শিরোনাম: |
চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচার উপায়
|
গত কয়েক মাস ধরে ঢাকায় চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। এ রোগটি মশাবাহিত একটি ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস যে এডিস মশা বহন করে, সেই মশাই চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট প্রতিকার নেই। লক্ষণ দেখে চিকিত্সা ঠিক করা হয়। এই রোগ বা জ্বরে গায়ে ও জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হয়। এমনকি হাটতে বা বসতেও কষ্ট হয়। এছাড়া এ জ্বর ভালো হলেও আরও অন্তত দুইমাস ভোগান্তি পোহাতে হয়। চিকিত্সকরা বলছেন, গত প্রায় দুইমাস ধরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। চিকনগুনিয়া ভাইরাস থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ রোগ থেকে বাঁচতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিত্সা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ। ১. সতর্কতা হিসেবে মশার কামড় থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য ঘরের বারান্দা, আঙ্গিনা বা ছাদ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পানি পাঁচ দিনের বেশি জমে না থাকে। ২. এসি বা ফ্রিজের নিচেও যেন পানি না থাকে, তাও নিশ্চিত করতে হবে। ৩. যেহেতু এই মশাটি দিনের বেলায় কামড়ায়, তাই দিনের বেলায় কেউ ঘুমালে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। মশা মারার জন্য স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। ৪. ছোট বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট পড়াতে হবে, আর সবার খেয়াল রাখতে হবে যেন মশা ডিম পাড়ার সুযোগ না পায়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণায় বলা হয়, ১৯৫২ সালে প্রথম তানজানিয়ায় রোগটি শনাক্ত হয়। তবে এখন বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে রোগটি দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিত্সা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ জানান, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া রোগটির প্রকোপ প্রথম দেখা যায়। এ বছর ডেঙ্গুর তুলনায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই তারা বেশি পাচ্ছেন। গত কয়েক মাসে হাজার হাজার এরকম রোগী কেবলমাত্র তার কাছেই এসেছে। |