শিরোনাম: |
থার্টি ফার্স্ট: কক্সবাজারে লাখো পর্যটক
|
কক্সবাজার প্রতিনিধি : থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে পর্যটন শহর কক্সবাজার প্রস্তুত। বর্ষবরণে সৈকত শহরে থার্টি ফার্স্ট নাইটে সমাবেশ ঘটবে লাখো মানুষের। এ উপলক্ষে সৈকতসহ আবাসিক হোটেল-মোটেলে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। লাখো মানুষের বছরের শেষ সূর্যাস্ত এবং নতুন বছরকে বরণের জন্য সৈকতে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। আর এর জন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার শহর, ইনানী, সেন্টমার্টিনসহ পর্যটন স্পটের আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ সমূহের সব কক্ষই অগ্রিম বুকিং হতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য অঘটন এড়াতে সৈকতসহ স্পট সমূহে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়, বিশেষ চেকপোস্টসহ মাদকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গোয়েন্দা নজরদারি ও তত্পরতা জোরদার করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ঈদ ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটে। শহরের হোটেল-রেস্তরাঁ, রাস্তাঘাট ও বিপণি কেন্দ্রে দেখা দেয় প্রচণ্ড ভিড়। ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ পালন করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন দল, ক্লাব, সমিতি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আগামী ৩১ ডিসেম্বর শহরের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস আগাম বুকিং নিয়েছে। পর্যটকদের চাপ সামলাতে ট্যুরিজম কোম্পানির লোকজন এখন শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি এবং উপজেলা পর্যায়ের আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউস খুঁজছে। নতুন বছরকে নাচ, গানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে সেলিব্রেট করার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কক্সবাজারে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপনে বেসরকারি টিভি, হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ ব্যাপক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানান, শহরের অভিজাত কয়েকটি হোটেল ছাড়া ছোট-বড় আড়াই শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে প্রায় ১৫০০ কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষের অগ্রিম বুকিং শেষ হয়েছে। তাছাড়া রয়েছে সরকারের সব বিভাগের রেস্ট হাউস ও বাংলো। সরকারি রেস্ট হাউস-বাংলোতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটকরা বুকিং নিয়েছেন। আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সব কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। অভিজাত হোটেল কক্ষগুলোও খালি নেই। কলাতলীর এক হোটেলের ব্যবস্থাপক বেলাল উদ্দিন জানান, ১ সপ্তাহ আগ থেকে অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট উত্সব মুখর পরিবেশে উদযাপন করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ সব পর্যটক কক্সবাজারে আসছেন। কক্সবাজারের পাঁচ তারকা মানের হোটেল সি গাল এর ম্যানেজার জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সব কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। সমুদ্র সৈকতকেন্দ্রিক ব্যাপক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, কোম্পানির উদ্যোগে কনসার্ট আয়োজনের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল মোটেল কেন্দ্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের দায়িত্বশীল এক সংস্থা। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, আজ ৩১ ডিসেম্বর সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশ টিভি’র উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে থার্টি ফার্স্ট নাইট বিচ কানসার্ট। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ডদল এলআরবি, সোলস, লালন ও দলছুট কানসার্টে অংশ নেবে। এছাড়া তারকা মানের হোটেল লং বিচ, সি-গালসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রয়েছে নানা অনুষ্ঠান। এদিকে, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে জেলা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ। সূত্রটি জানিয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। নিয়মিত টহল দলের পাশাপাশি সৈকতসহ শহরে অতিরিক্ত টহল জোরদার করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল থাকবে। এতে নারী ও পুরুষ উভয়ের ব্যাগ তল্লাশি চালানো হবে। মাদকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধ ও অঘটন এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সমাবেশ যাতে নির্বিঘ্ন হয় তারই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। |