শিরোনাম: |
স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ই-বর্জ্যের ব্যবহার নিয়ে কিছু কথা
|
মোতাহার হোসেন : কবির ভাষায় বলা যায় ‘বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ’। কবির কল্পনায় এই উপলব্ধি হলেও বাস্তবেও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না। বর্তমানে প্রযুক্তি এবং বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ যতটা বিজ্ঞাননির্ভর হচ্ছে, ঠিক ততটাই তাদের স্বভাবে, আচার-আচরণেও যান্ত্রিকতার চাপ লক্ষ্য করা যায়। প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের অনেকের মধ্যেই মানবিকতা, আবেগ, সামাজিকতা, আন্তরকিতা, মানবিক মূল্যবোধে ভাটা পড়ে। অবশ্য এখানে একটি কথা মনে রাখা দরকার, প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা যেমন আছে তেমনি আছে এর অসুবিধা এবং ক্ষতিকর দিকও কম নয় কোনো অংশে। প্রশ্ন হচ্ছে- প্রযুক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভালো দিকটা গ্রহণ আর মন্দদিকটা বর্জন করলে এর সুফল মানুষ পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতে ও কল্যাণে লাগাতে পারবে। কিন্তু দেশে ওঠতি বয়সের তরুণ, তরুণি, যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় এর মন্দদিক বা উল্টো দিককে বর্জন না করে তা গ্রহণে আগ্রহ বেশি। এটাই হচ্ছে বিজ্ঞানের বা প্রযুক্তির কুফল। প্রযুক্তির অপপ্রয়োগে ও প্রভাবে কত মানুষের জীবন, সংসার তছনছ হয়ে গেছে। কত ওঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীর জীবন ধ্বংস হয়েছে এর অপপ্রায়োগ তার হিসাব শুধু ভুক্তভোগী পরিবারই জানেন। আবার ব্ল্যাকমেলিং, পণ্য ছবি ফেসবুকে আপলোড করে কত নারীকে বিপদগ্রস্ত, বিপর্যস্ত করেছে তারও কোনো হিসেবে নেই। প্রযুক্তির উন্নতির দিকে আমরা যতই ধাবিত হচ্ছি ততই সমাজ, সংসারের সাজানো কাঠামো ক্রমশ ভঙ্গুর হতে বসেছে। অবশ্য যে কোনো নতুন জিনিসের সঙ্গে মানুষের খাপখাইয়ে নিতে এক সময় লাগে প্রথমে কিছুটা সমস্যা হয়-যেটা আমাদের নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে হচ্ছে। এটা হয়ত ধীরে ধীরে কমে আসবে। তার আগে এখনই আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার। এর প্রয়োগের এজন্য কিন্তু প্রযুক্তি বা বিজ্ঞান দায়ী নয়। দায়ী এর ব্যবহারকারী, প্রয়োগকারী। তাই বলে মানুষ যে, বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন- তা নয়। বরং বুঝে শুনে প্রযুক্তির সুফল ভোগ আর ক্ষতিকর দিক থেকে নিজেদের বিরত রাখা প্রয়োজন তবেই সার্থক হবে প্রযুক্তির উদ্ভাবন আর এর প্রয়োগের।
সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) উত্পাদনকারী বা সংযোজনকারী সংস্থা ফেরত নেবে। এ খবর নিঃসন্দেহে ভালো। ই-বর্জ্য দেশের পরিবেশ, প্রতিবেশ, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য সরকার নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করছে। এই বিধিমালা কার্যকর হলে দেশে ই-বর্জ্য ফেরত নিতে হবে উত্পাদনকারী সংস্থাসমূহকে। তবে এ জন্য সংশ্লিষ্ট পণ্যের ক্রেতাকে পণ্যমূল্য অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিক্রেতার কাছে জামানত হিসেবে জমা রাখতে হবে। ক্রেতা ই-বর্জ্য ফেরত দিলে বিক্রেতা জামানতের টাকা মুনাফাসহ ফেরত পাবেন। দেশে ‘ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক পণ্য হতে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে জনস্বাস্থ্যকেও। এমনি অবস্থায় সরকারি উদ্যোগে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিধিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিধিমালা, খসড়া করেছে সরকার। খসড়া বিধিমালায় পণ্য উত্পাদনকারী বা সংযোজনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্বে বলা হয়েছে, ইলেক্ট্রনিক পণ্য বা যন্ত্রপাতি বিক্রির সময় প্রত্যেক প্রস্তুতকারক বা সংযোজনকারী ব্যক্তিগত ভোক্তা বা বড় প্রাতিষ্ঠানিক ভোক্তার কাছ থেকে পণ্যের মূল্যের উপর নিদিষ্ট হারে (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) অর্থ জামানত হিসেবে রাখবে। ই-পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বা ব্যবহার শেষে ফেরত দেয়ার সময় বিক্রেতা জামানতের অর্থ প্রচলিত হারে সুদ বা মুনাফাসহ ফেরত দেবে। মতামতের জন্য ই-বর্জ্যের খসড়া বিধিমালা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এনজিওগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। মতামত পাওয়ার পর সেগুলো পরিবেশ অধিদফতরে পাঠানো হবে। এরপর খসড়া চূড়ান্ত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্তের পর তা আইনি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠানো হবে। ই-বর্জ্যের বিষয়টি দেশের প্রেক্ষাপটে নতুন বিষয়। ‘বিধিমালা অনুযায়ী ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি যারা উত্পাদন করবে ই-বর্জ্যের দায়িত্বও তাদের নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষের সহযোগিতা দরকার। এই বিধিমালা না মানলে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত, ২০১০)’ এর ১৫ (২) ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের ক্ষেত্রে ২ থেকে বছরের কারাদণ্ড বা ২ থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড পেতে হবে বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তুতকারক বা সংযোজনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্ব অনুমোদনের সময় ই-বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, বিধিমালা বাস্তবায়নের প্রথম বছর প্রস্তুতকারক বা সংযোজনকারীকে উত্পাদিত ই-বর্জ্যের ১৫ শতাংশ ফিরিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয় বছরে ২৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৩৫ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ই-বর্জ্যের ৫৫ শতাংশ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করায় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-বর্জ্য নতুন বিষয় হওয়ায় এ বিষয়ে সচেতনতাও কম, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। ই-বর্জ্যে উদ্বেগজনক মাত্রায় বিষাক্ত উপাদান বিষাক্ত উপাদান যেমন সীসা, মার্কারি, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক বেরেলিয়াম ইত্যাদি থাকে। এসব বিষাক্ত বস্তু মানুষের স্নায়ুতন্ত্র, কিডনি, মস্তিষ্ক, হূত্যন্ত্র ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। ই-পণ্য সামগ্রী ব্যবহারের ক্রম ঊর্ধ্বমুখিতায় ই-বর্জ্যের পরিমাণ ও ক্ষতিকর প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। প্রস্তাবিত খসড়া বিধিমালায় প্রস্তুতকারক বা সংযোজনকারী, ই-বর্জ্য মজুদকারী বা ব্যবসায়ী বা দোকানদার, মেরামতকারী, সংগ্রহ কেন্দ্র, ব্যক্তিগত ভোক্তা বা বড় ব্যবহারকারীর/প্রাতিষ্ঠানিক ভোক্তা, চূর্ণকারী ও পুনঃব্যবহারকারীর দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করা দরকার। এ ব্যাপারে প্রস্তুতকারক ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক পণ্য প্রস্তুতের সময় উত্পাদিত যে কোনো ই-বর্জ্য পুনঃব্যবহারোপযোগী বা ধ্বংস করার জন্য সংগ্রহ করবে। ধ্বংসপ্রাপ্ত সব ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক পণ্য রাখার জন্য উত্পাদনকারী ব্যক্তিগত পর্যায়ে বা সমন্বিতভাবে সংগ্রহ কেন্দ্রস্থাপন করা দরকার। ধ্বংসপ্রাপ্ত ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক পণ্য থেকে সৃষ্ট ই-বর্জ্যের পরিবেশসম্মত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থাও করবে উত্পাদনকারী। খসড়া বিধিমালা অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রস্তুতকারক বা সংযোজনকারীকে প্রত্যেক অর্থবছর শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে বা এর আগে ই-বর্জ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পরিবেশ অধিদফতরে দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। প্রত্যেক ই-বর্জ্য মজুদকারী বা ব্যবসায়ী বা দোকানদার ভোক্তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত স্থানে ই-বর্জ্য সংগ্রহের করবেন। তবে এমন পণ্য সংগ্রহের স্থানের অবস্থান জলজ সম্পদ বা জলাশয় থেকে নিরাপদ দূরত্বে হবে। প্রত্যেক মেরামতকারী মেরামত প্রক্রিয়ায় উত্পন্ন ই-বর্জ্য সংগ্রহ করে তা অনুমোদিত সংগ্রহ কেন্দ্রে পাঠানো বাধ্যতামূলক করা দরকার। সে অনুযায়ী, যে ব্যক্তি পরিত্যক্ত বা ব্যবহূত ইলেক্ট্রনিক পণ্য বা এর অংশবিশেষ ভাঙার কাজে নিয়োজিত তিনি হচ্ছেন চূর্ণকারী। চূর্ণকারীকে অবশ্যই পরিবেশ অধিদফতরের নিবন্ধন ও ছাড়পত্র নিতে হবে। ভোক্তাকে নিবন্ধিত ব্যবসায়ী বা সংগ্রহ কেন্দ্রে ই-বর্জ্য জমা দিতে হবে। ভোক্তারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে আইনে নির্ধারিত জরিমানা দিতে বাধ্য থাকার বিধান রাখা হচ্ছে। ই-বর্জ্য প্রস্তুতকারক, সংগ্রহ কেন্দ্র, পরিবহনকারী, চূর্ণকারী, মেরামতকারী এবং পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকারীর দায়িত্ব অনুযায়ী পরিবেশগত বা জনস্বাস্থ্যের যে কোনো ক্ষতির জন্য দায়ী হবে। এক্ষেত্রে এদের নিজ অর্থে পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ বা ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবেশগত উত্পাদান পুনরুদ্ধার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা আছে বিধিমালায়। বিধিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক ই-বর্জ্য প্রস্তুতকারক, ব্যবসায়ী বা দোকানদার, মজুদকারী, পরিবহনকারী, মেরামতকারী, সংগ্রহ কেন্দ্র, চূর্ণকারী, পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকারী, নিলাম বিক্রেতা ও রফতানিকারককে পরিবেশ অধিদফতর থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। দেশে ই-বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকলে রফতানিকারক পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন নিয়ে তা বিদেশে রফতানি করার বিধান রাখা হচ্ছে। প্রত্যেক প্রস্তুতকারক, ব্যবসায়ী বা দোকানদার, সংগ্রহ কেন্দ্র, চূর্ণকারী, মেরামতকারী এবং পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকারী ই-বর্জ্য ১২০ দিনের বেশি মজুদ রাখতে পারবে না। এদের ই-বর্জ্য সংগ্রহ, বিক্রি, হস্তান্তর, মজুদ এবং বিভাজন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। পরিবেশ অধিদফতর তদন্তে এলে এ সব তথ্য উপস্থাপন করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তবে পরিবেশ অধিদফতর শর্ত সাপেক্ষে ই-বর্জ্য মজুদকরণের সময় বর্ধিত করতে পারবে। প্রত্যেক ইলেক্ট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারককে পণ্য উত্পাদনে বিপদজনক পদার্থ (এন্টিমনি ট্রাইওয়াক্সাইড, ক্যাডমিয়াম, বেরিলিয়াম মেটাল, ক্যাডমিয়াম সালফাইট ইত্যাদি) ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিমালায় উল্লেখিত মানমাত্রা অনুসরণ করার বিধান রাখা হচ্ছে। এ বিধিমালা কার্যকর হওয়ার ৫ বছরের মধ্যে বিপদজনক পদার্থ ব্যবহার হ্রাসকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। দাতব্য, অনুদান বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো পুরাতন বা ব্যবহূত ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক পণ্যের আমদানি অনুমোদন দেয়া হবে না। ই-বর্জ্যের ধরন অনুযায়ী পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় অফিস প্রতিবছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ফরম অনুযায়ী পরিবেশ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার বিধান রাখা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন একত্রিত করে তা পুনঃপরীক্ষা ও দিক-নির্দেশনার জন্য প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এই উদ্যোগ পুরোমাত্রায় ভাগ বাস্তবায়ন হবে। একই সঙ্গে ই-বর্জ্যের যত্রতত্র ডাম্পিং থেকে বিরত তাকা, ক্ষতিকর,পরিবেশগত, স্বাস্থ্যগত যেসব সমস্যা হয় সে সম্পর্কে গণসচেনতা, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়টিও সরকারি নীতি-নির্ধারণী মহল ভেবে দেখবেন। লেখক: সাংবাদিক, কলাম লেখক। |