মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতির পিতার স্বাধীন দেশে ফেরা
Published : Wednesday, 10 January, 2018 at 6:00 AM, Count : 1347

মোতাহার হোসেন : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরলেন আপন আলয়ে-স্ব মহিমায়, স্বগৌরবে, বিজয়ীর বেশে, তার স্বদেশের স্বাধীন ভূমিতে। তার স্বদেশ ভূমিতে ফেরা বা প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনেক কতিবা, গান, গল্প, উপন্যাস রচিত হয়েছে। এমনি একটি গানের অংশ বিশেষ, ‘বঙ্গবন্ধু তুমি ফিরে এলে তোমার স্বাধীন সোনার বাংলায়’- বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বেতার থেকে বেজে উঠেছিল এই গান। আবার তার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ঐ দিন পত্রিকায় শিরোনাম করেছে ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়, আবার কেউ কেউ লিখেছে, মাগো, তোর মুজিব এলো ফিরে।’ সেদিন বঙ্গবন্ধু যদি দেশের মাটিতে ফিরে না আসতেন তাহলে কি হতো? ভারতের মিত্র বাহিনী নিজ দেশে ফিরে যেত কি-না; এরকম হাজারো প্রশ্ন এখনও এক কথায় পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠ থেকে বেরিয়ে এলেন তিনি তার প্রিয় জন্মভূমিতে সেই ৪৬ বছর আগে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে তাই ১০ জানুয়ারি একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তার আগমনের মধ্য দিয়ে হানাদারমুক্ত দেশে মানুষের শুরু হয়েছিল এক নতুন অভিযাত্রা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বন্দি হওয়ার আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস তাকে থাকতে হয় পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে। এ সময় প্রতি মুহূর্তে প্রহর গুনতে হয়েছে মৃত্যুর। 
এখানে আরেকটি কথা স্মরণীয় যে, বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে পাকা জান্তারা গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি বেতারে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করেন আাাগেই। পরে তাকে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করে রাখা হলেও বীর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পালনে বিন্দুমাত্র বিলম্ব করেনি। তারা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। সেদিন ধর্মবর্ণ নির্বিশেষ সবার স্বপ্ন ছিল একসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুই ছিলেন জাতির ঐক্যের প্রতীক। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর আগমনে বদলে গিয়েছিল সবকিছু। মানুষ সব হতাশা ও দুর্ভোগ ভুলে দেশ গড়ায় আত্মনিয়োগ করেছিল। বস্তুত খুব অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের কল্যাণার্থে নানা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। শিক্ষা, কৃষিসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রকৃত ভিত্তি রচিত হয়েছিল সে সময়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আগমন বাঙালি জাতির জন্য একটি বড় প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তার আগমনের দিনটি এখনও অনেকের মনে গভীর আনন্দের স্মৃতি হিসেবে বিরাজ করছে। এ দিনটি আমাদের দেশ গড়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা জোগায়। বর্তমান সময়ে জাতির উন্নতি ও অগ্রগতির এই লগ্নে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। দুর্ভিক্ষ বিতাড়িত, খাদ্য ঘাটতির দেশে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে ব্যাপক হারে। পাশাপাশি শত বছরের খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। শিক্ষা, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। মাথা পিছু আয়, রির্জাভ, রেমিট্যান্স, গড় আয়ু সবই উন্নতির দিকে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। যে বিচার বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও রাজনীতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতিটি কাজে প্রতিটি মানুষকে শিক্ষা নিতে হবে বঙ্গবন্ধুর জীনাদর্শ, রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম এবং তার দেখানো পথই আমাদের মুক্তির, শান্তির, প্রগতির, উন্নয়নে, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার, একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে, আত্মপ্রত্যয়ী জাতি হিসেবে বেঁচে থাকতে প্রেরণা জোগাবেন বছরে পর বছর, যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম অব্দি। পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের মোকাবিলায় আমাদের নতুনভাবে উজ্জীবিত হতে হবে। এদিন আমাদের অনেকেরই মনে হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হয়ত আজ আবার আমাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন। এই বোধটি জাতির অন্যতম বড় শক্তি। এই বোধই প্রেরণা দিচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার। জঙ্গি ও দুর্নীতিমুক্ত-অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আজ আমাদের নতুনভাবে শপথ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সবার চেতনায় উজ্জীবিত, এটা সব সময়ই অম্লান। এই চেতনা সর্বদা সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রেরণা জোগায়। জাতির জনক নিজেই তার এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে।
স্বদেশে আগমনের এ দৃশ্যটি প্যাট্রিয়ট কবিতার সেই নান্দনিক দৃশ্যের কথাই মনে করিয়ে দিয়েছিল বিশ্ববাসীকে। সেদিন বিশেষ বিমানে ঢাকার পথে বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন ভারতীয় কূটনীতিক বেদ মারওয়া। তিনি এক সাক্ষাত্কারে বলেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর মনের অবস্থার কথা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকা সত্ত্বেও শেখ মুজিবকে বেশ চাঙ্গা দেখাচ্ছিল। সবকিছুতেই তার মধ্যে প্রচণ্ড উত্সাহ কাজ করছিল। আর ঢাকা বিমানবন্দরে তখন অপেক্ষার প্রহর কাটছিল না এদেশের মানুষের। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসা মুক্ত স্বাধীন বাংলার মানুষ তাদের মধ্যে প্রিয় নেতাকে পেয়ে আবেগে ও আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে টগবগিয়ে ফুটতে থাকে। খুশির বন্যা বয়ে যায় সারাদেশে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদ অতিক্রান্ত করছে। আগামী রোববার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃতীয় দফায় আওয়ামী লীগ সরকারের যাত্রা শুরু হবে। বিচারহীনতার কারণে জাতির ললাটে যে কলঙ্কতিলক ছিল তা মুছে গেছে বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং একজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরে।
বাঙালি জাতির মহান মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই দিনটি বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। নয় মাসের সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হলেও প্রকৃতপক্ষে তার দেশে ফিরে আসার মধ্যদিয়েই বাঙালির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। ইতিহাসের পেছন ফিরে তাকালে দেখবো, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব অসহযোগ আন্দোলনের সময় ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়নে লাখ লাখ নিরীহ জনগণের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চালায়। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াই শুরু করার ডাক দেন।
স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহতি পর পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে তদানিন্তন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে কারাগারে আটকে রাখেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতেই দেশে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ যুদ্ধ চলছে, ঠিক তখন পশ্চিম পাকিস্তানে প্রহসনের বিচারে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। কারাগারের সেলের পাশে কবর পর্যন্ত খোঁড়া হয়। 
এ সময় পাক জান্তারা তার জন্য কবর খুঁড়ে রেখেছিল। এ সময় তিনি তাদের একটি অনুরোধ করেছিলেন, ‘মুসলামান এক বার মরে, তাই বাংলার মানুষের অতিকার আদায়, স্বাধীনতা অর্জন প্রশ্নে তিনি আপস করবে না। যদি তারা তাকে হত্যা করে তবে তার লাশ যেন তার প্রিয় স্বদেশ বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দেয়।’ সেদিন বঙ্গবন্ধু পাক জান্তাদের কাছে এই অনুরোধ করেছিলেন। অন্য কিছু চাননি।
এদিকে, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি তাকেই রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে খ্যাত এ সরকারের নেতৃত্বে মরণপণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা বাঙালি জাতি। দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধে বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর জাতি বিজয়ের লাল সূর্য ছিনিয়ে আনে। 
এর আগে থেকেই কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী প্রবল জনমত গড়ে উঠেছিল। স্বাধীনতা লাভের পর নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশও বিশ্ববাসীর কাছে তার নেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানালে বিশ্বনেতারাও তার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন। অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয়ে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দেয়। ১০ জানুয়ারি বিজয়ীর বেশে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তার প্রিয় স্বদেশে ফিরে আসেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই নেতা।  
দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে মৃত্যু যন্ত্রণা শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে লন্ডন-দিল্লি হয়ে মুক্ত স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসেন তিনি। এক সাগর রক্ত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেই দেশে বঙ্গবন্ধুর ফেরার দিনটি ছিল অনন্য এক দিন। সেদিন নতুন এদেশের সব রাস্তা গিয়ে মিলেছিল তত্কালীন তেজগাঁওয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ফুলে ফুলে ছেয়ে গিয়েছিল তার আগমনের পথ। বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর পর্যন্ত ছিল মানুষের ঢল। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি, পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা- এসব ধ্বনিতে সেদিন আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়েছিল। যে দেশ, যে স্বাধীনতার জন্য জীবনবাজি রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই মাটিতে পা দিয়েই আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে যারা গিয়েছিলেন, অস্থায়ী সরকারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা তারাও অশ্রুসজল নয়নে বরণ করেন ইতিহাসের এই বরপুত্রকে।
সেই থেকে প্রতি বছর নানা আয়োজনে পালন করা হয় এ দিনটি। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এখন ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে। জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এখন তার খুনিদের পদচারণা থেকে মুক্ত হচ্ছে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যারা এ দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাক সেনাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল, সেই সব মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ পরিচালিত হচ্ছে। তমধ্যে কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। 
সব শেষ কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ, বাঙালি, স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু প্রাসঙ্গিক, অপরিহার্য থাকবেন। এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রাসঙ্গিকতা এবং গুরুত্ব থাকবে সমভাবে। আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ ঘাতরে নির্মম বুলেটে শহীদ তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি মহান আল্লাহর দরবারে। একই সঙ্গে আগামী দিনে আদামের ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হোক পাথেয়। 

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft