শিরোনাম: |
ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির স্বপ্ন দেখছেন ট্রাম্প
|
বর্তমান ডেস্ক : নিজ দেশে রাজনীতিতে এক ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বহু ইস্যুতে ভয়াবহ এক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে তার ক্ষমতার মেয়াদ ৫ মাস পুরো হতে না হতেই তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলে। নিজের রাজনৈতিক কঠিন এই সময়ে প্রথম বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন তিনি। সৌদি আরব সফরে ইসলামী দেশগুলোকে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। কিভাবে চলতে হবে, কি বলতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে দিয়েছেন বক্তব্য। রোববার রিয়াদে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি আরব ও মুসলিম নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে। বলেছেন, তাদের (সন্ত্রাসী) এ পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিন। এছাড়া তিনি ইরানকে উল্লেখ করে বলেছেন, তারা আরব অঞ্চলে দশকের পর দশক ধরে গোষ্ঠীগত ও সন্ত্রাসী সংঘাত উসকে দিচ্ছে। তার এ কথার জবাব দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। তিনি টুইটে লিখেছেন, নতুন অস্ত্র চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরব সফরে এসে ৩৮ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি সম্পাদন করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তি অবিলম্বে কার্যকর হওয়ার কথা। বাকিগুলো ধীরে সুস্থে আগামী এক দশকে বাস্তবায়ন করা হবে। সৌদি আরবে তিনি ইসলামি দেশগুলোর নেতাদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পর কঠোর নিরাপত্তায় ইসরাইল সফরে গিয়েছেন। এ সফরে ফিলিস্তিন যাওয়ার কথা রয়েছে তার। দু’দিনের এ সফরে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটা একটি মৌলিক চুক্তি। তবে এ চুক্তি কেমন হবে এর কোন স্বরূপ ব্যাখ্যা করেননি ট্রাম্প। এক্ষেত্রে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার সুযোগ তিনি উভয় পক্ষের ওপর ছেড়ে দেবেন। রোববারের সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলের প্রতি বেশি মাত্রায় সমব্যথি বলে মনে করা হয়। ইসরাইলের বসতি নির্মাণ ইস্যুতে তিনি নমনীয়তা প্রদর্শন করেছেন। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল ফিলিস্তিনের পশ্চিত তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে। তারপর থেকে সেখানে তারা ১৪০টি বসতি নির্মাণ করেছে। সেখানে বসবাস করছে ৬ লাখেরও বেশি ইহুদি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব বসতি অবৈধ। এছাড়া তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার ইস্যুতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ট্রাম্প। এতে ফিলিস্তিনিরা ক্ষুব্ধ। তবে আনন্দিত ইসরাইল। পুরো জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে মনে করে ইসরাইল। তবে ফিলিস্তিনিরা দাবি করে এর পূর্ব ভাগ তাদের রাজধানী। তবে জেরুজালেমকে কেন্দ্র |