শিরোনাম: |
নির্মাতা হয়েও গচ্ছা গিয়েছে অমিতাভ রেজার
|
বিনোদন প্রতিবেদক : টানা এক বছর পর আবার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে ২০১৬ সালের মেগা হিট সিনেমা ‘আয়নাবাজি’। এমনটাই জানালেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। যদিও বিস্ময়ের বিষয় এরকম একটি সিনেমা মাঝের এক বছর সারা দেশের কোথাও না চলার কথা শুনে। জেনে নেয়া যাক নতুন করে কোথায় কোথায় দেখা যাবে ছবিটি। অমিতাভ জানান, লম্বা বিরতির পর আজ থেকে ঢাকার দুটি সিনেপ্লেক্সে ছবিটি আবার প্রদর্শিত হচ্ছে। এরমধ্যে প্রথম সপ্তাহে স্টার সিনেপ্লেক্সে চলবে দৈনিক দুটি করে আর শ্যামলী সিনেমাতে ৪টি করে শো। দর্শক চাহিদার কথা ভেবে এই শোয়ের সংখ্যা কমতে-বাড়তে পারে। এ বিষয়ে অমিতাভ রেজা বলেন, হলো মালিকরা ভালো বলতে পারবেন। আমি শুধু এটুকু বলব, ‘আয়নাবাজি’ গেল এক বছরে দেশের কোনো হলো মালিকই চালানোর আগ্রহ দেখায়নি! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই আমাদের ফিল্ম পাড়ার বড় বাস্তবতা। অমিতাভের কণ্ঠে ক্ষোভ নাকি অভিমান, স্পষ্ট নয়। ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় ‘আয়নাবাজি’। এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের প্রায় প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে হাউজফুল চলে এই ছবিটি। এরপর গত বছর অক্টোবরে মাত্র একদিনের জন্য শ্যামলী সিনেপ্লেক্সে ছবিটি তাদের পর্দায় তোলে। সুপারহিট ‘আয়নাবাজি’ বিষয়ে অমিতাভ রেজা বিস্ময়কর তথ্য, সারাদেশের সিনেমা হল থেকে ‘আয়নাবাজি’র প্রযোজক প্রতিষ্ঠান এখনও ৭০ লাখ টাকা পাওনা আছে। এই ছবি বানানোর সময় ৩৫ লাখ টাকা আমি আমার পকেট থেকে খরচ করেছি। যার একটি টাকাও আমার কাছে আজও ফিরে আসেনি। এই ছবি বানানোর দায়ে আমি মিনিমাম এক কোটি টাকা লোকসান করেছি বিজ্ঞাপন বিভাগ থেকে। যে ক্ষতি এখন আবার সাবান আর তেলের বিজ্ঞাপন করে তোলার চেষ্টা করছি। এটাই হচ্ছে আমাদের দেশের সিনেমা শিল্পের বড় বাস্তবতা। যা বেশিরভাগ মানুষই জানেন না অথবা অনুধাবন করতে চান না। আসলে যার যায়, একমাত্র সেই টের পায়। অমিতাভের তথ্যে স্পষ্ট, ‘আয়নাবাজি’ দেশের হল মালিকরা নতুন করে না চালানোর কারণ পাওনা টাকা ফেরত দিতে হবে বলে! যদি তাই হয় তবে অন্য সিনেমাগুলো চলছে কেমন করে? দ্ব্যর্থহীন অমিতাভের ভাষায়, এটা শুধু সিনেমায় নয়, মাছের ব্যবসাতেও তাই! আমাদের সঙ্গে হল মালিকরা এই কাজ করার একটাই কারণ, এখানে আমরা নতুন এবং আমাদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত কোনও ব্যবসা নেই। সাধারণ সূত্র। এক্ষেত্রে আমি যতদূর জানি স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা আর শ্যামলীর লেনদেন ঠিকঠাক। বাদবাকিদের অবস্থা তো বললামই। ‘আয়নাবাজি’র পর অনেক সময় তো গেল। বিজ্ঞাপন তরঙ্গে ব্যস্ত আছেন তিনি। অর্থটা এমন দাঁড়ায়, বিজ্ঞাপন না করলে তিনি খাবেন কী! অবশ্য বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি গত এক বছরে ‘ঢাকা মেট্রো গ-৯১০৬’ শিরোনামে একটি বড় বাজেটের সিরিজের শুটিংও করেছেন তিনি। অমিতাভ বলেন, সত্যি সত্যি গত একটা বছর আমি আবার সাবান-তেলের বিজ্ঞাপন নিয়ে ঝাঁপিয়ে |