শিরোনাম: |
হরেক রকমে চা
|
ক্লান্তি আর অবসাদ দূর করার একটি সহজ পানীয় চা। তৈরিতে সময় কম লাগে এবং কাজ করে বেশ ভালো। চা খেতে সচরাচর সবাই পছন্দ করেন। সেটা সকাল, দুপুর অথবা বিকেল। চায়ের কাপ সাধারণত চা পাতা এবং দুধের ঘ্রাণেই ভরপুর থাকে। কিন্তু বর্তমানে চায়ের পাতার সঙ্গে ছোঁয়া লেগেছে বিভিন্ন ফলের, ভেষজ পাতার, মসলার এবং মরিচের!
সন্ধ্যা ৭টার কিছুটা পরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির এক কোনায় প্রচুর ভিড়। উপচে পড়া জটলা ভেঙে একটু ভেতরে যেতেই চোখে পড়ে চায়ের দোকান। এক সময় চায়ের দোকানি গ্রাহককে দেখলেই জিজ্ঞেস করতো চা খাবেন? আর এখন জিজ্ঞেস করে কোন চা খাবেন? এখন মনে প্রশ্ন আসতেই পারে কোন চা মানে? চা তো চা-ই। কিন্তু না চা মানে এই দোকানির কাছে মাল্টা চা, তেঁতুল চা, পুদিনা চা, ওভাল্টিন চা, গুঁড়ের চা আর মরিচ চা। ওহ বলতেই ভুলে গেছি পনির চা রয়েছে। বিস্ময়ে এবার ভিমরি খাবার দশা নিশ্চই। এত পদের চা কে খায় প্রশ্ন আসতেই পারে। এত ঢংয়ের চা খেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অন্যান্যরা আসে দূর-দূরান্ত থেকে। চায়ের মধ্যে স্বাদের নতুনত্ব তাদের টেনে নিয়ে আসে বলে জানান চায়ের দোকানি। বিভিন্ন স্বাদের চায়ের বিস্তর ঢাকা শহরে শুরু মূলত টিএসসি থেকেই। আস্তে আস্তে তা ছড়িয়ে কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি, এয়ারপোর্ট এলাকা, উত্তরা এমনকি রাজধানীর অদূরে শনির আখড়াতেও পাওয়া যায় হরেক স্বাদের চা। শনির আখড়ার চায়ের বিশেষ দিক হলো এখানে ঝাল চায়ের পাশাপাশি পায়েস চা পাওয়া যায়। সঙ্গে আরও আছে নারিকেল চা এবং কালি জিরা চা। আবার যাদের জন্য জায়গাটি বেশ দূর মনে হয় তাদের মন খারাপের কিছু নেই। পায়েশের স্বাদে চা খেতে চাইলে চলে আসতে পারেন ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে। যাদের নোনতা চা খাবার অভ্যাস আছে তারা যেতে পারেন পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে সুলতান মামার দোকানে। মসলা চা আর মাঝারি লিকারের সঙ্গে কাগজি লেবু আর বিট লবণ। সব রকম স্বাদই পাবেন একসঙ্গে। সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় তার চা বিক্রি। পুরান ঢাকার চকবাজার, লালবাগ এবং পলাশীর মোড়ে মার্কেটের দুই তলায় পাওয়া যাবে পনিরের চা। - জীববন যাপন ডেস্ক |