শিরোনাম: |
সাকিব-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশের চমকপ্রদ জয়
|
ক্রীড়া প্রতিবেদক : সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জোড়া সেঞ্চুরিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বীরোচিত এক জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ২৬৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর, পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড ২২৪ রানের জুটি গড়েন সাকিব-মাহমুদুল্লাহ। ফলে নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌড়ে টিকে থাকল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় মর্যাদাকর আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাশরাফির দলের ইতিহাস সৃষ্টি করা জয় দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলেই সেমিতে খেলবে বাংলাদেশ। অথবা বৃষ্টির কারণে বা টাই হয় ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ, তারপরও সেমিতে খেলবে টাইগাররা।
সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে ২৬৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। দলের ব্যাটসম্যানদের অভিজ্ঞতা, দৃঢ়চেতায় ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড বলছিল- টার্গেট স্পর্শ করার সম্ভব টাইগারদের জন্য। কিন্তু এই সম্ভব কাজটা একেবারেই অসম্ভব করে দেন বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই লেগ বিফোর ফাঁদে পড়ে ফিরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এবারের আসরের প্রথম দুই ম্যাচে ১২৮ ও ৯৫ রান করা তামিম, এবার রানের খাতা খুলতেই পারেননি। দুর্ভাগ্য তামিমের। দুর্ভাগ্য পরের তিন ব্যাটসম্যানেরও। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে না পারার আক্ষেপে লজ্জিত হয়েছেন। তামিমের বিদায়ে উইকেটে গিয়ে দুটি বাউন্ডারিতে চড়াও মেজাজে শুরু করেছিলেন সাব্বির। তাকেও থামিয়ে দেন তামিমের শিকারি নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। ৯ বলে ৮ রান করে সাব্বির থামলেও, থামেননি সাউদি। বল হাতে শুরুর দিকে একেকটি বারুদ ছুড়েছেন সাউদি। এবার শিকার হন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। ১৩ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেন এই বাঁ-হাতি। এজন্য ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আর দলীয় ৩৩ রানে দলের সেরা মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের আউটে পুরোপুরি খাদে মধ্যে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ২টি চারে ৩৪ বলে ১৪ রান করে নিউজিল্যান্ড পেসার এডাম মিলনের বলে বোল্ড হন মুশকুির। এ সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১১ দশমিক ৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৩ রান। তবে খাদের কিনায় পড়ে থাকা বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন সাকিব-মাহমুদুল্লাহ। ২৯তম ওভারের শেষ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। আর তখনই মাহমুদুল্লাহ’র সঙ্গে নিজের সেঞ্চুরির জুটিও নিশ্চিত করেন সাকিব। সহযোদ্ধা সাকিবের হাফ-সেঞ্চুরির পর, ৩১তম ওভারের শেষ বলে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান মাহমুদুল্লাহও। এতে যেন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে বাংলাদেশ, সাকিব-মাহমুদুল্লাহ জুটি। এরপরই রানের গতি বাড়িয়ে দেন সাকিব-মাহমুদুল্লাহ। ফলে তড়তড় করে বাড়তে থাকে বাংলাদেশের স্কোর, তড়তড় করে বাড়তে থাকে নিউজিল্যান্ডের কপালে ভাঁজ। সাকিব-মাহমুদুল্লাহ’র দুরন্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে পরিষ্কার হতে থাকে বাংলাদেশের জয়ের পথও। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ৭০ রান। ৪৬তম ওভারের পঞ্চম বলে মিলনেকে ছক্কা মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। এ সময় বাংলাদেশের জয় একেবারেই হাতে নাগালে চলে আসে। কারণ তখন ২৫ বলে ১৮ রান দরকার বাংলাদেশের। কিন্তু তিন অঙ্কে পা দিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন সাকিব। ৪৭তম ওভারের প্রথম দুই বল থেকে দুটি বাউন্ডারি আদায় করেন তিনি। |