শিরোনাম: |
ঝড়ে শতশত ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড
|
বর্তমান ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর ও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুত্ লাইন বিধ্বস্ত হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়াও ঝড়ের সময় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর:
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) : ঝড়ের আঘাতে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে ৩০টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের চরআন্ডা এলাকায় হঠাত্ কালবৈশাখী ঝড়ে এ ক্ষতি হয়। এসময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে গৃহবধূ খাদিজা বেগম (২৫) ও বনি আমিন (৩০) নামের দুইজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। এদিকে একইসময় পার্শ্ববর্তী নদীতে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানায়, ওই ইউনিয়নের চরআন্ডা এলাকায় বিকেল সাড়ে ৩ টায় হঠাত্ বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ঝড়টি মাত্র ৫-৭ মিনিট স্থায়ী ছিল। এরমধ্যে ৭টি বসতঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো ২৫টি ঘর। ওইসময় ঘরের নিচে চাপা পড়ে হাফেজ মৃধার স্ত্রী খাদিজা বেগম ও ইসমাঈল জোমাদ্দারের ছেলে বনি আমিন গুরুত্বর আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়েছে। এদিকে, একই সময়ে পার্শ্ববর্তী সোনারচরে মাছ ধরার এমভি সুলতান-গনি নামের একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রলারে থাকা সকল জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির প্যাদা জানান, অল্প সময়ের ঝড়ে এই চরের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় বনি আমিন ও নান্নু মিয়াসহ ৭ জনের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে লক্ষ্মীপুর: রামগতিতে সোমবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী ঘূর্ণিঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দুই শতাধিক ঘর-বাফড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ৫ শতাধিক গাছ-পালা উপড়ে পড়ে এবং কয়েক হাজার হেক্টর ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়াও বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রামগতি বিবিকে পাইলট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও রামগতি আছিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১ টার দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পর হঠাত্ প্রবল ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার মেঘনার উপকূলীয় বড়খেরী ও চরগাজী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ঝড়ে বয়ে গেছে। বিকেলে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমান উল্ল্যাহ জানান, সোমবার দুপুরে রামগতি উপজলার ওপর দিয়ে ঘুর্ণিঝড় বয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য তদারকির কাজ চলছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন । কমলনগর (লক্ষ্মীপুর): কমলনগরে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত উপজেলার লুধুয়া ফলকন, ইসলামগঞ্জ, পাটারীরহাট ও খায়েরহাট এলাকার উপর দিয়ে এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১টার দিকে আকস্মিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ে লুধুয়া ফলকন এলাকার দেলোয়ার মেস্তরী, মোতাছিন হাওলাদার ও জামাল সর্দারের বসতঘরসহ বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত কাঁচা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। ওইসব এলাকার কয়েকশ’ গাছপালা ঝড়ে উপড়ে পড়ে এবং সয়াবিন, মরিচ ও বাদামসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পাটারীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত কাঁচা বসতঘর বিধ্বস্ত ও শতাধিক কাঁচা বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে খায়েরহাট বাজারের পাঁচটি দোকানঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। |