শিরোনাম: |
প্রজন্মের ভাবনা
|
জিকে সাদিক : মাতৃগর্ভ থেকে কেউ স্ট্যালিন বা বেনিটো মুসলিনি হয়ে জন্মায় না। জন্মের পরে কেউ হয়ে উঠে মানব সভ্যতার খলনায়ক হিটলার। আবার কেউ হয় বিশ্ব শান্তির দূত। কে কি হবে সেটা নির্ভর করে অনেকটা পরিবেশ ও পরিচর্যার ওপরে। আপনার বা আমার সন্তান কেমন হবে সেটা নির্ভর করে আমি বা আপনি কেমন করে তাদের গড়ে তুলবেন সেটার ওপরে। ‘মাতৃগর্ভ রতন খনি’ মাতৃগর্ভ থেকে কোনো অপরাধীর জন্ম হয় না। আবার কোনো মানুষেরও জন্ম হয় না। নাম সর্বস্ব একটা মানব সন্তান জন্মায়। কিন্তু তাকে জন্মের পরে মানুষ করে গড়ে তুলতে হয় এবং গড়ে উঠতে হয়। মনুষ্যত্ব শব্দটা মানুষ থেকে জাত। একজন মানুষের ভেতরে মানবতাপূর্ণ ও পরিশীলিত যে আচরণ ও গুণাবলি থাকে তাকেই মূলত মনুষ্যত্ব বলা হয়। এই মনুষ্যত্বের গুণ নিয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে না। মাতৃগর্ভ থেকে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাকে গড়ার প্রাথমিক দায়িত্ব হলো তার পরিবারের। নিকটাত্মীয় ও অন্যান্য অনেকের কাছ থেকে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি এবং প্রতিনিয়ত হই। প্রশ্নটা খুবই সাধারণ। সেটা হলো যে আমি আমার ছেলে বা মেয়েকে ভালো করে গড়ে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি করিনি কিন্তু পারলাম না। আমি তো চেষ্টার ত্রুটি করিনি তাহলে পারলাম না কেন? এই প্রশ্নটা আমাকে যতটা বিচলিত করেছে তার চেয়ে বেশি বিচলিত হয়েছি সন্তানকে ভালো করার জন্য বাবা-মায়ের কতো চেষ্টা সেটা দেখে। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। তাদের চেহারায় ব্যর্থতার ছাপ দেখে আমি খুব ব্যথিত হই। আর আঁতকে উঠি যখন দেখি আমাদের আগামীর ভবিষ্যত্ ক্রমে অন্ধকার গন্তব্যের দিকে যাত্রা করছে। কারণ আজকে যে শিশু আগামীকাল সেই হবে আমাদের সমাজপতি, সমাজের কোনো না কোনো পর্যায়ের কর্ণধার। তারা যখন অন্ধকার পথের যাত্রী তখন আমাদের সমাজ যে আলোর দিশা পাবে তা আমি ভাবতে পারি না। বেশকিছু দিন ধরে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা সারাদেশের তরুণদের ওপর করা একটা জরিপ প্রকাশ করছে। সে জরিপে দেশের তরুণদের নানা দিক তুলে ধরেছে। কয়েকটি সমীকরণ বেশ হতাশাজনক। যেমন; রাজনীতি বিষয়ে তরুণ সমাজের মনোভাব, পরিবারের সঙ্গে তরুণদের সম্পর্ক, জীবনের লক্ষ্য, নিরাপত্তাসহ বেশ কয়েটি ক্ষেত্রে তরুণদের মনোভাব রীতিমতো হতাশাজনক। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তরুণ সমাজের ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ বাবা-মা ও পরিবারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। ওই সমীকরণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, তরুণ সমাজের একটা বড় অংশ ক্রমশ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। সমাজের ক্ষুদ্রতম প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার আর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মানে সমাজ থেকে নিজেদের গুঁটিয়ে নেয়া। তরুণ সমাজ ক্রমে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অর্থ হলো তারা মানসিকভাবে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে। মনে রাখতে হবে, আত্মকেন্দ্রিকতা মানব সভ্যতার জন্য হুমকি। আমার যেসব নিকটাত্মীয় বা যারা আমাকে নিজের সন্তানের ভালো হওয়া না হওয়া নিয়ে উপরিযুক্ত প্রশ্নগুলো করে আমি তাদের প্রশ্নোত্তর না করে উল্টো তাদের দুটি প্রশ্ন করি। প্রথম হলো-আপনি আপনার সন্তানের ভবিষ্যত্ নিয়ে কখনো ভেবেছেন? অন্যটি হলো- কখনো কি আপনার সন্তান কি হতে চায় সেটা বুঝতে চেয়েছেন বা তার নিজের জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে তার ভাবনা কী? প্রথম প্রশ্নের উত্তরে ১ শতাংশও পাইনি যারা সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে। আর দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে ৫ শতাংশ অভিভাবকও পাইনি যারা সন্তানের মতামত নিতে চেয়েছে বা চেষ্টা করেছে। আমি প্রথম প্রশ্নটা আমার বাবাকেও করেছি। উত্তর গতানুগতিক। মূলত এই দুটি প্রশ্নোত্তর ও প্রাসঙ্গিক কয়েকটি কথা বলব। ধরুন, আপনি চিন্তা করছেন আপনার সন্তানকে একজন রাজনৈতিক নেতা বানাবেন। কারণ আপনার আশা আপনার ছেলে সমাজের-দেশের ও সমাজস্থ মানুষের সেবা করবে। রাজনৈতিক জরাজীর্ণতাকে পরিষ্কার করে রাজনীতিতে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। রাজনীতি যে মানুষের কল্যাণের জন্য এটা আপনি আপনার ছেলেকে দিয়ে প্রমাণ করবেন। আপনি সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছেন ও ছেলেকে প্রস্তুত করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছেলে তো আর আপনার একার নয় আপনার স্ত্রীরও। তিনিও তার সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে কম করেন না। তার ইচ্ছা সন্তানকে ডাক্তার বানাবে। চিকিত্সা ব্যবস্থায় যে অরাজকাতার কালোছায়া রেখাপাত করছে, সেটা অপসারণ করে মানবতার সেবক হিসেবে নিজ সন্তানকে গড়ে তুলবে। তার প্রস্তুতিও সে নিচ্ছে এবং সন্তানকে প্রস্তুত করতে তার যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দুজনের ভাবনাই মহত্ ও মানবকল্যাণের জন্য ইতিবাচক। ভবিষ্যত্টা আপনার সন্তানের, জীবনটাও তার, তো সে নিজের ভবিষ্যত্ নিয়ে কিছুটা হলেও আত্মভাবনায় নিমজ্জিত হয়। সে হয় তো নিজেকে মানুষ গড়বার কারিগর হিসেবে দেখতে চায়। মানে সে সমাজে-দেশে ও মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রকৃত আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নিজেকে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলবে বলে ভেবেছে। সে নিজের ভাবনা মতো মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছে ও সে অনুযায়ী পড়ালেখা কেমন করবে তার একটা পরিকল্পনা করেছে। এখন কথা হলো একজন সন্তান নিয়ে বাবা-মা-সন্তানের ত্রিমুখী ভাবনা ও কর্মের বৈপরীত্য সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় সে সন্তান কি করবে? সে কি বাবার আশা পূর্ণ করবে না কি মায়ের ইচ্ছা পূর্ণ করবে? অন্যদিকে নিজেকে নিয়ে তারও একটা ভাবনা আছে। তার মনে প্রবল আগ্রহ, প্রেরণা ও কর্মোদ্দীপনা আছে। সে কার ইচ্ছা পূর্ণ করবে। সবার ভাবনাই মহত্ এবং মানবকল্যাণের জন্য উপকারী। কার ভাবনা সঠিক এখানে? বাবা-মা ও সন্তানের ত্রিমুখী এমন ভাবনার সংঘর্ষ কি সে সন্তানের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে না? আব্রাহাম আসলে তার চাহিদা সোপান তত্ত্বে এ বিষয়ে সুন্দর কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেন, মানুষ প্রথমে তার জৈবিক চাহিদা (খাদ্য, ঘুম, যৌনতা) পূরণ করতে চায়। এরপর ক্রমে ক্রমে সে চায় নিরাপদ আশ্রয়, সামাজিক নিরাপত্তা, ভালোবাসা, নিজের সম্মান, অন্যের কাছ থেকে নিজের ব্যাপারে প্রশংসা। এরপর সে চায় ‘আত্মবাস্তবায়ন’ যাকে বলা হয় ‘সেলফ অ্যাকচুয়ালাইজেশন।’ সেলফ অ্যাকচুয়ালাইজড মানুষের মূল কাজ হয় নৈতিকতা, সৃষ্টিশীলতা বা সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানে দক্ষতা, নিজস্ব ভাবনা আর নিজেকে সংস্কারমুক্ত করে নতুন কিছু করার প্রেরণা। কিন্তু অভিভাবকদের নিজস্ব ভাবনা, পাওয়ার আশা ও আটপৌরে পারিপার্শ্বিকতা তরুণদের মুক্তমনের নতুন চিন্তাকে প্রতিফলিত ও বিকশিত হতে বা সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে উত্সাহিত করে না। বরং মানসিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রত্যেক বাবা-মা চান তার সন্তান সুখে-সমৃদ্ধিতে জীবনযাপন করুন। এটা চাহিদা সোপানের তৃতীয় স্তরের ভাবনা। বাবা-মায়ের এমন ভাবনার ফলে তরুণদের চেতন মনের লক্ষ্য একটা নির্দিষ্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। মনোবিজ্ঞানী জ্যঁ পিয়্যাজ মানব সন্তানের বেড়ে উঠা ও তার বিকাশ সম্পর্কে সুন্দর কিছু কথা বলেছেন, ‘১১ বছর বয়সের পর থেকে মানুষ জ্ঞান বিকাশের ফরমাল অপারেশন স্তরে যুক্তির সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারণগুলো বুঝতে শিখে, ভাবমূলক চিন্তা করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। সে কোনো যুক্তি বা জ্ঞানকে ধারণ করে তা থেকে নিজে যুক্তি তৈরি করতে পারে।’ একজন মানব শিশুর জ্ঞান বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে নৈতিকতার বিকাশও শুরু হয়। এই বিকাশকে মনোবিজ্ঞানীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করেছেন। জন্ম থেকে প্রথম কয়েক বছর শিশুরা প্রায় সম্পূর্ণভাবে অন্যের দেয়া নিয়মকানুন মেনে চলে, তারা শাস্তি এড়াতেও এমনটা করে। এরপরের পর্যায়ে তথা বয়ঃসন্ধিকালে তারা নিজের কাজে ভালো বা মন্দ স্বীকৃতির জন্য সামাজিক রীতির সঙ্গে মিলাতে এবং ‘ভালো ছেলে বা মেয়ের’ স্বীকৃতি পাবার জন্য সে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। নৈতিকতার বিকাশের তৃতীয় স্তরটি শুরু হয় তারুণ্যে। তখন সে নৈতিকতাকে তার অর্জিত জ্ঞান বিকাশের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যাখা করতে চায়। সে নিজের অর্জিত জ্ঞানের বিকাশের পথ খুঁজতে চায়। প্রকাশ করতে চায় তার আত্মভাবনাকে। ঠিক তখনই তারা অভিভাবকের চাপানো ভাবনা বা ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে তার ভাবনার প্রবাহ ও বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। প্রবাহমান পানির ধারায় বাধা পড়লে যেমন সে পানি ও প্রবাহের পথ দুটাই জরাজীর্ণতায় নষ্ট হয়। ঠিক তেমনি তারুণ্যের ভাবনা ও বিকাশ পথ যখন বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন সে নিজেকে গুঁটিয়ে নেয়। জরাজীর্ণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আত্মকেন্দ্রিকতা বাসা বাঁধে, ক্রমে নিভৃতচারী হতে থাকে। এখন কথা হচ্ছে প্রথমে উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর কি হবে আর সন্তানের সফল জীবনের জন্য কি কি করা দরকার? আমি নিকটাত্মীয়দের করা প্রথম প্রশ্নোত্তরে বলি যে, আপনি আপনার সন্তানের ভবিষ্যত্ নিয়ে ভাববেন তখন, যখন আপনি আপনার সন্তানের মা খুঁজছেন। কারণ আপনার এবং আপনার সন্তানের মায়ের মনোভাবনা, সন্তান নিয়ে তার পরিকল্পনা যখন ভিন্ন পথের হবে তখন স্বাভাবিকভাবেই সন্তানের প্রতিপালন ও বিকাশে বাধা হবে। কারণ দুজনই ভিন্ন ধারার মানুষ। একতা এখানে খুব কষ্টসাধ্য। যেখানে একতা থাকে না সেখানে সফলতা থাকতে পারে না। দ্বিতীয় প্রশ্নের ব্যাপারে বলি যে, আপনার সন্তানের কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করুন সে নিজেকে নিয়ে কিভাবে। আপনার সন্তান ছোট বয়সে সে হয়তো নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবতে পারবে না, বা ভাবেও না। তাই তার ভিতরে ভাবনার উদয় করতে হবে। তাকে মহত্জীবনের অধিকারী ব্যক্তিদের জীবনের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে হবে। আপনি সন্তানের ভেতরে ইতিবাচক ভাবনা ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয় করুন। তারপর তাকে ভাবতে দিন সে কি হতে চায়। সে আলোকে তাকে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। সন্তানের ভবিষ্যত্ জীবনের লক্ষ্য স্থির করার দায়িত্বটা সন্তানকেই নিতে দিন। তবে তার আগে তাকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সঙ্গে পরিচয় ঘটান। পৃথিবীতে কেউ কুখ্যাত হতে চায় না। সবাই বিখ্যাত হতে চায়। এর মধ্যে যারা পথচ্যুত হয় তারাই কুখ্যাত হয়। তাই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব সন্তানকে দিন আর সফলতার পথে অটুট থাকার দায়িত্ব বা দেখভাল করার দায়িত্ব আপনি নিন। তাই তার বয়স অনুপাতে যেভাবে পরিচালিত করার দরকার সেটা আগে জেনে নিন। যেমন তাকে কখন কোন ধরনের শাসন করতে হবে, কখন ভালোবাসা কমবেশি করার প্রয়োজন তা আপনার জানা ও মানা জরুরি। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন, সন্তানকে আপনি যত ইতিবাচক ভাবনা ও কর্মের ভেতরে রাখতে পারবেন সে তত নেতিবাচক ভাবনা ও কর্ম থেকে দূরে থাকবে। তার জন্য প্রয়োজন সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত আর সন্তানের মনোভাব বোঝা। বয়স অনুপাতে তার ভেতরে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ বই সব সময় মানুষকে আলোকিত করে। সন্তানকে ছোট থেকেই মহত্ ব্যক্তিদের জীবনী পড়তে দেবেন। তবে সেটা যেন তার বোধগম্য হয় সেদিকে পূর্ণ খেয়াল রাখবেন। তার মেধা ও কর্মোদ্যম দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন তাকে কোন পথে পরিচালিত করার দরকার। সর্বযুগে অপসংস্কৃতি ও আগ্রাসন ছিলো, আছে এবং থাকবে। তাই সব সময় অপসংস্কৃতি ও আগ্রাসন থেকে সন্তানকে মুক্ত রাখার জন্য সচেতন থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে চলছে প্রযুক্তির আগ্রাসন। যে এই আগ্রাসনের শিকার হয়েছে সে আলো থেকে ছিটকে পড়েছে। তাই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আমি বলছি না যে, প্রযুক্তিকে বর্জন করতে হবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তবে প্রযুক্তি সন্তানের হাতে তুলে দেয়ার আগে তাকে প্রযুক্তির সুপরিচালনার শিক্ষা দিতে হবে। ঘরে টেলিভিশন থাকবে তবে সেখানে কি চলবে সেটা ঠিক করা জরুরি। প্রত্যেকটা কাজে যেন শিক্ষা উপস্থিত থাকে। একটা ফিল্ম দেখলেও সে যেন ইতিবাচক ও নৈতিকতাপূর্ণ মেসেজ পায় সে দিকে খেয়াল রাখবেন। বড় সতর্কীকরণ হলো বেশি পর্যবেক্ষণে যেন সন্তানের জীবন অতিষ্ঠ না হয়ে পড়ে। আলোচ্য বিষয়টি কোনো সংক্ষিপ্ত বিষয় নয়। সংক্ষেপে প্রকাশ অসম্ভব। অভিভাবকদের সচেতনতাই সমাজকে অন্ধকার গন্তব্য থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে। সন্তানকে সফল জীবনের অধিকারী করে তুলতে পারে। লেখক : কলাম লেখক। |