শিরোনাম: |
তেহরান হামলায় সৌদি আরবকে দুষছে ইরান
|
বর্তমান ডেস্ক : তেহরানে হামলার জন্য আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবকে অভিযুক্ত করেছে ইরানের সেনাবাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার কারণে ইরানের এ অভিযোগ আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক খবরে এই তথ্য জানিয়েছে। এই হামলাটির দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠী। ইরানে এই প্রথম কোনও হামলার দায় স্বীকার করলো আইএস। জঙ্গি গোষ্ঠীটি হামলার সময় পার্লামেন্টের ভেতরের একটি ভিডিও প্রকাশ করে দায় স্বীকার করে। তবে ইরানের সেনাবাহিনী হামলার নেপথ্যে সৌদি আরব রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছে। এক বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, এ অঞ্চলের প্রতিক্রিয়াশীল সরকার (সৌদি আরব)-এর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের এক সপ্তাহ পর এই সন্ত্রাসী হামলাটি হয়েছে। এটা প্রমাণ করে এই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে তারা (সৌদি আরব) জড়িত। হামলায় নিহতদের শহীদ আখ্যায়িত করে আইআরজিসি’র উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেন সালামি বলেছেন, তেহরানে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদদের রক্তের বদলা নেওয়া হবে। সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি তাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, এই হামলায় ইরানকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে। তিনি বলেন, তেহরানে আজকের সন্ত্রাসী হামলা ইরানকে আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ, উগ্রপন্থা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আরও দৃঢ় করে তুলবে। আমরা আরও একবার প্রমাণ করব যে, শত্রুদের পরিকল্পনা আমরা আরও বেশি একতা ও শক্তি দিয়ে ধূলিসাত্ করতে পারি। বুধবার সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানের দুটি এলাকায় হামলা চালায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা। প্রথম হামলাটি হয় ইরানের পার্লামেন্ট মজলিশে। ওই সময় মজলিশে অধিবেশন চলছিল। পার্লামেন্ট সদস্য ইলিয়াস হজরতিকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, একটি পিস্তল ও দুটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা পার্লামেন্টে হামলা চালায়। নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। পার্লামেন্টে হামলার আধ ঘণ্টা পর আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারেও কয়েকজন বন্দুকধারী হামলা চালায়। ওই সময় একটি আত্মঘাতী হামলাও চালানো হলে কয়েকজন আহত হয়। পার্লামেন্টে হামলার ঘটনায় সবশেষ ১২ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে চার হামলাকারীও নিহত হয় বলে দাবি করা হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
|