সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়নে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে - শেখ হাসিনা
Published : Monday, 10 April, 2017 at 6:00 AM, Count : 1467

বর্তমান প্রতিবেদক : ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি এবং তার সফরসঙ্গীদের বহন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১০৯৮ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিমানটি নয়াদিল্লি থেকে যাত্রা করেন। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পালাম স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রাকালে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান ভারতের ভারী শিল্প ও গণপরিবহন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। চার দিনের এই সফরে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ২২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় সর্বোচ্চ সম্মান ও সম্মাননা। চুক্তি-সমঝোতা অনুযায়ী, লাইন অব ক্রেডিটে (এলওসি) বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে ভারত। একইসঙ্গে সামরিক খাতে সহায়তায় দেবে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ছিল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার মাইলফলক, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট সকলে। গত ৭ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে এসে স্বাগত জানান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরকালে শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে অবস্থান করেন। সাক্ষাত্ হয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারী, বিরোধী দল কংগ্রেসের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে নয়াদিল্লিতে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। তাকে বিশেষ সংবর্ধনা দেয় ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন, যাতে অংশ নেন নয়াদিল্লিতে বিভিন্ন দেশ থেকে নিযুক্ত কূটনীতিকরা। নাগরিক সংবর্ধনা দেয় ভারতের শীর্ষ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনও।
দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়নে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো উন্নয়নের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সহযোগিতার প্রায় সব ক্ষেত্রেই উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে, বিশেষ করে যোগাযোগ,  বিদ্যুত্, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রগুলোতে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের রূপকল্প ঠিক করেছি এবং আশা করছি, ভারতও আমাদের এই উন্নয়নের যাত্রার সারথী হবে। সীমান্ত চুক্তিটি ভারতের লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হওয়ায় ভারতের সকল রাজনৈতিক দলের সদস্যদের প্রতি সন্তোষ জ্ঞাপন করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এটা ঐতিহাসিক ১৯৭১ সালের মতোই বিষয়, যখন ভারতের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং ভারতের জনগণ বাংলাদেশকে দ্ব্যর্থহীনভাবে সহযোগিতা প্রদান করেছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতার বিষয়টি, বিশেষ করে বিদ্যুত্ খাতে সহযোগিতার উল্লেখ করে ‘মাল্টি মডেল কানেকটিভিটি’ এবং বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্যই এটা জরুরি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারত থেকে আরও বিনিয়োগ, বিশেষ করে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং ইতোমধ্যেই ভারতের বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর এ বিষয়ে আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। তিস্তা হলে সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে: গতকাল সকালে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির থিংক ট্যাংক ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ক আরও একটি রূপান্তরের মাধ্যমে নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আমাদের যৌথ পানিসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। সব অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে অববাহিকাভিত্তিক একটি  পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের যৌথ ভবিষ্যত্ নিহিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যত দ্রুত সম্ভব তিস্তার সমাধান করতে তার সরকারের আন্তরিক আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এটি হলে দু’দেশের সম্পর্ক আরও একটি রূপান্তরের মাধ্যমে নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে। শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেটির ওপর আমরা ভরসা রাখছি।
চাইলাম পানি, পেলাম বিদ্যুত্: সোমবার সকালে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চাইলাম পানি, পেলাম বিদ্যুত্। ভালোই হয়েছে, কিছুতো পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দিদিমনি কি করবেন আমি জানি না। ওনার সঙ্গে কথা হয়েছে। উনিতো নতুন কিছু দেখালেন। (নরেন্দ্র) মোদি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এখন আমরা অপেক্ষা করছি।  শেখ হাসিনার এবারের সফরে বাংলাদেশের প্রধান দাবি তিস্তা চুক্তির কোনো সুরাহা হয়নি। বাংলাদেশ ও ভারত ছয় বছর আগে তিস্তাচুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করলেও আজও তা বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব হয়নি। শনিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পরে নরেন্দ্র মোদি মৌখিক বক্তব্যে তার সরকার ও হাসিনার সরকারের বর্তমান মেয়াদকালে এ চুক্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলাদেশ তিস্তার জন্য অপেক্ষা করছে: বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তির জন্য অপেক্ষা করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দীর্ঘদিন সম্পর্ক এখন অনেক পরিপক্ক। পাশাপাশি এটা বহুমাত্রিক ও কৌশলগত। তিস্তা চুক্তি হলে এ সম্পর্ক নতুন দিকে মোড় নেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ আমরা সামগ্রিকভাবে দূর করেছি এবং এটি আমাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করার একটি উপাদান। দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় বহুস্তরভিত্তিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং অনেকগুলো যৌথ প্রাতিষ্ঠানিক মেকানিজম এখানে কাজ করে। সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বড় বাধা। সন্ত্রাসীদের কারণে আমাদের অর্থনীতি ও সমাজ একীভূত হওয়া এখন ঝুঁকির মুখে। স্থল ও সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, দু’দেশ শান্তিপূর্ণভাবে এ সমস্যার সমাধান করেছে। তিনি এ জন্য সব রাজনৈতিক দল এবং লোকসভা ও রাজ্যসভার সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর চালানো গণহত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার ইতিহাস এখন বিকৃত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সংসদ সম্প্রতি ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব নিয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এমনটিও জানান শেখ হাসিনা। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা এলকে আদভানি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত ছিলেন। যারা বলে দেশ বিক্রি করেছি, তারা অর্বাচীন: ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে খালেদা জিয়ার সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ওই চুক্তিকে ‘দেশ বিক্রি’ বলছে, তারা ‘অর্বাচীন’। চার দিনের ভারত সফরের শেষ দিন গতকাল সোমবার ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসি) এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে এ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বলেন, যারা বলে দেশ বিক্রি করে দিয়েছি, তারা অর্বাচীন। গত শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার বিরোধিতা করে আসছে বিএনপি। শেখ হাসিনা বলেন, আপনারাই দেখে গেলেন, দেশ বেঁচে দিলাম, না অর্জন করলাম। বাংলাদেশে ব্যবসার বিস্তৃত সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা ভারতের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র এবং উন্নয়নের সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে। যৌথ সমৃদ্ধির দর্শন নিয়ে চলা বাংলাদেশ ও ভারতেরও সম্পর্কও এখন চমত্কার। তিনি বলেন, আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই, বিনিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশে আসুন এবং সুযোগগুলো কাজে লাগান। জনগণের কল্যাণে ভারতের সঙ্গে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে: ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার দেশ বিক্রি করে দিয়েছে- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলো জনগণ ও আঞ্চলিক কল্যাণে স্বাক্ষরিত হয়েছে।  তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি উদ্ভাবনী ও বাস্তবভিত্তিক অর্থনীতি বিনির্মাণ করা, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। আমি নিশ্চিত আমরা একত্রে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবনমানের পরিবর্তন আনতে পারব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল দেশ। এ দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং একসঙ্গে উন্নয়নের লক্ষ্য ভারতের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের চমত্কার সম্পর্ক। তিনি বলেন, আপনারা ধনী। এ জন্য আমি বাংলাদেশে আপনাদের ব্যবসা ও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই। ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বেশি মুনাফা সাশ্রয়ী ব্যয় ও বিপুলসংখ্যক ভোক্তার সুযোগ নিতে পারে। আপনাদের বিনিয়োগের সুরক্ষায় আমাদের রয়েছে ইন্দো-বাংলা বিনিয়োগ চুক্তি। এতে রয়েছে শতভাগ মুনাফা ও পুঁজি ফেরত নেয়ার আকর্ষণীয় প্যাকেজ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ইইউ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিশ্বে ৩৮টি দেশ থেকে জিএসপি সুবিধা পায়। শেখ হাসিনা ভারতের ব্যবসায়ীদের বলেন, আপনারাও চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও চিলির মতো দেশগুলো থেকে বাংলাদেশকে দেয়া শুল্ক মুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধার সুযোগ নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পায়ন ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এর মধ্যে মংলা, ভেড়ামারা ও মীরসরাই বিশেষভাবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার এমন একটি বাস্তবঘনিষ্ঠ উদ্ভাবনমুখী অর্থনীতি গড়ে তুলতে চায়, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। আমি নিশ্চিত, একসঙ্গে কাজ করলে এ অঞ্চলের মানুষ ও তাদের জীবন আমরা বদলে দিতে পারব। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা অনেক ধনী ব্যবসায়ী। আপনারা আসুন। বিদেশিদের জন্য ১০০ ইপিজেড করছি। আপনাদের বিনিয়োগ সফল করতে সব রকম ব্যবস্থা নেব। আপনারা আসুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোদরেজ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি আদি গোদরেজ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। অন্যদের মধ্যে ভারতের অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (অ্যাসোচ্যাম) প্রেসিডেন্ট সন্দীপ জাযোদিয়া, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এফআইসিসিআই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট হর্ষ মারিওয়ালা। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মন্ত্রিসভার সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, উপদেষ্টা সম্পাদক: এ. কে. এম জায়েদ হোসেন খান, নির্বাহী সম্পাদক: নাজমূল হক সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস, ২৩৪ ফকিরাপুল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মুন গ্রুপ, লেভেল-১৭, সানমুন স্টার টাওয়ার ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।, ফোন: ০২-৯৫৮৪১২৪-৫, ফ্যাক্স: ৯৫৮৪১২৩
ওয়েবসাইট : www.dailybartoman.com ই-মেইল : [email protected], [email protected]
Developed & Maintainance by i2soft