শিরোনাম: |
গ্রামে কর্মসংস্থান বাড়লে শহরমুখী মানুষের স্রোত বন্ধ হবে
|
মোতাহার হোসেন : দেড় শতাব্দীর বেশি সময় আগে কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত লিখেছিলেন: ‘রাতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে কলকাতায় আছি।’ কালের বিবর্তনে প্রযুক্তি আর উন্নয়নের বদৌলতে অনেক কিছুই বদলে গেছে। কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সেই কবিতার প্রাসঙ্গিকতা শুধু কলকাতা নয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বরং এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে কাজের সন্ধানে, অন্নের সন্ধানে, রুটি রুজির সন্ধানে গ্রাম থেকে মানুষ আসছে ইট, কাঠ, কংক্রিটের এই নগরীতে। বানের পানির মতোই এখন শহরমুখো মানুষের জনস্রোত বইছে। এর ফলে রাজধানীতে বসবাসরত মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও কঠিন সমস্যায় ফেলবে। রাজধানীমুখী মানুষর জনস্রোত ঠেকানো না গেলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে রাজধানী। তখন পরিবেশ, প্রকৃতি, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, গ্যাস বিদ্যুত্সহ নানা রকম সমস্যায় আক্রান্ত হতে হবে ঢাকাবাসীদের। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে বলা হয়, গ্রাম থেকে শহরমুখো হচ্ছে মানুষ’। এ কারণে রাজনৈতিক, সামাজিক, নাগরিক ঝুঁকির সঙ্গে প্রকৃতিগতভাবে বহুবিধ সমস্যা দেখা দেবে। বিশেষ করে ভূমি ধস, মাটি ধস, অগ্নিকাণ্ড, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া, পরিবেশ দূষণের মতো প্রকৃতিকগতভাবে সঙ্কট হিসেবে যুক্ত ঢাকাবাসীর জীবনে।
মানুষ বাড়ছে শহরে, বাড়ছে সঙ্কট। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুক্ত হচ্ছে নানা রকম সমস্যা। মানুষ বহুবিধ কারণে শহর মুখো হচ্ছে। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনগত কারণে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদীভাঙন, জমি, বসতভিটা হারিয়ে, ফসল হারিয়ে পৈতৃক ভিটাবাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে শহরে আসছে মানুষ। আবার অনেকে আসছেন কাজের সন্ধানে, অন্নের সন্ধানে, আশ্রয়ের সন্ধানে। আবার কেউ কেউ আসছেন তাদের ছেলে মেয়ের পড়া লেখার সুবিধার্থে, কেউ কেউ এলাকায় নিরাপত্তাহীনতা থেকে, কেউ সুন্দর ও আরামদায়ক জীবনের আশায় গ্রাম ছাড়ছেন। এভাবে অনেকেই জীবনের নানা প্রয়োজনে গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে ছুটছেন। ফলে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিবিএস হিসাবও তাই বলছে। বিবিএসের প্রতিবেদনে গ্রাম ছাড়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে বিয়ে, উন্নত শিক্ষা, কাজের সন্ধান, চাকরিসূত্রে বদলি, বন্যা, নদীভাঙন, ব্যবসা, পরিবারের সঙ্গে বসবাস, অবসর কাটানোকে। সম্প্রতি প্রকাশিত মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ প্রকল্পের স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস জরিপের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব চিত্র উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী মানুষের হার ছিল হাজারে ৩০ দশমিক তিনজন, যা আগের বছর ছিল ২৯ দশমিক পাঁচ। ২০১৪ সালে এ হার ছিল ২৮ দশমিক দুই। ২০১৩ সালে ছিল ২৭ দশমিক দুই। ২০১২ সালে ছিল ২৬ দশমিক দুই এবং ২০১১ সালে ছিল ২৩ দশমিক সাতজন। এছাড়া শহরের মানুষের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগও বেড়েছে। ২০১৬ সালে প্রতি হাজারে শহরের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩ জনে, আগের বছর ছিল ৯০। পাঁচ বছর আগে ২০১২ সালে এ হার ছিল ৬৯ দশমিক সাত। এটা সত্য যে, আগে জীবিকার তাগিদে মানুষ শহরে এলেও এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। উন্নত জীবনের তাগিদের শহরে পাড়ি জমাচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা ও নাগরিক জীবনের আরাম আয়েশের কথা চিন্তা করেই শহরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। মরমী কবি, গবেষক ইবনে সালেহ মুনতাসির রচিত ‘হে নগর পিতা’ শীর্ষক লিরিকটি প্রাসঙ্গিক। লিরিকটি হচ্ছে: হে নগর পিতা/তুমিই মোদের কর্তা/তোমার ক্ষমতা অশেষ/আছে লোক লস্কর বিশেষ/ তুমি কি দেখেছ কখনো তোমার/এলাকা ঘুরে হাল হকিকত/ তোমার নগরে কতো মানুষের বসবাস/কত মানুষ গৃহহারা/ছিন্নমূল করে বস্তিতে ফুটপাতে পার্কে বসবাস তুমি কি দেখেছ কখনো/ কত এলাকা হয় প্লাবিত জলাবদ্ধ/তুমি কি দেখেছ কখনো/কত রাস্তাঘাট খানাখন্দকে পরিপূর্ণ/ট্রাফিক জ্যামে সবার নাভিশ্বাস/হে নগর পিতা তুমিই আমাদের কর্তা/তোমার ক্ষমতা অশেষ/আছে লোকলস্কর বিশেষ/তোমার অনেক হাক ডাক নাম ধাম/বিশাল অফিস বিশাল তার নাম/তুমি কি দেখেছো কখনও তোমার/ নগরের কি শ্রী তোমার নাগরিকদের কি হাল অবস্থা/তুমি কি দেখেছো কখনো তোমার নগরের খোলা/মাঠ ময়দানে বিল ঝিল নদ নদীর খাস জমিগুলো/দখল করে নিচ্ছে কারা? তুমি কি দেখেছো কখনও তোমার/নগরে ছিনতাই হয় কতো দুর্ঘটনা ঘটে/ কেন তোমার নগর বসবাসের অযোগ্য হয়/তোমার নগরের সুয়ারেজ লাইনগুলো/উপচাইয়া পড়ে রাস্তা ঘাট ভাসিয়ে/রোগ বালাই সৃষ্টি করে দুর্দশার কারণ হয়/হে নগর পিতা/তুমিই আমাদের কর্তা/তোমার আছে অনেক বাজেট/তোমার লোকেরা আদায় করে অনেক ট্যাক্স/তুমি কি ভেবেছ কখনও তোমার নগরের শ্রী বৃদ্ধি করে/নাগরিক সেবা দিয়ে কিভাবে দুর্দশার অবসান ঘটানো যায়/তুমি কি ভেবেছ কখনো তোমার নাগরিকরা/কেন অস্বস্তিতে অশান্তিতে বসবাস করে/কেন তারা জীবনের স্বাদ পায় না? কেন তারা উন্নতি করে স্বচ্ছলতা সমৃদ্ধি আনতে পারে না? হে নগর পিতা/তুমিই তো আমাদের কর্তা/তোমার আসন সবার মাথার ওপরে/তোমার অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য/তুমি কি পার না তোমার নগরকে মহাপরিকল্পনার আওতায়/এনে নাগরিকদের সুখ সমৃদ্ধি ঘটাতে/তোমার নগরকে বিশেবর মানুষের/কাছে আদরনীয় ও বরনীয় করে গড়ে তুলতে? তুমি কি পার না তোমার নগরকে/ বিদেশিদের জন্য গ্রহণীয় করে তুলে/বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে? তুমি কি ভেবেছো কখনো/তোমার নগরের নাগরিকরা সব ধরনের কর পরিশোধ করেও/কেন নাগরিক সুযোগ সুবিধা/ না পেয়ে ক্ষুদ্ধ ও ক্ষোভে ফেটে পড়ে? হে নগর পিতা তুমিই আমাদের কর্তা/তুমি পিতা এবং কর্তার মতো দায়িত্বশীল আচরণ কর তুমি আমাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাও/তা না হলে তুমি নাগরিকদের ঘৃণার তুচ্ছতাচ্ছিল্যের/শিকার হয়ে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে হে নগর পিতা তুমিই পারো নগরকে সুন্দর/করে গড়ে তুলতে/তুমিই পার নাগারিকদের নাগরিক/সুযোগ-সুবিধা দিয়ে জীবনের স্বাদ পৌঁছে দিতে/তোমার নগরের নাগরিকরা আশায় বুক বেঁধে নগর/ পিতার দিকে চেয়ে আছে তুমি ফিরে তাকাও ঘুরে দাঁড়াও/ কোমর বাঁধো নগরের উন্নয়নের জন্য। এই লিরিকটি প্রাসঙ্গিক এই অর্থে যে, ঢাকা জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। শুধু উন্নত নাগরিক জীবনের জন্যই নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগও গ্রাম ছাড়ার অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং ঢাকামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কমিয়ে গ্রামপর্যায়ে উন্নয়ন ছড়িয়ে দিতে হবে। তাছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে সবকিছুরই বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। দেরি হয়ে গেলে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অন্য শহরে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হবে। তাছাড়া গ্রামে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটানো, নতুন কর্মসংস্থান করতে পারলে শহরমুখী মানুষের চাপ কমবে। অবশ্য, মানুষের জায়গা বদলের এই ধারার বিপরীত চিত্র যে নেই তা নয়। শহর ছেড়ে গ্রামমুখী হওয়ার প্রবণতা গত পাঁচ বছরে কমেছে। বিবিএসের নমুনা জরিপে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে শহর ছেড়ে গ্রামমুখী মানুষের সংখ্যা হাজারে ছিল পাঁচজন, যা আগের বছর ছিল পাঁচ দশমিক এক। ২০১৪ এবং ২০১৩ সালে ছিল পাঁচ দশমিক একজন করে। কিন্তু ২০১২ ও ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল পাঁচ দশমিক তিন। বিবিএস ১৯৮০ সাল থেকে দৈব পদ্ধতিতে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে ও স্থানান্তর সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে। শুরুতে নমুনা এলাকার সংখ্যা ছিল ১০৩টি। বর্তমানে দুই হাজারের বেশি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। জরিপ বলছে, গ্রাম থেকে গ্রামে স্থানান্তরের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০১৬ সালে হাজারে স্থানান্তরের এই সংখ্যা ছিল ৩৪ দশমিক পাঁচজন, যা ২০১৫ সালে ছিল ২৫ দশমিক ছয়। ২০১৪ সালে ছিল ২৪ দশমিক তিন। ২০১৩ সালে ২৬ দশমিক ছয়জন, ২০১২ সালে ১৬ দশমিক দুই এবং ২০১১ সালে ছিল ১৫। এদিকে শহর থেকে শহরে স্থানান্তরের হারও বেড়েছে। ২০১৬ সালে হাজারে এ সংখ্যা ছিল ৯২ দশমিক ছয়জন, যা ২০১৫ সালে ছিল ৬০ দশমিক পাঁচ। ২০১৪ সালে ছিল ৪৮ দশমিক নয়। ২০১৩ সালে ছিল ৪০ দশমিক নয়, ২০১২ সালে ছিল ৪৩ দশমিক পাঁচ এবং ২০১১ সালে এ হার ছিল প্রতি হাজারে ৪২ দশমিক পাঁচ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্বিকভাবে দেশের বাইরে যাওয়ার হারও বেড়েছে। ২০১৬ সালের জরিপ বলছে, বহির্গমন হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক পাঁচজনে, যা ২০১৫ সালে ছিল ৫৪ দশমিক চার। ২০১২ সালে ছিল ৪১ দশমিক নয়। তবে শহর থেকে দেশের বাইরে যাওয়ার হারও বেড়ছে। ২০১৬ সালে হাজারে এ সংখ্যা ছিল ১১৭ দশমিক দুজন, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৯। গ্রাম থেকে বাইরে যাওয়ার এ হার ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক পাঁচজনে, যা ২০১২ সালে ছিল ২৩ দশমিক পাঁচ। বস্তুত এক-দেড় শতক আগে নগরের ‘ঝুঁকি’ বলতে মশা-মাছি ও তা থেকে ছড়ানো ডায়রিয়া, কলেরা কিংবা ম্যালেরিয়ার মতো রোগই ছিল নগরবাসীর প্রধান শত্রু। তখন গ্রামাঞ্চলে নানা রোগ থাকলেও, মশার উপদ্রব ছিল না বললেই চলে। এখন গ্রামেও মশার প্রবল পরাক্রম। ঢাকার মতো শহরে যুক্ত হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিকম্প ঝুঁকির মতো ঝুঁকি। রয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। কিন্তু লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ভেরিসক ম্যাপলক্রাফট যে বিবেচনায় ঢাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় রেখেছে তারা। প্রথম একশ’ শহরের প্রধান শত্রু প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাত, ভূমিধসসহ বিভিন্ন ঝুঁকির কথা বলছে তারা। মানবসম্পদ বিষয়ে বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দ্য মারকারস বসবাসযোগ্য নগরীর যে ক্রমবিন্যাস করে থাকে তাতে টানা কয়েক বছর ধরে ঢাকার অবস্থান তলানির দিকে। সর্বশেষ ২২১টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল ২০৬তম। চারশ’ বছরের পুরাতন এ শহরের কেন এ অবস্থান, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। মাত্র দুইশ’ বছর আগেও ইংরেজ শাসনামলে, ঢাকা ছিল বিশ্বের দ্বাদশতম সুন্দর নগরী। অপরিকল্পিত নগরায়ন, যানজট, জনজটে ঢাকাকে বর্তমান অবস্থানে এনেছে। অথচ কোনো জনপদের পাশে নদী থাকলে নগরবিদরা সেটাকে ‘সৌভাগ্যবান নগরী’ বলে থাকেন। ঢাকার চারপাশেই নদী ছিল। কিন্তু আমরা এ সৌভাগ্যকে পায়ে ঠেলে নদীগুলোকে প্রায় মেরে ফেলছি। সেগুলো পরিণত হয়েছে এখন ভাগাড়ে। ঢাকার চারপাশের নদী রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তা দৃশ্য মান হয়নি এখনও। প্রত্যাশা থাকবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলক শহর মুখো মানুষের স্রোত ঠেকাতে গ্রামে বিশেষ করে উপজেলা, জেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেবেন। একইভাবে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, উন্নত মানের চিকিত্সাব্যবস্থা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ প্রভৃতি। এসব যত দ্রুত করা সম্ভব হবে ততই দেশ জাতির মঙ্গল। লেখক: সাংবাদিক.কলামিস্ট |