শিরোনাম: |
নীলাভ লালাখালে একদিন
|
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে লালাখাল, স্থানীয়দের ভাষায় সারি নদী। তবে পর্যটকদের কাছে এটি নীলাকৃতির লালাখাল নামেই বেশি পরিচিত। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সারি নদীর নীলাভ পানিতে ভেসে প্রতিদিন বেড়াতে যায় হাজারও পর্যটক। নদী আর পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে একেবারে জৈন্তাপুর সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় লালাখাল। নদীর মধ্যেই সীমানা নির্ধারণী লাল পতাকা। পর্যটকরা সীমানায় দাঁড়িয়ে অবলোকন করেন ভারতের পাহাড় নদী আর গাছ-গাছালি। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা আবদাল রহমান তিনি এখানে এসে তার অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘জীবনে প্রথম নদীর নীল রঙের পানি দেখেছি। অনেক আনন্দ পেয়েছি। এখানে না এলে বুঝতাম না লালাখালের অপরূপ সৌন্দর্য।’
সিলেটে নীলাভ পানির লালাখাল নিজ চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না। তবে বর্তমানে মিডিয়ার দৌরত্ম্যে তা এখন অনেকটাই বিশ্বাসে রূপ নিয়েছে। ফলে প্রায়শই এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। তাই যারা এখনও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় স্বচ্ছ নীলাভ পানির ‘লালাখাল’ এখনও দেখেননি তারা আসন্ন ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন, নতুবা যে কোনো সময়। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে লালাখাল, স্থানীয়দের ভাষায় সারি নদী। তবে পর্যটকদের কাছে এটি নীলাকৃতির লালাখাল নামেই বেশি পরিচিত। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সারি নদীর নীলাভ পানিতে ভেসে প্রতিদিন বেড়াতে যায় হাজারও পর্যটক। নদী আর পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে একেবারে জৈন্তাপুর সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় লালাখাল। নদীর মধ্যেই সীমানা নির্ধারণী লাল পতাকা। পর্যটকরা সীমানায় দাঁড়িয়ে অবলোকন করেন ভারতের পাহাড় নদী আর গাছ-গাছালি। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা আবদাল রহমান তিনি এখানে এসে তার অনুভূতি প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘জীবনে প্রথম নদীর নীল রঙের পানি দেখেছি। অনেক আনন্দ পেয়েছি। এখানে না এলে বুঝতাম না লালাখালের অপরূপ সৌন্দর্য।’ পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখালজুড়ে। বেশ কিছু চা-বাগানও রয়েছে। পর্যটকরা নদীর পাড়ে উঠে চা বাগান দেখে আর ছবি তোলে মনের আনন্দে। নির্ভেজাল প্রকৃতির প্রেমে হারিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সাগর আহমেদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, এখানটায় এসে আমি চমত্কার এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, যা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। তার সঙ্গে থাকা বন্ধু সজিব বলল, নদীর পানির রঙ নীল কথাটি বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এখানে এসে সেটা কিছুটা বিশ্বাস হলো আর আনন্দিত হওয়ার পাশাপাশি হতবাকও হয়েছি, হয়েছি বিস্মিতও। লালাখাল নদী ধরে বাংলাদেশের শেষ সীমানা জৈন্তাপুরের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন একটি পাতার ছাউনি বেষ্টিত ঘরে থাকেন আদিবাসী রাজিব মং। তিনি জানান, এ নদী ১২ মাস সচল থাকে। বর্ষায় পর্যটকদের আনাগোনা কিছুটা কম থাকে। তবে গ্রীষ্ম ও শীতে পর্যটকে এলাকা ভরা থাকে। সারি নদীর সবচেয়ে বড় ঘাটের নাম সারিঘাট। এ ঘাটের মাঝি আমান উল্লাহ জানান, সিলেট থেকে সড়কপথে সিলেট-তামাবিল সড়কে সারিঘাট আসার পর এক থেকে দেড় ঘণ্টার নৌ ভ্রমণ। ইঞ্জিনচালিত নৌযানের গতির ওপর সেটা নির্ভর করে। সিলেট থেকে এলে সারিঘাট থেকে নৌকা নিতে হবে। এরপর নীল পানির ওপর নৌকায় ভেসে ভেসে জৈন্তাপুরের নয়নাভিরাম লালাখাল অবলোকন করতে পারেন যে কেউ। - নয়ন কবির |