যাপী কাস্টমস্ পরিবারের জন্য দিবসটি উত্সবের এবং মর্যাদার। নিউজিল্যান্ড থেকে আইসল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চীন, চিলি থেকে পাপুয়া নিউ গিনি। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস্ অর্গানাইজেশনের ১৮২ সদস্য দেশ বিপুল উত্সাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করে থাকে এ দিবস। ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছরই এ সময় বেজে ওঠে উত্সবের সুর। র্যালি, সেমিনার, সচেতনতামূলক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, বিশেষ অপারেশন, মহড়া- অংশীজনদের নিয়ে নানা কার্যক্রম আর আনুষ্ঠানিকতা থাকে দিনভর। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। রাজস্ব সংগ্রহের পাশাপাশি কাস্টমস্ বিভাগের অন্য দুটি প্রধান দায়িত্ব-নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং বৈধ বাণিজ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন। তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নানান উদ্ভাবনী কৌশল ব্যবহার করে এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বিশ্বের কাস্টমস্ সমপ্রদায়। কাস্টমসের গণ্ডি তাই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মরুতে, বন্দরে, আন্তর্জাতিক জলরাশিতে, শ্বাপদসংকুল অরণ্যে আর উম্মুক্ত আকাশে। সীমান্তের শুল্ক স্টেশন, বন্দর আর চৌকিতে নাগরিকের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও রাজস্ব সংগ্রহের ব্রত নিয়ে নিরন্তর কাজ করছে জনগণের সারথী- বাংলাদেশ কাস্টমস্। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস্ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও) এবং আন্তর্জাতিক কাস্টমস্ দিবস বিশ্বব্যাপী শুল্ক সম্প্রদায়ের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি ব্রাসেলস্ এ কাস্টমস্ কো-অপারেশন কাউন্সিল (সিসিসি) নামে যে সংস্থাটি যাত্রা শুরু করেছে- তাই আজকের ওয়ার্ল্ড কাস্টমস্ অর্গানাইজেশন। কাস্টমস্ উত্কর্ষের আন্তর্জাতিক পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত ডব্লিউসিও এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও স্মারকের তত্ত্বাবধান করে থাকে। কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে সদস্য দেশ এবং সহযোগী সংস্থাসমূহকে। বিশ্ব বাণিজ্যের শতকরা ৯৮ ভাগের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ডব্লিউসিও সদস্য দেশসমূহ। কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সচেতনতা তৈরি এবং নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে একযোগে প্রতিপালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস। প্রতি বছর সময়ের আলোচিত একটি থিম সামনে রেখে উদযাপিত হয় এ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ’। এটি সত্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্ব, কর্মনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট, মানুষের প্রতি শতভাগ দায়বদ্ধতা থেকে দেশ পরিচালনা, সরকার পরিচালনায় সফলতায় প্রশংসিত হচ্ছেন বিশ্বের দেশে দেশে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন বিশ্ববাসীর কাছে এ এক বিস্ময়কর অর্জন। শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যের তালিকায় দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ, শিশু মৃত্যুর হার কমানোসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন, রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ও অভ্যন্তরীণ সম্পদের যোগান ?বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ধারাবাহিক সাফল্য আসছে। বিগত প্রায় ১০ বছরে দেশের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধির হার ৭% এর উপরে রয়েছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ অর্জনকে ধরে রেখে এগুতে হবে সমৃদ্ধির পথে, উন্নয়নের রথযাত্রায়। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে তার বক্তব্যেও বলেছেন, সমৃদ্ধির পথযাত্রায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ কর্তৃক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হলো নিরাপদ বাণিজ্য পরিবেশ। আভ্যন্তরীণভাবে রাজস্ব সংগ্রহে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে এক্ষেত্রে কাস্টমসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও কাস্টমস সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেনি। দেশের আমদানি পয়েন্টসমূহে আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অনুসরণ করে পণ্যের দ্রুত ছাড়করণের মাধ্যমে একদিকে যেমন ব্যবসার ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব, তেমনি দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও দুর্নীতি হ্রাসসহ সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে সব স্টেকহোল্ডারদের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। এছাড়া, নাগরিক জীবনের নিরাপত্তার বিষয়েও কাস্টমসে্র সম্পৃক্ততা রয়েছে। চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য, আগ্নেয়াস্ত্র, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদিসহ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যচালানের আমদানি দমন করা দরকার। বৈধ এবং অবৈধ কোনো পথেই যাতে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার বন্ধে কাজ করতে হবে। বিশ্ব কাস্টমস সংস্থা বিশ্বের সকল দেশের কাস্টমস এর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে। বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার উদ্ভাবিত বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করে দ্রুত পণ্য খালাসের মাধ্যমে দেশীও ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাণিজ্য সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুল্কায়নে সময় ও ব্যয় হ্রাস, আমদানি, রফতানি ও ট্রানজিট সহজীকরণ, সমন্বয় সাধন এবং আধুনিকায়ন কাস্টসের জন্য এক চ্যালেঞ্জ। এই সেবা নিশ্চিত করতে হলে আমদানি-রফতানি সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে একটি অভিন্ন সিস্টেমে যুক্ত করা হবে। এ ধরনের কাজ সম্পাদনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প প্রস্তাব সমপ্রতি অনুমোদিত হয়েছে। এটা সত্য যে, শুল্ক বিভাগের কাজের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পেলেও জনবল ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়নি। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যচালান চিহ্নিত করে কম ঝুঁকিপূর্ণ চালান দ্রুত ছাড়করণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পণ্যচালান দ্রুত ছাড় ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সকল কাস্টম হাউসে স্থানীয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে একটি কেন্দ্রীয় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। পণ্য খালাসে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে এসআইকুডা ওয়াল্ড সিস্টেম এ আধুনিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের পাশাপাশি খালাসোত্তর নিরীক্ষার উপর জোর দেয়া দরকার। কাস্টসের নিজস্ব এ ওয়েব সাইটে কাস্টমস সংক্রান্ত সকল প্রজ্ঞাপন, তথ্য, আদেশ এবং কাস্টমস রাজস্ব আহরণ সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান সন্নিবেশ ও হালনাগাদ করা হয়েছে। এছাড়াও, এ ওয়েব সাইটে কাস্টমস বিভাগের মাঠ পর্যায়ের দপ্তরসমূহ ও বাংলাদেশ ট্রেড পোর্টালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি দফতরের ওয়েবসাইটের লিংক রয়েছে। ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ইতোমধ্যে পণ্যের শ্রেণিবিন্যাসের অগ্রিম রুলিং পদ্ধতি চালু করছে। ইতোমধ্যে এ সম্পর্কিত বিধিমালা জারি করা হয়েছে। আমদানি-রফতানি পণ্যের ঘোষণা যাচাই ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রযুক্তির আধুনিক কন্টেইনার স্ক্যানার প্রধান বন্দরসমূহে স্থাপন করা হয়েছে। আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির আরও স্ক্যানার সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নকল ও মানহীন পণ্যের আমদানি রোধকল্পে তথ্য সংরক্ষণে কাস্টমস তত্পরতা বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি ক্ষতিকর পণ্যের আমদানি-রফতানি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ দরকার। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমনসহ দেশীয় অর্থের অবৈধ প্রবাহ রোধে বাংলাদেশ কাস্টমস সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। এসব বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ জোরদার করা দরকার। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য প্রোফাইল আকারে ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে। সংরক্ষিত তথ্য বিশ্লেষণ করে অপরাধীর অবস্থান, অপরাধের প্রকৃতি ও পদ্ধতি এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অপরাধীদের সঙ্গে যোগসূত্র চিহ্নিত করে কার্যকরভাবে অর্থ পাচার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তবে আশার কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে পিএসসির মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ডের জন্য বিসিএস কাস্টমস ক্যাডার এর যেসব নবীন কর্মকর্তা যোগ দিয়েছেন তাদের মেধা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা, উদ্ভাবনী শক্তি, মনোবলের সঙ্গে বিদ্যমান বয়োজ্যেষ্ঠ ও অপেক্ষাকৃত প্রবীণ কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের কর্ম অভিজ্ঞতা, আর নব নব প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে গড়ে ওঠবে জনপ্রত্যাশা পূরণে দিগন্ত প্রসারিত এক নতুন ‘রাজস্ব প্রশাসন’ ‘কাস্টমস প্রশাসন’। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নবাগত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া দায়িত্বভার গ্রণের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেও এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। রাজস্ব আদায়ে স্টেক হোল্ডাদের সাথে সমন্বয় করেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। একজন গনমাধ্যম কর্মী হিসাবে জাতীয় রাজস্ব প্রশাসন এবং কাস্টমস প্রশাসনের কর্মকাণ্ড কাছ থেকে অবজার্ভ এবং কিছু কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপেও তাদের উপর শতভাগ আস্থা রেখেই নিঃদ্বিধায় বলতে পারি, রাজস্ব প্রশাসন আর কাস্টমস প্রশাসনে কাজের গতি, স্বচ্ছতা এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। একই সঙ্গে এ সেক্টরে কর্মরত প্রবীণদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা আর নবীন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মেধা, কর্মস্পৃহা, কর্মশক্তি, উদ্ভাবনী শক্তির মেলবন্ধনেই আগামী দিনের জনবান্ধাব রাজস্ব প্রশাসন, জনবান্ধব কাস্টসম প্রশাসন, জনবান্ধব ভ্যাট ও আয়কর প্রশাসন উপহার পাবে দেশ, দেশের আপামর মানুষ। এটা বলা দরকার যে, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্য সকল দেশের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কাস্টমস প্রশাসনও নিজেদের উপযোগী করে তুলতে সচেষ্ট হবেন। একদিকে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, অন্যদিকে বাণিজ্য সহজীকরণ- এই দ্বিবিধ লক্ষ্য অর্জন সহজ নয়। নিয়ন্ত্রণহীন সহায়তা কিংবা নিয়ন্ত্রণের নামে দীর্ঘসূত্রীতা- কোনোটিই কাম্য নয়। বরং সহায়তা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাই উত্তম। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য অর্জনকে সহজ করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সহায়তাও। সবাই মিলে আগামীতে একযোগে নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তাহলে বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন কিছু নয়। আশা এই পথেই হাঁটবেন রাজস্ব আহরণে নিয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কাস্টমস, ভ্যাট, আয়কর প্রশাসন। লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট |